Home রাজনীতি সোমবার সকল জেলা ও মহানগরে বিএনপির বিক্ষোভ

সোমবার সকল জেলা ও মহানগরে বিএনপির বিক্ষোভ

37

স্টাফ রিপোটার: রাজধানীতে বিএনপির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি ন্যাক্কারজনক হামলা, অত্যাচার নিপীড়নের ঘটনার প্রতিবাদে আগামী পরশু ৩১ জুলাই সোমবার সারাদেশে সকল মহানগর ও জেলা সদরে জনসমাবেশ কর্মসূচী ঘোষণা করেছে দলটি।

শনিবার সন্ধ্যায় বিএনপি চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, আগামীকালই আমরা প্রতিবাদের দিন হিসাবে পালনের কথা ভেবেছিলাম কিন্তু আমরা জানতে পেরেছি আগামীকাল সারকারী দল রাজপথে কর্মসূচী পালনের ঘোষণা দিয়েছে। আমরা তাই তাদের মত একই দিনে কর্মসূচী দিয়ে সংকট সৃষ্টি না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আশা করবো এই গণতান্ত্রিক শান্তিপূর্ণ কর্মসূচী পালনে কোন বাধা সৃষ্টি করা হবে না।

তিনি বলেন, গণতন্ত্রকামী রাজনৈতিক দলের ডাকা আজকের শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচীকে বানচাল করার জন্য সরকার জনগণের জানমাল রক্ষার দায়িত্বপ্রাপ্ত আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলো এবং দলীয় সন্ত্রাসীদের অন্যায় ও বেআইনী ভাবে জনগণের বিরুদ্ধে নামিয়ে রাজধানী ঢাকায় যে তান্ডব চালিয়েছে আমরা তার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। বিনা উস্কানিতে প্রতিবাদী জনতার শান্তিপূর্ণ অবস্থানে গুলি, টিয়ারগ্যাস চালানো এবং স্বশস্ত্র আক্রমণ মিডিয়া ও সোস্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে দেখে দেশ-বিদেশের জনগণ এই স্বৈরাচারী সরকারের অবৈধ ক্ষমতা জোর করে ধরে রাখার বীভৎস অপপ্রয়াস দেখে স্থম্ভিত হয়েছে। তাদের নির্মম আক্রোসে বিএনপি’র জাতীয় স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য, সাবেক মন্ত্রী বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায় মাথায় মারাত্মক রক্তক্ষরণ, দলের চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও সাবেক মন্ত্রী আমান উল্লাহ আমানসহ অসংখ্য নেতা-কর্মী আহত হওয়া এবং অগণিত নেতা-কর্মীকে নির্বিচারে গ্রেফতারের ঘটনা প্রমাণ করে যে, ক্ষমতালোভী এই সরকারের হাতে দেশের কোন নাগরিক নিরাপদ নন। জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার হরণকারী এই সরকার আজ জনগণের শুধুই ঘৃণা ও ধিক্কার পাওয়ার যোগ্য।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, সরকারী এবং সরকার দলীয় বাহিনীর বেআইনী ও সন্ত্রাসী তৎপরতার জবাব দেয়ার ক্ষমতা জনগণের রয়েছে কিন্তু সেই ক্ষমতা প্রয়োগের ফলে যে অবাঞ্চিত ও মর্মান্তিক পরিস্থিতি সৃষ্টি হলো আমরা তা বরাবরই পরিহার করতে চেয়েছি এবং আজও করেছি। এটা আমাদের দূর্বলতা নয়- জনগণ ও গণতন্ত্রের প্রতি দায়বদ্ধতা। কিন্তু নিশি রাতের অবৈধ সরকারের ভুলে যাওয়া উচিত নয় যে, আমাদের এই দেশটা স্বাধীন হয়েছে মহান মুক্তিযুদ্ধে লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে। আমরা ভাষার জন্য জীবন দিয়েছি, জীবন দিয়েছি গণতন্ত্র পুনঃরুদ্ধারের জন্যও। গত ১৪ বছ হাজারো নেতা-কর্মী জীবন দিয়েছেন, গুমের শিকার হয়েছেন শত শত নির্যাতিত হয়েছেন কয়েক হাজার। মিথ্যা মামলায় হয়রানীর শিকার হতে নেতা-কর্মী। গণতন্ত্র চাই বলেই এত কিছুর পরও গণতান্ত্রিক আন্দোলনের পথেই আছি আমরা। কিন্তু সব কিছুরই একটা সীমা থাকে। আশা করি সরকার সেটা মনে রাখবেন।

মির্জা ফখরুল তার বক্তব্যে সরকার পদত্যাগসহ নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের এক দফার দাবীতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল- বিএনপি’র শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচিতে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের সমর্থক দ্বারা হামলা, গ্রেফতার ও মামলার বিবরণ প্রকাশ করেন।