Home বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য মেধা সম্পদ সংরক্ষণ এবং শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তর খুবই গুরুত্বপূর্ণ...

স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য মেধা সম্পদ সংরক্ষণ এবং শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তর খুবই গুরুত্বপূর্ণ : টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী

38

স্টাফ রিপোটার: দেশে সফটওয়্যার নির্ভরশীলতা বাড়ছে। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সফটওয়্যারের কোনো বিকল্প নেই। বলেছেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। তিনি বলেন, এক্ষেত্রে বেসিস উদ্যোক্তারা সবচেয়ে বেশি অবদান রাখবে বলে আশা করি। বেসিস সভাপতি ৫ বিলিয়ন থেকে ২০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানী আয় করতে একাডেমি রিসার্চ, সরকারি সহায়তা এবং ইন্ডাস্ট্রির জন্য সুযোগ নিশ্চিত করার কথা বলেছেন। তিনি তিনটি খাতকে একটি ছাতার নিচে আনতে বলেছেন। যদি এই প্রস্তাব রাষ্ট্রের জন্য কল্যাণকর হয় তবে প্রধানমন্ত্রী অবশ্যই সেটা বিবেচনা করবেন।

স্পিকার আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার পূর্বাচলে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চীন ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিবিসন সেন্টারে বেসিস সফট এক্সপো ২০২৩ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতাকালে এ আহ্বান জানান।
বেসিস সভাপতি রাসেল টি আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী জনাব মোস্তফা জব্বার এবং আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জনাব জুনাইদ আহমেদ পলক। অনুষ্ঠানে বেসিস-এর সহসভাপতি আবু দাউদ খান স্বাগত ভাষণ দেন।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী জনাব মোস্তাফা জব্বার তার বক্তৃতায় বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে মেধা সম্পদ সংরক্ষণ এবং শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তর এই দুটি বিষয় খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন বেসিস সদস্যরা মেধাসম্পদ সৃষ্টি করে, কিন্তু সেই মেধাসম্পদ রক্ষা করার বিষয়ে সচেতন নয়। তিনি সম্প্রতি মন্ত্রীসভায় কপিরাইট আইন অনুমোদনকে একটি ইতিবাচক বিষয় হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন প্রথাগত প্রচলিত শিক্ষার পরিবর্তন অবশ্যই করতে হবে। ইংরেজ ও পাকিস্তান প্রবর্তিত শিক্ষা ডিজিটাল বাংলাদেশে চলতে পারেনা। শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তর অবশ্যই করতে হবে। সরকার ব্লেন্ডেড শিক্ষাসহ ডিজিটাল কনটেন্টের মাধ‌্যমে শিক্ষা প্রবর্তনের লক্ষ‌্যে কাজ করছে বলে মন্ত্রী জানান। মন্ত্রী লাগসই দক্ষ মানব সম্পদ তৈরিতে সরকার, ইন্ডাস্ট্রিজ, একাডেমিয়া এবং সংশ্লিষ্ট সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
শিক্ষার ডিজিটাল কনটেন্ট তৈরি দেশে একটি বড় শিল্প হিসেবে গড়ে তোলার অপার সম্ভাবনা কাজে লাগাতে বেসিস সদস্যদেরকে আহ্বান জানিয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, সফটওয়‌্যার শিল্প একটি উদ্ভাবনী, সৃজনশীল ও সেবা শিল্প। ১৯৯৭ সালে বেসিস প্রতিষ্ঠার অন‌্যতম উদ‌্যোক্তা জনাব মোস্তাফা জব্বার দেশের সফটওয়‌্যার শিল্প বিকাশে বেসিস-এর ভূমিকা তুলে ধরে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর গতিশীল নেতৃত্বে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা জনাব সজীব আহমেদ ওয়াজেদ এর দিকনির্দেশনায় ২০২১ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচি সফলজনকভাবে আমরা সম্পন্ন করেছি। অগ্রগতির এই ধারা অব‌্যাহত থাকলে ২০৪১ সালের আগেই স্মার্ট বাংলাদেশ সফল বাস্তবায়ন সম্পন্ন হবে বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে আমরা লড়াই করেছি। ২০০৯ সাল থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচি বাস্তবায়নের লড়াইয়ের অগ্র-সেনানী আমরাই। স্মার্ট বাংলাদেশ কর্মসূচি বাস্তবায়নে বেসিসকে আগামী দিনগুলোতে আরও সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে। কৃষিভিত্তিক অর্থনীতির বাংলাদেশকে সফটওয়‌্যার ব‌্যবহার করার ব‌্যাপারে সচেতন করার বিষয়টিও সফটওয়‌্যার ইন্ডাস্ট্রিজের মানুষ হিসেবে আমাদেরকেই করতে হয়েছে বলে উল্লেখ করেন বিসিএস ও বেসিস-এর সাবেক এই সভাপতি। মন্ত্রী আগামীদিনের ‌চ‌্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সফটওয়‌্যার শিল্পের বিকাশে মানব সম্পদ তৈরিতে সরকার ও বেসিস-এর সমন্বিত উদ‌্যোগের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
মন্ত্রী স্মরণ করেন যে ২০০৩ সালে প্রথম বেসিস সফটএক্সপো আয়োজনের আহ্বায়ক ছিলেন তিনি। একই সাথে বেসিস প্রতিষ্ঠার লগ্নটির কথাও তিনি স্মরণ করেন।
জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন,আইসিটি এখন অন্যতম শিল্প খাত হয়ে উঠেছে। ২০ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হচ্ছে। আইটি রফতানিতে ১০ শতাংশ নগদ প্রণোদনা দেয়া হচ্ছে।

বিশ্ববিদ্যালয় ও ইন্ডাস্ট্রির মধ্যে সেতুবন্ধনে আইসিটি বিভাগের নানা পদক্ষেপ তুলে ধরে তিনি আরো বলেন, এক লাখ ফ্রেশ গ্র্যাজুয়েটদের প্রশিক্ষণ ও মেন্টরশিপের মাধ্যমে উদ্যোক্তা হওয়ার প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। প্রবলেম সলভার তৈরিতে প্রাথমিক থেকেই কোডিং শেখানো হচ্ছে। বেসিস সদস্যদের বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান বিদেশের প্রয়োজন মেটাতে এআই নিয়ে কাজ করছে বলেও প্রতিমন্ত্রী জানান।