Home সারাদেশ সারাদেশের রেলপথ ব্রডগেজে নিয়ে আসা হবে: রেলপথ মন্ত্রী

সারাদেশের রেলপথ ব্রডগেজে নিয়ে আসা হবে: রেলপথ মন্ত্রী

47

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি॥ সারাদেশের রেলপথ ব্রডগেজের আওতায় নিয়ে আসা হবে বলে জানিয়েছেন রেলপথ মন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন। আখাউড়া-আগরতলা রেললাইন প্রকল্প পরিদর্শনকালে রবিবার দুপরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার ভারত সীমান্তবর্তী শিবনগর এলাকায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। এর আগে মন্ত্রী আখাউড়া-লাকসাম ডুয়েল গেজ প্রকল্প ঘুরে দেখেন।
রেলপথ মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের রেলে দুই ধরণের পথ চালু আছে। একটা মিটার গেজ আরেকটা ব্রডগেজ। তবে ধীরে ধীরে আমরা সমস্ত রেল ব্যবস্থা একরকম অর্থাৎ ব্রডগেজের আওতায় নিয়ে আসবো। সেই পরিকল্পনা আমাদের আছে।’
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ’র বাধায় আখাউড়া-লাকসাম অংশের কিছু জায়গায় কাজ আটকে থাকার বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘প্রকল্প পরিদর্শনের সময় এ বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আমি বলেছি যে জায়গাটুকুতে বাধা দেওয়া আছে সেটুকু বাদে বাকিটার কাজ যেন করা হয়। যখন এ বিষয়ে মীমাংসা হবে তখন যেন সহজেই কাজটা শেষ করে নেওয়া যায়। আগামী জুনের মধ্যে প্রকল্পটি শেষ হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ প্রকল্প বিষয়ে রেলপথ মন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন জানিয়েছেন, কাজের বর্তমান যে অবস্থা তাতে আগামী বছরের মার্চ-এপ্রিলের মধ্যে কাজ শেষ করা সম্ভব হবে। জুনের মধ্যে ট্রেন চলাচল করবে। চাহিদা থাকলে মালবাহীর পাশাপাশি যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল করবে এ পথ দিয়ে। ইতিমধ্যেই প্রয়োজনীয় রেল, স্লিপার, পাথর আনা হয়েছে বলে তিনি জানান। এ রেলপথ চালু হলে আন্ত:দেশীয় যোগাযোগ আরো সমৃদ্ধ হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
এ সময় মন্ত্রীর সঙ্গে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান টেক্সমেকো রেল এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর শরৎ শর্মা, প্রকল্প ব্যবস্থাপক ভাস্কর বকসি, ইরকন লিমিটেডের টিম লিডার রামান শ্রিংলা, বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক (পূর্ব) মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, প্রকল্প পরিচালক মো. শহিদুল ইসলাম. প্রধান প্রকৌশলী (পূর্ব) মো. জাফর আহমেদ, আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) অংগ্যজাই মারমা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। সংশিøষ্টরা প্রকল্প এলাকা ঘুরে দেখার সময় এর অগ্রগতি নিয়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করেন।
বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি প্রসঙ্গে রেলপথ মন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি’র আন্দোলনের পদ্ধতি হলো জ্বালাও পোড়াও। একাত্তরে যেমন করা হয়েছিল এখনও সেটা করা হচ্ছে। ৭১ এর প্রেতাত্মা তারা। সাড়ে তিনশ’ থেকে তাদের সাতজন সংসদ সদস্য পদত্যাগ করলে সংসদ চলার কোনো সমস্যা হবে না।’