Home জাতীয় ১০ম গ্রেড চান প্রাথমিক সহকারী শিক্ষকরা

১০ম গ্রেড চান প্রাথমিক সহকারী শিক্ষকরা

35

ডেস্ক রিপোর্ট: সহকারী শিক্ষকদের গ্রেড বৈষম্য হ্রাস করে অচিরেই ১০ম গ্রেড তথা দ্বিতীয় শ্রেণীর মর্যাদা দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন প্রাথমিক সহকারী শিক্ষকরা। সম্মান ও সম্মানী বাঁচাতে প্রয়োজনে আন্দোলনে নামারও হুমকি দিয়েছে তারা।

রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে শুক্রবার আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষক নেতারা এ দাবি তুলে ধরেন। এসময় প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক-১০ম গ্রেড বাস্তবায়ন পরিষদের সমন্বয়ক মাহবুবুর রহমানসহ সারাদেশ থেকে আগত শিক্ষক নেতারা গ্রেড বৈষম্যসহ শিক্ষকদের দুর্বিষহ জীবনের চিত্র তুলে ধরেন।

শিক্ষক বক্তারা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি ব্যাপকভাবে সাধিত হলেও শিক্ষকদের জীবনমানের উল্লেখযোগ্য কোনো উন্নতি হয়নি। মাথাপিছু আয় ২০১৫ সালের তুলনায় বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ। অথচ সহকারী শিক্ষকদের বেতন তেমনটা বাড়েনি। এমতাবস্থায় নিত্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধিসহ জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় মানবেতর জীবন যাপন করছে শিক্ষকরা।

তারা আরও বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বৈষম্য হ্রাসে সহকারী শিক্ষক ও প্রধান শিক্ষকের বেতন একই গ্রেডে দিয়ে আসছিলেন। তবে ১৫ আগস্টের কালরাত্রের পর দেশে সামরিক শাসন জারি হলে শিক্ষকদের মধ্যে প্রথম বৈষম্য নিয়ে আসেন তারা। এর পর থেকেই সহকারী শিক্ষকগণ বৈষম্যের শিকার হয়ে আসছে।

“শিক্ষা নিয়ে গড়বো দেশ-দুর্নীতিমুক্ত উন্নত বাংলাদেশ”- এমন স্লোগানকে সামনে রেখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, তার সরকার শিক্ষায় বরাদ্দ নয় বরং বিনিয়োগ করছে। সরকার শিক্ষাক্ষেত্রে যখন এত ‘ফোকাস’ দিয়েছে, তখন সহকারী শিক্ষকরা কেন বঞ্চিত থাকবে, এমন প্রশ্ন তাদের।

বৈষম্যের চিত্র তুলে ধরে মাহবুবুর রহমান বলেন, দেশে স্নাতক পাশের যোগ্যতায় অন্য পেশায় ৯/১০ গ্রেড দেওয়া হলেও সহকারী শিক্ষকদের দেওয়া হয়েছে ১৩তম গ্রেড, যা বৈষম্য বৈ আর কিছু নয়। ডিপ্লোমা (এইচএসসি সমমান) করে নার্স ও কৃষি উপ-সহকারীগণ ১০ গ্রেডে বেতন পেলেও ১৩তম গ্রেডের বেতন পাচ্ছেন দেশ তৈরির এই কারিগররা। তাই অচিরেই গ্রেড বৈষম্য বিলোপ করে সহকারী শিক্ষকদের দশম গ্রেড ঘোষণার দাবি জানিয়েছে তারা।

এদিকে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মোঃ মাহবুবুর রহমান, কবীর মোল্লা, অানোয়ার হোসেন, মোঃ সোহেল, মোস্তাফিজুর রহমান ও জাকির হোসেনসহ শতাধিক শিক্ষক।

উল্লেখ্য, মাধ্যমিক স্কুলের সহকারী শিক্ষকরা, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের (পিটিআই) সহকারী শিক্ষকরা ১০ম গ্রেডে বেতন পেয়ে আসছেন।-যুগান্তর