Home জাতীয় স্বপ্নের পদ্মা সেতু শীর্ষক আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান

স্বপ্নের পদ্মা সেতু শীর্ষক আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান

41

স্টাফ রিপোটার: স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর ধারাবাহিকতায় বাংলা একাডেমি ‘স্বপ্নের পদ্মা সেতু’ নিয়ে আজ ৫ই জুলই সকাল ১১টায় একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি। শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সাবিহা পারভীন। সভাপতিত্ব করেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে কে এম খালিদ এমপি বলেন, স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় অর্জনÑস্বপ্নের পদ্মা সেতু বিনির্মাণ। নানা প্রতিকূলতা এবং ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহস এবং দূরদর্শিতায় পদ্মা সেতু নির্মিত হয়ে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে রাজধানী ঢাকার সরাসরি যোগাযোগ স্থাপনের পাশাপাশি সারা দেশের সাংস্কৃতিক মেলবন্ধনকে মজবুত করেছে। তিনি বলেন, পদ্মা সেতু বাঙালির স্বপ্নের জয়গাথা; বঙ্গবন্ধুর আকাক্সক্ষার সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার পথে আমাদের এক ধাপ এগিয়ে যাওয়া।
শুভেচ্ছা বক্তব্যে সাবিহা পারভীন বলেন, পদ্মা সেতু বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিকের জন্য গৌরব ও অহংকারের বিষয়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অদম্য নেতৃত্বের স্বর্ণফসল এই পদ্মা সেতু।
সভাপতির বক্তব্যে কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা বলেন, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং জাতির পিতার জন্মশতবর্ষের ধারাবাহিকতায় পদ্মা সেতুর উদ্বোধন আমাদের জন্য অপরিমেয় আনন্দের উৎস-গাথা। প্রমত্তা পদ্মার বুকে স্বপ্নের সেতুর নির্মান শুধু যোগাযোগব্যবস্থার বা অর্থনৈতিক ক্ষেত্রের বিষয় নয়; এর সাংস্কৃতিক তাৎপর্যও অপরিসীম। তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার দৃঢ় নেতৃত্বে পললভূমি বাংলায় পদ্মা সেতু নির্মাণ গোটা জাতির জন্য অনন্ত শুভ সময়ের বার্তা বয়ে এনেছে। বাংলা একাডেমি বাঙালির এই অনন্য অর্জনকে কাব্যে-সংগীতে স্মরণীয় করে রাখতে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।
অনুষ্ঠানে মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কালজয়ী উপন্যাস পদ্মা নদীর মাঝি-এর নির্বাচিত অংশ থেকে পাঠ করেন বাচিকশিল্পী জয়ন্ত চট্টপাধ্যায় এবং কবিতা আবৃত্তি করেন বাচিকশিল্পী রূপা চক্রবর্তী।
অনুষ্ঠানে পদ্মা নদী এবং পদ্মা সেতু কেন্দ্র করে রচিত কবিতা পাঠ করেন কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা, নাসির আহমেদ, আসলাম সানী, আসাদ মান্নান, ফারুক মাহমুদ, মিনার মনসুর এবং ঝর্না রহমান।
পদ্মা নদী এবং পদ্মা সেতুকে কেন্দ্র করে সংগীত পরিবেশন করেন শিল্পী বিমান চন্দ্র বিশ্বাস, মানিক রহমান, রেজা রাজন, ফারহানা শিরিন এবং সঞ্জয় কুমার।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বাংলা একাডেমির উপপরিচালক (চলতি দায়িত্ব) সাহেদ মন্তাজ ও উপপরিচালক (চলতি দায়িত্ব) রোকসানা পারভীন স্মৃতি।