Home রাজনীতি ১৬ ডিসেম্বর আমাদের জাতীয় জীবনে এক মহিমামন্ডিত ঐতিহাসিক দিন–মির্জা ফখরুল

১৬ ডিসেম্বর আমাদের জাতীয় জীবনে এক মহিমামন্ডিত ঐতিহাসিক দিন–মির্জা ফখরুল

35

ডেস্ক রিপোর্ট: মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বাণীতে বলেছেন, ১৬ ডিসেম্বর আমাদের জাতীয় জীবনে এক মহিমামন্ডিত ঐতিহাসিক দিন। এই দিনটির জন্যই সারাবিশ্বে বাংলাদেশী জাতি ও বাংলাদেশের মর্যাদা আজ সুপ্রতিষ্ঠিত। দীর্ঘ পরাধীনতার শৃৃঙ্খল ছিন্ন করে ১৯৭১ সালে দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর এদিনে আমরা প্রিয় মাতৃভূমিকে দখলদারমুক্ত করতে সক্ষম হই। এ স্বাধীনতাযুদ্ধে যারা আত্মদান করেছেন, সেসব বীর শহীদদের স্মৃতির প্রতি আমি গভীর শ্রদ্ধা জানাই।
তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ স্বাধীনতার ঘোষক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আহবানে শুরু হওয়া স্বাধীনতাযুদ্ধ ওই বছর ১৬ ডিসেম্বর পাক হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে দেশের অকুতোভয় বীর মুক্তি যোদ্ধারা বিজয়ী হয়। তাই ১৬ ডিসেম্বর আমাদের গর্বিত এবং মহিমান্বিত বিজয় দিবস। এদেশের দামাল ছেলেরা হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে ছিনিয়ে এনেছিলো দেশমাতৃকার স্বাধীনতা। আজকের এ মহান দিনে সেসব বীর সেনাদের প্রতি আমার সশ্রদ্ধ অভিবাদন।
এক সাগর রক্তের বিনিময়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা গত শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ অর্জন। গণতন্ত্র এবং অর্থনৈতিক মুক্তির মাধ্যমে একটি সুখী সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্য নিয়েই আমরা স্বাধীনতাযুদ্ধ করেছিলাম। সে লক্ষ্য পূরণে আমরা আজও কাজ করে যাচ্ছি। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা আমাদের চুড়ান্ত লক্ষ্যে পৌঁছতে সক্ষম হবো বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস। মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন-সংগ্রামে আপোষহীন নেত্রী ‘গণতন্ত্রের মা’ বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে কারান্তরীণ করে রাখার পর কার্যত: এখনও তাঁকে বন্দী অবস্থায রাখা হয়েছে। দীর্ঘদিন কারাবন্দী থাকার কারণে দেশনেত্রী এখন ভীষণ অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। সরকার নানা টালবাহানায় দেশনেত্রীর সুচিকিৎসাকে বাধাগ্রস্ত করছে এবং তাঁকে বিদেশে পাঠানোর কোন উদ্যোগ গ্রহণ করছে না। তাঁকে নিঃশেষ করতে অন্তহীন চক্রান্তজাল বুনে চলছে। দেশনেত্রীর মুক্তি ও সুচিকিৎসার জন্য তাঁকে বিদেশ পাঠাতে সরকারকে বাধ্য করতে এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য আমাদের সকলকে সম্মিলিতভাবে আন্দোলন সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে।