স্টাফ রিপোটার: দেশের ইতিহাসের অন্যতম নৃশংস এই হত্যাকাণ্ড ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলায় নিহত শহীদদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেছে নেটিজেনরা। তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা এবং স্মরণে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শোকগাঁথা স্ট্যাটাস দিয়েছেন রাজনীতিকবিদ, সামাজিক-সাংস্কৃতিক ব্যাক্তিরা। নিহতদের রূহের মাগফিরাত কামনার পাশাপাশি নৃশংস এই হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের দ্রুত রায় কার্যকরের দাবি জানিয়েছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুক ব্যবহারকারীরা।
নিহতদের স্মরণে মাতুয়াইল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শান্তনূর খান শান্ত লিখেছেন, রক্তাক্ত ২১ শে আগষ্ট সকল বীর শহীদদের জানাই বিনম্র শ্রদ্বাঞ্জলী। আল্লাহর দরবারে সকল শহীদের রুহের মাগফিরাত কামনা করছি। বিচারের রায় দ্রুত কার্যকর করার জন্য জোর দাবী জানাচ্ছি।
জাফর আহমেদ বাবু লিখেছেন, আল্লাহ পাক নিজ কুদরতের হাতে ২১ আগষ্টের ঘটনায় শেখ হাসিনাকে রক্ষা করেছেন। আল্লাহর দরবারে কোটি কোটি অগণিত শুকরিয়া, আলহামদুলিল্লাহ। সেদিনের বিনা অপরাধে যারা শহিদ হয়েছিল, তাদের সবার প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা। তাদের সবাইকে আল্লাহ পাক তার জান্নাতুল ফেরদৌসের মেহমান করুন। সকল শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা। সেই সাথে একটাই দাবি ২১ আগস্টের মাস্টারমাইন্ডসহ দণ্ডপ্রাপ্ত আসামীদের বিচারের রায় দ্রুত কার্যকর করা হোক’ এমন দাবি জানিয়েছেন মাসুম আতিকুর। ডিএনসিসি ৯৯নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনোয়ার হোসেন সোহেল ’’লিখেছেন একুশে আগস্ট সকল শহীদের প্রতি রইল বিনম্র শ্রদ্ধা। মৃত্যুঞ্জয়ী বাংলা ১৬ কোটি মানুষের নয়নের মনি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীসহ সকল নেতাদের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করছি। ঢাকা দক্ষিন সিটি করপোরেশনের ৬৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিরর মাহমুদুল হাসান পলিন লিখেছেন, শোকের মাস আগস্ট এলেই শ্রাবণের এক অনিঃশেষ করুণ-ধারা যেনো ছুঁয়ে যায় বাঙালি-আত্মাকে। এ-মাসের বেদনার্ত আর্তি কালকে ছাপিয়ে মহাকাল, সীমানার গণ্ডি পেরিয়ে গোটা বিশ্ব বিবেককে স্তম্ভিত করেছে! আইভি রহমান সহ সকল শহীদ আত্মত্যাগীকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি ও ২১ আগষ্ট বোমার স্পিলিন্টারে আহত সকলকে কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করছি। ফেইসবুক ব্যবহারকারী শুভ শফিউল লিখেছেন, ‘২১শে আগস্ট আহত হয়েছিল বাংলাদেশ।বর্বরোচিত হামলায় নিহত সকল শহীদদের আত্মার শান্তি কামনা করি ও তাদের প্রতি জানাই গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি।
‘‘ইতালি রোম মহানগর আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বিনম্র শ্রদ্ধা আর ২০০৪ সালের ২১ আগষ্ট গ্রেনেড হত্যার সাথে জড়িত সকল আসামিদের বিচারের দাবি জানাচ্ছি’’ লিখেছেন ইতালি প্রবাসী আওয়ামী লীগ নেতা গোলাম মানিক। ফেইসবুকে মো. মামুন উর-রশিদ লিখেছেন, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় সকল শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি এবং বিনম্র শ্রদ্ধাঞ্জলি। যারা আহত হয়ে মানবতার জীবন যাপন করছেন, তাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও সমবেদনা জানাচ্ছি। নিহতদের স্মরণে মাজহারুল ইসলাম জাকির লিখেছেন, রক্তাক্ত আগষ্টের আরেকটি বর্বরোচিত ভয়াবহ ঘটনা ২১ আগষ্ট! গভীর বিনম্র শ্রদ্ধা সকল শহীদদের প্রতি। অন্তর সমবেদনা সেই দিনে আহত হয়ে নিদারুণ যন্ত্রণা নিয়ে যাঁরা বেঁচে আছেন তাঁদের প্রতি। শহীদুল্লাহ মুহাম্মদ শাহ নূর লিখেছেন’’ ভয়াল ২১শে আগষ্ট, ২০০৪! বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে বর্বরোচিত গ্রেনেড হামলায় নিহিত আইভি রহমান সহ সকল শহীদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধাঞ্জলি..। ২১ আগস্ট শুধু একটি রাজনৈতিক বিষয় নয়। এটা বাঙ্গালি জাতির একটি কলংকিত কালো অধ্যায়। যে কলংকিত অধ্যায় শুরু হয়েছিল জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানকে হত্যার মাধ্যমে। ২১ আগস্টের সকল শহীদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা’’ লিখেছেন যাত্রাবাড়ীর ধলপুরের সাবেক ছাত্রনেতা নজরুল ইসলাম বাবু। ঢাকা মহানগর দক্ষিন কৃষক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক হাছান মাহমুদ অপু লিখেছেন, ‘‘আগষ্ট মানেই ষড়যন্ত্র, আগষ্ট মানেই রক্তের হোলিখেলা, আগষ্ট মানেই অনেক কষ্টের কান্না। ৭৫ এর ১৫ ই আগষ্ট রক্তগঙ্গা, ২০০৪ এর ২১ আগষ্ট লাল রক্তের শ্রোত! এই এক হৃদয়বিদারক বিভীষিকাময় আগষ্ট। সকল শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। সাবেক ছাত্রনেতা ও ৪৯ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক প্রার্থী নজরুল ইসলাম নিপু ’’লিখেছেন রক্তাক্ত ২১ শে আগষ্ট ২০০৪। বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ম শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে বর্বরোচিত গ্রেনেড হামলায় নিহত শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধাঞ্জলি। আশা করছি ২১ আগস্ট হামলা মামলার রায় দ্রুত কার্যকরার মাধ্যমে জাতিকে কলঙ্কমুক্ত করা হোক।
উল্লেখ্য, ২১ আগস্টের এদিন ঢাকার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত সন্ত্রাসবিরোধী শান্তিপূর্ণ সমাবেশের ওপর গ্রেনেড হামালা চালানো হয়। এই বর্বরোচিত গ্রেনেড হামলার প্রধান টার্গেট ছিলেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ও তৎকালীন বিরোধী দলের নেতা আওয়ামী লীগ সভাপতি বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। এতে মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আইভি রহমানসহ ২৪ জন নিহত হন। আহত হন শেখ হাসিনাসহ ৫ শতাধিক মানুষ।
