Home রাজনীতি হাইব্রিডদের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে জর্জড়িত ডেমরা আওয়ামী লীগ

হাইব্রিডদের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে জর্জড়িত ডেমরা আওয়ামী লীগ

127

সম্মেলনের পর দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের বাসাবাড়ি-অফিসে তদবির

স্টাফ রিপোর্টারঃ অভ্যন্তরীণ কোন্দলে জর্জড়িত ডেমরা থানা আওয়ামী লীগের রাজনীতি এখন চরম আকার ধারণ করেছে বলে এলাকায় আলোচনা-সমালোচনার ঝড় উঠেছে। নেতৃবৃন্দরা প্রত্যেকেই যার যার অবস্থান থেকে নিজ বলয় গড়ে তোলায় ব্যস্ত সময় পাড় করছেন। লক্ষ একটাই সময়মতো নিজের শক্তির জানান দেওয়া। এরইমধ্যে নতুনভাবে ডেমরা থানা ও ওয়ার্ড ভিত্তিক কমিটিতে নিজেদের স্থান করে নিতে দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের বাসাবাড়ি ও অফিছে তৎবির চালাচ্ছেন হাইব্রিডরা। তবে থানা কমিটিতে ডেমরার বাইরে কাউকে নেতা নির্বাচিত করলে মেনে নিবেন না এখানকার তৃণমূল আওয়ামী লীগ।
এদিকে ‘গত ৩ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত সম্মেলনের পর পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও পোস্টার-ব্যানারে ওমোক-তমোক ভাইকে থানা-ওয়ার্ডের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দেখতে চাই’ প্রচার-প্রচারনায় প্রতিযোগিতা শুরু করেছে নিজ নিজ কর্মী-সমর্থকরা। শুধু কর্মী-সমর্থকদের দিয়ে প্রচারনার প্রতিযোগিতাই নয়, এর বাইরে দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের অফিস-বাসাবাড়িতে প্রতিদিন ভীড় করছেন পদ-পদবী প্রতাশী থানা ওয়ার্ডের নেতাকর্মীরা। গত বুধবার ওয়ারীস্থ এফ এম শরিফুল ইসলাম শরিফের বাসবভনের নিচতলায় নেতাকর্মীদের আড্ডা দেখা গেছে। আড্ডা ও ভীড় দেখা গেছে ঢাকা মহানগর দক্ষিন আওয়ামী লীগের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মন্নাফীর ওয়ারীস্থ বাসভনের নিচে। কেউ কেউ দেখা করলেও অনেকে দেখা করতে না পেরে ফিরে এসেছেন। একই অবস্থা ঢাকা দক্ষিন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবিরের বাসভবনে। তবে কাজী মনিরুল ইসলাম মনু এমপির গেন্ডারিয়াস্থ কাজী ভবনে এমপি লীগের কর্মী আব্দুল আলীম, আশফাক আহম্মেদ ভুট্টুসহ আরও অনেকে নেতা হওয়ার আশায় তদবিরে ব্যস্ত রয়েছেন। একই সাথে নেতা হতে চান এমপি লীগের এমন কর্মীদের সিভিও জমা নিচ্ছেন কাজী মনিরুল ইসলাম মনু। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এমপি লীগের এক কর্মী জানিয়েছেন এমপি মহোদয় তাদের আশ্বস্ত করেছেন ঢাকা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপÍ নেতা ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজমের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তাদের নেতা হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করবেন। কেউ কেউ নেতাদের খুশি করতে নামি-দামি ব্রাণ্ডের মিষ্টিসহ উপটোকন নিয়ে হাজির হচ্ছেন এবং সেলফি তুলে ফেইসবুকে জানান দিচ্ছেন। এতে অনেকটাই বিব্রতকর অবস্থায় পড়ছেন কেন্দ্রীয় নেতারাও।
তবে সবচেয়ে আলোচিত হচ্ছে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের আওতাধীন ডেমরা থানা এবং ৬৪,৬৬,৬৭,৬৮,৬৯, ও৭০ নং ওয়ার্ডের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে হাইব্রিড নেতাদের বক্তব্য। সম্মেলনের দিন মঞ্চে ওঠে ৬৭,৬৮ ও ৬৯ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর মাহফুজা আক্তার হিমেলের বক্তব্যে। ওইদিন তিনি শুরুতেই বলেছেন, বেগম দেশনেত্রী শেখ হাসিনা’ এই বক্তব্যে ইতিমধ্যেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়। হিমেলের প্রয়াত পিতা সিরাজুল ইসলাম ওরয়ে কাইল্লা সিরাজ বিএনপির যুবদলের ডেমরা থানার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। পাশাপাশি ৬৪,৬৫ ও ৬৬ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর নিলুফা ইয়াসমিন লাকি ঢাকা-৫ আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী ও যাত্রাবাড়ী থানা বিএনপির সভাপতি নবী উল্লাহ নবীর অন্যতম কর্মী ছিলেন। তবে কালের আবর্তে তিনি এখন আওয়ামী লীগ বনে গেছেন স্ব ইচ্ছায়। আওয়ামী লীগের সম্মেলনসহ সকল প্রোগ্রামে স্টেজে উঠে বক্তব্য শুরু করে দেন ও নারী কাউন্সিলর। তার বাবা গিয়াস উদ্দিন বিএনপির একজন সক্রিয় নেতা ছিলেন। নৌকা সমর্থিত ৬৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর বীরমুক্তিযোদ্ধা মাসুদুর রহমান মোল্লা বাবুল। তিনি একাধিকবার নির্বাচিত প্রয়াত এমপি হাবিবুর রহমান মোল্লার ছোট ভাই। স্বাধীনতার পরবর্তীতে অদ্যবধি তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতি করে আসছেন। একই ওয়ার্ডে দীর্ঘদিন যাবত ছাত্রলীগ-যুবলীগ এবং বর্তমানে আওয়ামী লীগের সকল আন্দোলন-সংগ্রামে নিজেকে সক্রিয় রেখেছেন আরেক ত্যাগী-পরীক্ষিত নেতা মো: সোহেল খান। ৬৬নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নৌকার মনোনয়ন পেয়েও পরাজিত হয়েছেন দলের দু:সময়ের কাণ্ডারী হিসেবে পরিচিত হানিফ তালুকদার। তিনি এই ওয়ার্ডে এবার সভাপতি প্রার্থী হিসেবে সিভি জমা দিয়েছেন। হানিফ তালুকদার আজন্ম আওয়ামী লীগার হিসেবে ডেমরা থানাধীন এলাকায় ব্যাপক পরিচিত। একই ওয়ার্ডে আরেক ছাত্রনেতা ও সারুলিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাফর আহমেদ বাবু। তিনি এবার ৬৬নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী। তার আশা যোগ্যতা ও কর্মদক্ষতায় এবার দলের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা তাকে মনোনীত করবেন। ডেমরা-যাত্রাবাড়ি থানা আওয়ামী লীগের পরীক্ষিত সৈনিক মো: শফিউদ্দিন শফিক। ১/১১ ও পরবর্তী সময়ে বিএনপি-জামায়াত ও হেফাজতে ইসলামের সরকার পরাজয়ের আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন। ওই আন্দোলন করতে গিয়ে বেশ কয়েকবার আহত হয়েছেন। তিনিও এবার ৬৬নংওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের পদ প্রত্যাশী। ডেমরা থানা ও ওয়ার্ডগুলোর ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের পর দলের পরীক্ষিত নেতা মাজহারুল ইসলাম খসরু অনেকটাই আশাবাদী হয়ে উঠেছেন। তিনি সারুলিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের দীর্ঘদিন যাবত নেতা ছিলেন। তবে পদ-পদবী পেতে ব্যতিক্রমও আছে। সম্মেলনের দিন সিভি জমা দিয়েছেন অনেক চাঁদাবাজ-সন্ত্রাসী ও একাধিক মামলার আসামীও। তাদের বিষয়ে সর্তক থাকবেন বলে জানিয়েছেন ঢাকা-৫ নির্বাচনী এলাকায় দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা। তাদের মধ্যে ঢাকা মহানগর দক্ষিন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম সারোয়ার কবির এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক এফ এম শরিফুল ইসলাম।

ডেমরা থানার স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের দাবি, দলের সু-সময়ে অনেকেই স্থানীয় এমপি ও থানার সভাপতি/সম্পাদকদের মোটা অংকের অর্থ দিয়ে রাতারাতি আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী বনে গেছেন। অথচ আওয়ামী লীগের দু:সময়ে রাজপথে বিএনপি-জামাতের দু:শাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলন-সংগ্রামে কাউকে দেখা যায়নি। তাই এবার তাদের দলের কোনো ধরনের পদ-পদবী দেওয়া হলে মেনে নিবেন না তৃণমূল আওয়ামী লীগ। তাদের দাবি, টানা তিন মেয়াদে ক্ষমতায় আছে আওয়ামী লীগ। এই সুবাধে কতিপয় সন্ত্রাসী-ভূমিদস্যু ও চাঁদাবাজ নেতাদের হাত ধরে হঠাৎ আওয়ামী লীগ বনে গেছে। যদিও বিগত দিনে তার া বিএনপি-জামায়াতের দোসর ছিল। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা-হামলা করেছে। আজকে তারা দলের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের চারপাশে ঘুর ঘুর করছেন। তাদের পদ-পদবী দিলে প্রয়োজনে আন্দোলনে নামবে স্থানীয় আওয়ামী লীগ। প্রকৃত আওয়ামী লীগের তৃণমূলের কর্মীরা বলছেন, দলের পরীক্ষিত-ত্যাগী নবীন-প্রবিণের সমন্বয়ে ডেমরা থানা এবং ৬৪,৬৬,৬৭,৬৮,৬৯, ও৭০ নং ওয়ার্ডের কমিটি উপহার দিলে আওয়ামী লীগ শক্তিশালী হবে। আর বিএনপি-জামাত ও স্বাধীনতা বিরোধীদের কাছ থেকে অর্থের বিনিময়ে কমিটি দিলে বয়কটের পাশাপাশি আওয়ামী লীগকে দুর্বল করা হবে। সম্মেলনে অনেক হাইব্রিড নেতারা নিজেদের জনপ্রিয়তা জানান দিতে সম্মেলনের দিন ভাড়া করে সম্মেলনে লোকজন নিয়ে আসার অভিযোগ রয়েছে। কিন্তু ওইসব লোকজনদের দলের আন্দোলন সংগ্রামে কখনো দেখা যায়নি। আর নেতাদের পক্ষে ওইসব লোকজনের মধ্যে অনেকেই ছিলেন দিনমজুর, নুলুলস, ব্যাগ, ব্যাকারি, মিনি গার্মেন্টস কারখানা, বিভিন্ন যানবাহন শ্রমিক ও রিকশাচালকসহ দলের বাইরের লোকজন। তাদের প্রত্যেকের দাবি, বিগত দিনে দলের প্রতি কার কি ভূমিকা ছিল এবং বিএনপি-জামাত জোট সরকারের সময় কারা আওয়ামী লীগের জন্য ত্যাগ শিকার করেছে। একইসাথে জননেত্রী শেখ হাসিনার কারাবন্ধী অবস্থায় পুলিশের হামলা-মামলার শিকার হয়ে ও রাজপথ ছাড়েননি। নির্যাতন-নিপীড়ন সহ্য করে জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে কাজ করেছে, এবার তাদের মূল্যায়ন করতে হবে। এমনিতেই তৃণমূল আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা দল থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন এবং নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছেন। এবার সেই নেতাদের সক্রিয় করার দাবি জানিয়েছেন দলের ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতারা। একইসাথে যে যে থানা কিংবা ওয়ার্ডের আওতাধীন ও ভোটার তাদের সেই থানা-ওয়ার্ডের নেতা বানানো হোক। তবে অন্য কোনো থানা কিংবা ওয়ার্ডের নেতাদের জোর করে চাপিয়ে দিয়ে নেতা বানালে কঠোর আন্দোলন গড়ে তুলবেন স্থানীয় নেতাকর্মীরা।
অভিযোগ রয়েছে, প্রকৃত আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ঢাকা-৫ নির্বাচনী এলাকার অন্তর্ভুক্ত ডেমরা যাত্রাবাড়ী থানা ওয়ার্ডের পদ প্রত্যাশীরা অভিমানে নিজ এলাকায় অবস্থান করছেন। তবে বিএনপি জামাত ও জাতীয় পার্টি থেকে আগত কর্মীরা দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের বাসা বাড়ি অফিসে আনাগোনা শুরু করেছেন। শুধু তাই নয় অভিযোগ উঠেছে এসবকর্মীরা টাকার বিনিময়ে সভাপতি সম্পাদকসহ গুরুত্বপূর্ণ গুরুত্বপূর্ণ পদ পদবী বাগিয়ে নিতে নানা কৌশল অবলম্বন করছেন। এতে অর্থ বিনিময়ের অভিযোগের পাশাপাশি স্বজন প্রীতির অভিযোগ উঠেছে। কেউ কেউ নেতাদের আত্মীয়-স্বজন ম্যানেজ করে পদ পেতে চাচ্ছেন। নিয়ে যাচ্ছেন নানা উপঢৌকন। তবে ডেমরা এলাকার বাসিন্দারা চাচ্ছেন সভাপতি ও সম্পাদক নির্বাচিত হোক ডেমরা থানা এলাকার রাজনীতিবিদ। ডেমরা থানা এলাকার বাইরে কাউকে নেতা বানালে তা মেনে মেনে নেবেন না তারা। এক্ষেত্রে ডেমরা থানা কমিটির সভাপতি পদ প্রত্যাশি নেহরিন মোস্তফা দিশির বাড়ি যাত্রাবাড়ী থানা এলাকার মৃধাবাড়ী এলাকায়। সদ্য বিদায়ী ডেমরা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি যাত্রাবাড়ী থানার অন্তর্ভুক্ত ৬৩ নাম্বার ওয়ার্ড এলাকায়, তবে প্রয়াত এমপি হাবিবুর রহমান মোল্লার জ্যেষ্ঠ পুত্র ডেমরা থানা আওয়ামী লীগের সদ্য বিদায়ী সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান মোল্লা সজলের বাড়ি আওয়ামী লীগের সাংগঠনিকভাবে ডেমরা থানার অন্তর্ভুক্ত। এদিকে ডিএসসির ৭০ নাম্বার ওয়ার্ড কাউন্সিলর আতিকুর রহমান আতিকের বড় ভাই জয়নাল আবেদীন রতন ডেমরা থানা বিএনপির সভাপতি হওয়ায় অনেকটাই বিব্রতকর পরিস্থিতিতে আছেন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ার ক্ষেত্রে। অভিযোগ উঠেছে নৌকার কাউন্সিলর হয়ে আতিক তার ভাই বিএনপি নেতা রতনকে সেল্টার দিচ্ছেন নানাভাবে।
আরও অভিযোগ,বিগত ২০১৬ সালে আওয়ামী লীগের গঠিত থানা কমিটির সভাপতি ও সম্পাদকের নাম ঘোষণা করা হলেও এ পর্যন্ত পূর্ণাঙ্গ কমিটি হয়নি। সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের স্বাক্ষরিত এক প্রেস রিলিজের মাধ্যমে ওই কমিটি ঘোষণা করা হয়। শুধুমাত্র ডেমরা যাত্রাবাড়ী ছাড়া ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের সকল থানা ওয়ার্ডের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়। এক্ষেত্রে নানা কোন্দল ও জটিলতায় ডেমরা ও যাত্রাবাড়ী থানার পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করতে পারেনি দায়িত্বপ্রাপ্ত সভাপতি ও সম্পাদকরা। যার কারণে এই এলাকায় নেতাকর্মীদের মাঝে এক ধরনের হতাশা ও ক্ষোভ বিরাজ করছে। এরই ধারাবাহিকতায় এখানকার প্রকৃত আওয়ামী লীগের প্রবীণ কর্মীরা একেবারেই নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছেন। সর্বশেষ এই কোন্দল দেখা যায় ডেমরা থানা আওয়ামী লীগের ত্রি বার্ষিক সম্মেলনে। সম্মেলনের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের হুঁশিয়ার সত্ত্বেও ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে বিএনপি জামাত থেকে আগত নেতাকর্মীদের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। শুধু তাই নয় এই সম্মেলনে নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশীরা নিজেদের শক্তি জানান দিতে ব্যক্তি লীগের কর্মীদের নিয়ে শোডাউন দেখা গেছে। কেন্দ্রীয় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের নেতারা বারবার মাইকে উচ্চস্বরে কথা না বলার নির্দেশ দিলেও নেতাকর্মীরা তা মানেনি উল্টো প্রতিটি নেতারা বক্তব্য দেওয়ার সময় উচ্চস্বরে বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে ব্যক্তি স্লোগান দিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছে।
এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির বলেন, রাজধানীর ডেমরা হচ্ছে আওয়ামী লীগের একটি ঘাটি। দীর্ঘ ১৮ বছর পরে ডেমরায় আওয়ামী লীগের সম্মেলন হয়েছে বলে ডেমরা থানা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা খুব খুশি।

তবে দলীয় কোন্দল সারা পৃথিবীতে রয়েছে। এক্ষেত্রে সারা দেশের ন্যায় ডেমরাতেও দলীয় কোন্দল কিছুটা থাকলেও কমিটি ঘোষণার পর আশা করি সকলে মিলেমিশে থাকবে। এক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের হাইপ্রোফাইল নেতৃবৃন্দসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সমন্বয়ে প্রার্থীদের বিষয়ে বিচার বিবেচনা করে খোঁজ খবর নিয়ে ডেমরা থানা ও ওয়ার্ড কমিটি গঠন করা হবে।
এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিন আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মন্নাফী বলেন, নেতাকর্মীরা সাক্ষাৎ করতে আসতেই পারে। আমি তাদের সাধ্যমতো আপ্যায়ন করবো। তবে আমার কাছে তৎবির করে কোনো লাভ হবে না। তিনি বলেন, বিগত দিনে দলের জন্য যারা শ্রমদিয়েছেন এবং দলের প্রয়োজনে নেতাদের নির্দেশে কাজ করেছেন আমরা কেবল তাদেরই থানা-ওয়ার্ডে নির্বাচিত করবো। দলের পরীক্ষিত সৈনিকদের ছাড়া অন্য দল থেকে আগত কাউয়াদের আমরা নেতা বানাতে পারবো না। এটা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ। আমরা শেখ হাসিনা কর্মী, উনি যে নির্দেশ দিবেন আমরা সেভাবেই কাজ করবো।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপি বলেন, ক্লিন ইমেজের নেতাদের মাধ্যমে ওয়ার্ড ও ডেমরা থানা আওয়ামী লীগের কমিটি গঠন করা হবে। কোনো ধরনের বিতর্কিত, দুর্নীতিবাজ, চাঁদাবাজ ও ভূমিদস্যুদের কমিটিতে স্থান পাবে না।