Home স্বাস্থ্য সাড়ে তিনশত শিশু হৃদরোগীর অপারেশন সফলভাবে সম্পন্ন, অপেক্ষায় সাত শতাধিক

সাড়ে তিনশত শিশু হৃদরোগীর অপারেশন সফলভাবে সম্পন্ন, অপেক্ষায় সাত শতাধিক

79

স্টাফ রিপোটার: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে শিশু হৃদরোগ, শিশু হৃদরোগ সার্জারির সর্বশেষ অগ্রগতি ও চিকিৎসাসেবা নিয়ে সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ। বিশ্ববিদ্যালয়ের পেডিয়াট্রিক কার্ডিওলজি ও কার্ডিয়াক সার্জারি বিভাগ এবং শিশু হৃদরোগীদের বিনা অপারেশনে ও অপারেশনের মাধ্যমে বিনামূল্যে চিকিৎসা কার্যক্রম প্রকল্প এর যৌথ উদ্যোগে আজ ১৯ ডিসেম্বর ২০২৩ তারিখ দুপুর ১২টায় ডি ব্লকের ইনস্টিটিউট অফ নিউক্লিয়ার মেডিসিন (আইএনএম) অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত এই সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন শিশু কার্ডিওলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মোঃ তারিকুল ইসলাম হয়েছে। অনুষ্ঠানে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ জাহিদ হোসেন, কার্ডিওলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান, শিশু হৃদরোগ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মোঃ তারিকুল ইসলাম, শিশু হৃদরোগ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. শাখাওয়াত আলম, কার্ডিয়াক সার্জারি ইউনিটের সহকারী ডা. মোহাম্মদ আতা উল্যাহ বিপ্লব, কার্ডিয়াক সার্জারি বিভাগের এ্যানেসথিয়োলজির সহকারী অধ্যাপক ডা. রজত শুভ্রা দাস প্রমুখ।

সেমিনারে জানানো হয়, জন্মগত শিশু হৃদরোগীদের বিনামূল্যে অপারেশন সাড়ে তিনশত এর অধিক শিশু হৃদরোগীর অপারেশন সফলভাবে সম্পন্ন্ হয়েছে। জন্মগত হৃদরোগে আক্রান্ত আরো সাতশত শিশুর অপারেশনের জন্য অপেক্ষা রয়েছে এবং তাদের অপারেশনের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে শিশু হৃদরোগীদের সকল ধরণের চিকিৎসাসেবা বিদ্যমান রয়েছে। এই সেবা কার্যক্রম আরো জোরদার করা হবে। এফ ব্লকে ১০ বেডের আইসিইউসহ ৫০টি বেড নিয়ে শিশু হৃদরোগীদের জন্য সর্বাধুনিক সুযোগসুবিধা সম্বলিত চিকিৎসা ব্যবস্থা শীঘ্রই চালু করা হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা শিশুদের প্রতি অত্যন্ত মানবিক। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি অত্যন্ত আন্তরিক। পেডিয়াট্রিক কার্ডিওলজি ও কার্ডিয়াক সার্জারি বিভাগ প্রতিষ্ঠা, উন্নয়নে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অসামান্য অবদান রয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সহায়তায় এই বিশ্ববিদ্যালয়ের হৃদরোগ চিকিৎসাসেবা এমন পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে যে, এখন আর শিশুসহ হৃদরোগে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসাসেবার জন্য বিদেশে যাওয়ার প্রয়োজন নাই।