Home জাতীয় নৌদুর্ঘটনা রোধে দৃশ্যমান ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি ১২ সংগঠনের

নৌদুর্ঘটনা রোধে দৃশ্যমান ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি ১২ সংগঠনের

42

ডেস্ক রিপোর্ট: যাত্রীবাহী লঞ্চসহ সব ধরনের নৌদুর্ঘটনা প্রতিরোধে দৃশ্যমান ও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে ১২টি বেসরকারি সংগঠন। একইসঙ্গে গত রোববার (২০ মার্চ) নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যায় নৌদুর্ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত, দায়ীদের কঠোর শাস্তি নিশ্চিত এবং দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ সম্পর্কে গণমাধ্যমকর্মীসহ দেশবাসীকে অবহিত করতে নৌ মন্ত্রণালয়, নৌ পরিবহন অধিদপ্তর ও বিআইডব্লিউটিএর ওয়েবসাইটে তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশের দাবি জানানো হয়েছে। আজ বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক যৌথ বিবৃতিতে নদী, নৌ যোগাযোগ, গণপরিবহন, পরিবেশ ও নাগরিক অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠনগুলো সরকারের কাছে এসব দাবি জানায়।

নারায়ণগঞ্জের ঘটনাটিকে সংশ্লিষ্টদের দায়িত্বজ্ঞানহীনতা ও অদক্ষতাজনিত হত্যাকান্ড উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, ডুবে যাওয়া লঞ্চ এমএল আফসার উদ্দিন-২ এবং এটিকে ধাক্কা দেয়া এমভি রূপসী-৯ কার্গোজাহাজ- দুটি নৌযানেরই বার্ষিক ফিটনেস প্রদানে অনিয়মের তথ্য বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। ৩০ বছরের পুরনো লক্কড়-ঝক্কড় লঞ্চটিকে শীতলক্ষ্যা ও মেঘনার মতো খরস্রোতা নদীতে চলাচলের অনুমতি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এছাড়া যোগ্যতাসম্পন্ন চালক (মাস্টার ও ড্রাইভার) ও নৌ অধিদপ্তরের ডিসপেনশন সনদ ছাড়া কার্গোজাহাজটিকে কেনো দফায় দফায় অস্থায়ী ফিটনেস এবং উপকূলীয় এই নৌযান কীভাবে অভ্যন্তরীণ নৌপথে চলাচলের সুযোগ পেলো- তা নিয়েও দেখা দিয়েছে জোরালো প্রশ্ন। তাই সুষ্ঠু, প্রভাবমুক্ত ও গ্রহণযোগ্য তদন্তের স্বার্থে দুর্ঘটনাকবলিত দুটি নৌযানের ফিটনেস প্রদানকারী শিপ সার্ভেয়ারদেরকেও তদন্তের আওতায় আনার দাবি জানানো হয়েছে বিবৃতিতে।

নৌপথে বারবার দুর্ঘটনা ও প্রাণহানিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বিবৃতিতে বলা হয়, প্রায়ই দেশের কোথাও না কোথাও নৌদুর্ঘটনা ঘটলেও তা নিরসনে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর যথাযথ পদক্ষেপ দেখা যায় না। প্রধানমন্ত্রীর অঙ্গিকার ও নির্দেশনা সত্ত্বেও এসব সংস্থার অদূরদর্শীতা, অদক্ষতা, অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার কারণে গত ১৩ বছরেও নৌ যোগাযোগ খাত আধুনিক ও জনবান্ধব হয়ে ওঠেনি। এছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে ও নিকট অতীতে বিভিন্ন দুর্ঘটনার জন্য দায়ী সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিরও কোনো নজির নেই। নৌপথে বারবার দুর্ঘটনার এটিও একটি অন্যতম কারণ বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।

বিবৃতিদাতারা হলেন- গ্রিন ক্লাব অব বাংলাদেশের (জিসিবি) সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুর রহমান সেলিম, নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটির সভাপতি হাজী মোহাম্মদ শহীদ মিয়া, নিরাপদ নৌপথ বাস্তবায়ন আন্দোলনের সদস্যসচিব আমিনুর রসুল বাবুল, সুন্দরবন ও উপকূল সুরক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়ক নিখিল চন্দ্র ভদ্র, যাত্রী অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সামসুদ্দীন চৌধুরী, প্রভারটি ইমুলিনেশন এ্যাস্ট্যিান্স সেন্টার ফর এভরিহোয়্যারের (পিস) নির্বাহী পরিচালক ইফমা হুসেইন, মিডিয়া ফোরাম ফর হিউম্যান রাইটস এ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ডেভেলপমেন্টের (মেড) নির্বাহী পরিচালক রফিকুল ইসলাম সবুজ, মানবাধিকার উন্নয়ন কেন্দ্রের মহাসচিব মাহবুল হক, বাংলাদেশ হকার্স ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সেকেন্দার হায়াৎ, জনলোকের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী রফিকুল ইসলাম সুজন, আলোকিত গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি বাপ্পিদেব বর্মণ ও দ্বীপ উন্নয়ন সংস্থার সমন্বয়ক গোলাম মোস্তফা।