Home রাজনীতি ২০হাজার টাকা ন্যুনতম মজুরির দাবি যৌক্তিক ন্যায়সঙ্গত: শিরীন আখতার এমপি

২০হাজার টাকা ন্যুনতম মজুরির দাবি যৌক্তিক ন্যায়সঙ্গত: শিরীন আখতার এমপি

55

স্টাফ রিপোটার: জাতীয় ন্যুনতম মজুরি ২০ হাজার টাকা নির্ধারণ, শ্রমিক-কর্মচারীদের জন্য রেশনিং চালু, আইএলও কনভেনশন ১৮৯ ও ১৯০ ধারা বাস্তবায়ন, গৃহ শ্রমিকদের আইনী মর্যাদা ও নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধের দাবীতে জাতীয় শ্রমিক জোট-বাংলাদেশ আজ ১৬ সেপ্টেম্বর শুক্রবার বিকাল ৩-৩০টায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে জিপিও’র সামনে জাসদ চত্বরে শ্রমিক সমাবেশ ও লালপতাকা মিছিল করেছে। শ্রমিক জোটের সভাপতি সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা শ্রমিক নেতা সাইফুজ্জামান বাদশার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ শ্রমিক সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জাসদের সাধারন সম্পাদক জননেত্রী শ্রমিকনেত্রী শিরীন আখতার এমপি, জাসদের কার্যকরী সভাপতি জননেতা বীরমুক্তিযোদ্ধা রবিউল আলম, জাসদের সহ-সভাপতি জননেতা বীরমুক্তিযোদ্ধা সফিউদ্দিন মোল্লাসহ জাসদ ও শ্রমিক জোটের নেতৃবৃন্দ। সমাবেশ সঞ্চালনা করেন শ্রমিক জোটের সাধারণ সম্পাদক শ্রমিক নেতা নাইমুল আহসান জুয়েল।
জননেত্রী শ্রমিক নেত্রী শিরীন আখতার এমপি বলেন, বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ উন্নয়নশীল দেশ ও মধ্যম আয়ের দেশে উত্তরণের এবং মাথাপিছু গড় ২৮০০ ডলার হবার পরও দেশের শ্রমিক কর্মচারীদের জন্য ন্যুনতম জাতীয় মজুরি নির্ধারণ ও বাস্তবায়ন করতে না পারাটা জাতীয় লজ্জার বিষয়। তিনি বলেন, চাবাগান শ্রমিক, গৃহকর্মীসহ অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের শ্রমিক কর্মীদের মজুরির হার অত্যন্ত অমানবিক। তিনি বলেন, নিত্যপন্যের বাজারের পাগলা ঘোড়ার লাগামহীন উর্ধগতিতে শ্রমিক, কর্মচারী, শ্রমজীবী, কর্মজীবী, পেশাজীবী, খেটে খাওয়া, মেহনতি মানুষ, স্বল্প আয় ও সীমিত আয়ের মানুষের জীবনে নিদারুণ কষ্ট ভোগ করতে হচ্ছে। তিনি শ্রমিক কর্মচারীদের বাঁচিয়ে রাখার জন্য বাজার দরের সাথে মিলিয়ে জাতীয় ন্যুনতম মজুরি ২০ হাজার টাকা নির্ধারণের ন্যায়সঙ্গত ও যৌক্তিক দাবির প্রতি জাসদের পক্ষ থেকে সমর্থন জ্ঞাপন করেন। তিনি একই সাথে, শ্রমিক কর্মচারীদের জন্য রেশনিং, নিরাপদ কর্ম পরিবেশ, কর্মক্ষত্রে যৌন হয়রানি বন্ধ, নারী-পুরুষ সমকাজে সম মজুরি চালু, গৃহকর্মীসহ অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের শ্রমিক কর্মীদের শ্রমিক হিসাবে আইনী মর্যাদা প্রদান ও ট্রেড ইউনিয়ন অধিকার নিশ্চিত করার জন্য দাবি জানান। তিনি বলেন, শ্রমিক কর্মচারীদের বাঁচামরার দাবি, জনগণের দুঃখ কষ্ট সমাধানের বদলে সাম্প্রদায়িক শক্তিকে পার্টনার করে ক্ষমতা দখলের তথাকথিত আন্দোলনের শ্রমিক কর্মচারীদের কোনো লাভও নাই, সম্পর্কও নাই। তিনি বলেন, সরকার মালিকদের প্রণোদনার নামে অনেক সুযোগ সুবিধা দিয়েই চলেছে। তিনি মালিকদের দেয়া সুযোগ সুবিধা থেকে শ্রমিকের প্রাপ্য আলাদা করে সরাসরি শ্রমিকে হাতে তুলে দেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানান।

সমাবেশশেষে বিভিন্ন কলকারখানা, ফ্যাক্টরির শত শত শ্রমিক লাল পতাকা হাতে বঙ্গবন্ধু এভিনিউ, গুলিস্তান, পল্টন, তোপখানা, প্রেসক্লাব, হাইকোর্ট এলাকায় সড়কে বিক্ষোব মিছিল করেন।