Home সাহিত্য ও বিনোদন ১০ দিনব্যাপী শিল্পকলায় “সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান

১০ দিনব্যাপী শিল্পকলায় “সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান

34

৮ম দিনে শিশু-কিশোরদের নিয়ে অনুষ্ঠান: “নতুন যৌবনের দূত”

ডেস্ক রিপোর্ট: বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে ১ লা জুন থেকে ১১ জুন পর্যন্ত ১০ দিনব্যাপী চলছে “সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। প্রতিশ্রুতিশীল, বরেণ্য, প্রবীণ এবং শিশু শিল্পীদের অংশগ্রহণে ১০ দিনব্যাপী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানমালার আজকের আয়োজনে ছিলো শিশু-কিশোরদের নিয়ে অনুষ্ঠান: ‘নতুন যৌবনের দূত। সাংস্কৃতিক পরিবেশনার শুরুতে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য তুলে ধরেন একাডেমির মহাপরিচালক জনাব লিয়াকত আলী লাকী। মহাপরিচালক বলেন- “শিশুদের মনন বিকাশে গুরুত্ব দিয়ে প্রকৃতির সান্নিধ্যে বেড়ে ওঠতে তাদের সহায়তা করতে হবে। প্রকৃতি থেকে তাদের জ্ঞান আহরণের সুযোগ দিতে হবে। পরীক্ষার ফলাফল মেধা মুল্যায়নের অনুষঙ্গ নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, শিশুদের কেবল অনুশাসনের মধ্যে রাখলে চলবে না। তাদের সুস্থ মনোজগতের বিকাশে প্রকৃতির সাথে বেড়ে ওঠার স্বাধীনতা দিতে হবে।
শিশু-কিশোরদের নিয়ে অনুষ্ঠান: ‘নতুন যৌবনের দূত পরিবেশিত হয় জাতীয় সংগীত ও নৃত্যকলা মিলনায়তনে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের শুরুতেই দলীয় সংগীত পরিবেশন করে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি শিশু সংগীত দল “আমরা সবাই মঞ্চকুঁড়ি গানের কথা ও সুর: লিয়াকত আলী লাকীএর পর পরিবেশিত হয় দলীয় নৃত্য ‘চলো বাংলাদে ‘ পরিবেশনায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি শিশু নৃত্য দল, নৃত্য পরিচালনায় ছিলেন জয়দ্বীপ পালিত। পরে একক সংগীত পরিবেশন করেন সুপ্রভা রহমান শিতি ‘সবুজ শোভা ঢেউ খেলে যায়, প্রিয়ন্তি মজুমদার পরিবেশন করেন ‘কতবার ভেবেছিনু ‘বারিশ ধরা মাঝ ‘ এর সাথে দ্বৈত নৃত্যপরিবেশন করেন উমুয়নী দাস ও আদিত্য দাস, এর পর একক নৃত্য পরিবেশন করেন সুনেহরা রওশন অন্বেষা ‘সপ্তসুরের শিখার আমি একক সংগীত পরিবেশন করেন সৈয়দা ফাওজিয়া ইসলাম ‘লোকে বলে বলেরে।’
আবৃত্তি পরিবেশন করেন ইমন-তুর্য-তৃণা ‘পাত্র সমাচার’। একক সংগীত পরিবেশন করেন সামিয়া চৌধুরী‘ধন্য ধন্য বলি তারে পরে একক যন্ত্রসংগীত (বেহালা) পরিবেশন করেন নাফিস মোস্তফা সামি ‘দাও শৌর্য দাও ধৈর্য্যএকক সংগীত পরিবেশন করেন সপ্লীল সরকার দিব্য ‘আমার প্রাণের মানুষ আছ‘ তানিশা সাজিন পরিবেশন করেন ‘প্রিয় যাই যাই বোলোনা’
দলীয় সংগীত পরিবেশন করেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির শিশু সংগীত দল ‘এমন মজা হয় না’ ‘একি অপরূপ রূপে মা তোমার। সবশেষ বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির শিশু নৃত্যদলের পরিবেশনায় দলীয় নৃত্য ‘আমরা সুন্দরের অতন্দ্র প্রহরী’ পরিবেশনার মধ্য দিয়ে শেষ হয় শিশু কিশোরদের নিয়ে ৮ম দিনের আয়োজন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন আনসি ও বৃন্ত।
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে প্রতিশ্রুতিশীল, বরেণ্য, প্রবীণ এবং শিশু শিল্পীদের অংশগ্রহণে ১০ দিনব্যাপী চলা এ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু হয় পঞ্চকবির গান পরিবেশনার মধ্য দিয়ে। বাংলা সাহিত্যে পঞ্চকবি হলেন পাঁচজন কবি যাঁরা কবিতা লেখার পাশাপাশি একইসাথে গীতিকার, সুরকার এবং গায়ক- কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম, দ্বিজেন্দ্রলাল রায়, রজনীকান্ত্ সেন ও অতুলপ্রসাদ সেন।
২য় দিন পরিবেশিত হয় দেশের গানের অনুষ্ঠান; প্রিয় দেশমাতৃকা।
৩ জুন ২০২৩ ৩য় দিনের পরিবেশনায় ছিলো বিভিন্ন জেলা থেকে আগত বাউল শিল্পীদের নিয়ে পরিশেনা বাউল গানের অনুষ্ঠান; অচিনপাখি।
৪র্থ দিন পরিবেশিত হয় বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের গান নিয়ে অনুষ্ঠান; সিনেমার গান।
৫ম দিন, প্রবীণ ও গুণী শিল্পীদের অংশগ্রহণে পরিবেশিত হয় ‘ধ্রুবতার ‘ এতে অংশ নেন বুলবুল মহলানবীশ, আকরামুল ইসলাম, সাইদুর রহমান বয়াতি, তিমির নন্দী, ফাতেমা তুজ জোহরা এবং জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়ের মতো গুণী শিল্পীরা।
৬ষ্ঠ দিন পরিবেশিত হয় পালাগানের অনুষ্ঠান: ‘লোকগাঁথা’
গ্রাম বাংলার বহুল জনপ্রিয় লোক ঐতিহ্য পালাগানে অংশ নেন লতিফ সরকার ও রুমা সরকার, ১ম পর্বের আয়োজনে পালার নাম ছিলো শরীয়ত এবং মারফত।
দ্বিতীয় পর্ব অংশ নেন মহারাজ আবুল সরকার বনাম আকলিমা বেগম। পালার নাম: নবুয়াত বেলায়েত
৭ম দিনেও পরিবেশিত হয় পালাগানের অনুষ্ঠান: ‘লোকগাঁথা’
পালাগান পরিবেশন করেন বাউল মাতা আলেয়া বেগম ও দেলোয়ার হোসেন বয়াতি
পালার নাম: ‘গুরু- শিষ্য’
দ্বিতীয় পর্বের পরিবেশনায় অংশ নেন শাহ আলম ও মুক্তা সরকার, পালার নাম: ‘নারী -পুরুষ’
আগামী ১১ জুন ভাওয়াইয়া গানের অনুষ্ঠান; মাটির সুর পরিবেশনার মধ্য দিয়ে শেষ হবে ১০ দিনব্যাপী এ বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানমালা। ১০ দিনব্যাপী এ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানমালার ভাবনা ও পরিকল্পনায় একাডেমির মহাপরিচালক জনাব লিয়াকত আলী লাকী এবং অনুষ্ঠান আয়োজনে সমন্বয়ক ছিলেন একাডেমির কর্মকর্তা সাদিয়া বিনতে আফজাল।