Home কৃষি হঠাৎ বৃষ্টিতে তরমুজ চাষীদের স্বপ্ন কালো মেঘে অন্ধকার

হঠাৎ বৃষ্টিতে তরমুজ চাষীদের স্বপ্ন কালো মেঘে অন্ধকার

48

কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি: তরমুজের যেমন বাম্পার ফলন হয়েছে, তেমনি সাইজও ছিল ভাল। তাই অধিক লাভের আশায় বুক বেঁধে ছিল পটুয়াখালীর কলাপাড়ার কৃষকরা। হঠাৎ বৃষ্টিতে তরমুজ চাষীদের স্বপ্ন যেন কালো মেঘে অন্ধকার হয়ে যাচ্ছে। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে মাঠের পর মাঠ জুড়ে তরমুজ ক্ষেত। চোখ যেদিকে যায়, সেদিকেই শুধু তরমুজ আর তরমুজ। কিন্তু সেই ক্ষেতে জমে রয়েছে প্রচুর বৃষ্টির পানি। নিষ্কাশনে প্রাণপণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন কৃষকরা। আবার কেউ সেই ক্ষেতে জমে থাকা পানি সরাতে নালা কেটে দিচ্ছেন। তবে এসব ক্ষেত নষ্ট হওয়ার শংকায় রয়েছে কৃষকরা। বর্তমানে ওইসব কৃষক মহাজনদের দাদনের টাকা পরিশোধ নিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে এ উপজেলায় মোট ২৩৭০ হেক্টর জমিতে তরমুজের চাষ হয়েছে। এর মধ্যে ধানখালী ৫৮০ হেক্টর, চম্পাপুর ৬১০ হেক্টর,বালিয়াতলী ১৪০ হেক্টর, নীলগঞ্জ ৮ হেক্টর, লতাচাপলী ২৯৫ হেক্টর ও ধূলাসার ইউনিয়নে ৩০০ হেক্টর জমিতে তরমুজের আবাদ করেছে কৃষকরা। এছাড়া উপজেলার অন্যান্য ইউনিয়নে কম বেশী তরমুজ চাষাবাদ হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও অধিক বলে জানা গেছে। এ উপজেলায় অন্ততঃ তিনশতাধিক তরমুজ চাষী প্রতিবছর তরমুজ চাষাবাদ করছেন। এদের মধ্যে ধানখালী এবং চম্পাপুর তরমুজ চাষের মডেল ইউনিয়ন হিসেবে পরিচিত।
কৃষকরা জানান, স্থানীয় ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে বাকীতে সার এবং কীটনাশক নিয়ে তরমুজ চাষাবাদ করেন। পরবর্তীতে তরমুজ বিক্রি করে টাকা পরিশোধ করে থাকেন। এখনও অনেক ক্ষেতে তরমুজ পরিপক্ক হয়নি। আবার কোন কোন ক্ষেতের তরমুজ বিক্রিও হয়েছে গেছে। তবে গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে ক্ষেতে যে পরিমাণ পানি জমেছে এতে ক্ষতির পরিমাণ কম হয়েছে। আরো বৃষ্টি হলে ক্ষেতে ছোট বড় তরমুজ নষ্ট হয়ে যাবে। আর বিনিয়োগের মূল টাকা থেকে ঘাটতিতে পড়বেন বলে তরমুজ চাষীরা জানিয়েছেন।
তরমুজ চাষী মনির হোসেন হাওলাদার জানান, সে দু’একর জমিতে তরমুজের চাষাবাদ করেছেন। কেবল পরিপক্ক হয়ে ওঠেছে। পাইকাররা ক্ষেত দেখতে আসতে ছিল। এমন সময় বৃষ্টি। এর ফলে ক্ষেতে জমে রয়েছে পানি। এখন লাভ দূরের কথা, আসল টাকা পাবো কিনা এ নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছি।
অপর এক চাষী আলমাস জানান, দু’দিনের বৃষ্টিপাতে তার ক্ষেত নষ্ট হয়ে গেছে। যাও আছে,পাইকাররা কাংঙ্খিত দর বলছে না। তবে তিনিও ব্যাপক টাকা লোকসানে পড়বেন বলে আশংকা করছেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এ আর এম সাইফুল্লাহ জানান, ধানখালী এবং চম্পপুর ইউনিয়নের তরমুজ ক্ষেত গুলো দেখেছি। এছাড়া মাঠে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা কাজ করছেন। তবে ক্ষতির পরিমান এখনো নিরূপন করা যায়নি।