Home সারাদেশ সিজার থেকে গর্ভবতী নারীদের মুক্তি দিচ্ছে গোলাপগঞ্জের যে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স

সিজার থেকে গর্ভবতী নারীদের মুক্তি দিচ্ছে গোলাপগঞ্জের যে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স

83

সৈয়দ রাসেল আহমদ,সিলেট অফিস: দিন দিন গর্ভবতী নারীদের সন্তান প্রসবের বেলা সিজার পদ্ধতির ব্যবহার বেড়েই চলছে। অনেক হাসপাতাল এখন ব্যবসায়িক লাভের উদ্দেশ্যে সিজারকেই বেশি প্রাধান্য দিচ্ছে।

একদিকে যখন গর্ভবতী নারীরা অপ্রয়োজনীয় সিজার আতংকে ভুগছেন, তখন অন্য দিকে সিলেট জেলার গোলাপগঞ্জের বাঘা ইউনিয়নের একটি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স প্রায় নীরবে গর্ভবতী নারীদের স্বাভাবিক প্রসব (নরমাল ডেলিভারি) নিয়ে কাজ করে ব্যাপক সাফল্য অর্জন করেছে।

হাসপাতালের স্বাস্থ্য কর্মীদের তথ্য অনুসারে প্রতি মাসে তারা গড়ে ২০-২৫ জন গর্ভবতী নারীদের স্বাভাবিক প্রসব করিয়ে থাকেন।তাদের মধ্যে যেসব রোগীর নানান জটিলতা রয়েছে তাদেরকে তারা সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজে পাঠিয়ে দেন।

বাঘা ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য কর্মী শেলী রানী দেব বলেন,আমরা প্রতিটি রোগীর স্বাস্থ্য সচেতনতা নিয়ে কাজ করি। গর্ভবতী রোগীরা আমাদের কাছে আসলে আমরা আগে তার স্বাস্থ্য পরিক্ষা করি। যদি আমাদের মনে হয় তিনি নরমাল ডেলিভারির জন্য উপযুক্ত তখন আমরা আমাদের এখানে ভর্তী হতে পরামর্শ দেই।

স্বাস্থ্য কর্মী রিতা লায়লা বলেন,একজন রোগী আসলে আমরা তার অতীত হিস্ট্রি যাচাই করি,এক থেকে ছয় ঘন্টা আমরা পর্যবেক্ষণে রাখি,তখন আমরা বুঝতে পারি এই রোগীর স্বাভাবিক প্রসব সম্ভব কি না, সম্ভব হলেই আমরা আমাদের এখানে ভর্তি নেই।

তিনি বলেন,শুধু স্বাভাবিক প্রসব নয়,আমরা একজন নারী গর্ভবতী হওয়ার পর থেকে নরমাল ডেলিভারির জন্য আগে থেকে প্রস্তুত হতে যেসব বিষয় মানতে হয়,সেসব বিষয়ে পরামর্শ দিয়ে থাকি।

এর আগে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নরমাল ডেলিভারির কার্যক্রম বিভিন্ন এনজিওর প্রজেক্টের মাধ্যে পরিচালিত হলেও বর্তমানে ব্যক্তি উদ্যোগে পরিচালিত হচ্ছে এ কার্যক্রম।

এ বিষয়ে বাঘা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুস সামাদ বলেন, বর্তমানে একেবারেই ব্যক্তি উদ্যোগে এই কার্যক্রম চলছে। স্বাস্থ্য কর্মী, আয়া থেকে শুরু করে সকল স্টাফদের বেতন আমরা সবাই মিলে বহন করি। তিনি বলেন প্রতি মাসে প্রায় ৩৭ হাজার টাকা কর্মীদের বেতন দিতে হয়।যা বিভিন্ন বিত্তবান ব্যক্তিদের উদ্যোগে বহন করা হয়।

স্থানীয়দের দাবি,সরকারি উদ্যোগে যদি এটি পুরোপুরি পরিচালনা করা হয়,তাহলে নরমাল ডেলিভারিতে মানুষ আরও উৎসাহিত হবে।