Home জাতীয় সামাজিক কুসংস্কার যৌন ও প্রজননস্বাস্থ্যসেবা ও তথ্যপ্রাপ্তির ক্ষেত্রে অন্যতম বাধা

সামাজিক কুসংস্কার যৌন ও প্রজননস্বাস্থ্যসেবা ও তথ্যপ্রাপ্তির ক্ষেত্রে অন্যতম বাধা

33

জাতীয় পর্যায়ের মতবিনিময় সভায় উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধিরা

স্টাফ রিপোটার: সামাজিক কুসংস্কার কিশোর-কিশোরীদের যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা ও তথ্যপ্রাপ্তির ক্ষেত্রে অন্যতম বাধা বলে মনে করেন উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধিরা। তারা বলেছেন, যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা ও তথ্যপ্রাপ্তির ক্ষেত্রে সচেতনতার অভাবের পাশাপাশি সমাজে ব্যাপক মাত্রায় নেতিবাচক ধারণা ও কুসংস্কার প্রচলিত আছে। এই অবস্থা পরিবর্তনের জন্য সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
আজ রবিবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে দুই দিনব্যাপী জাতীয় পর্যায়ে তরুণ সমাজের যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য এবং অধিকার বিষয়ক আয়োজিত মতবিনিময় সভার সমাপনী অনুষ্ঠানে এ সব কথা বলেন তারা। নাগরিক উদ্যোগ ও অধিকার এখানে, এখনই কোয়ালিশন আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন নাগরিক উদ্যোগের প্রধান নির্বাহী জাকির হোসেন। আলোচনায় অংশ নেন নারীপক্ষের প্রকল্প পরিচালক সামিয়া আফরিন, বাপসার প্রকল্প ব্যবস্থাপক শামীমা আক্তার চৌধুরী, আরএইচএসটিইপি ডেপুটি ডিরেক্টর (প্রোগ্রাম) ডা. এলিভনা মুস্তারি, অধিকার এখানে, এখনই প্রকল্পের ন্যাশনাল কো-অর্ডিনেটর মো. মাসুদুর রহমান, ঋতুর প্রতিষ্ঠাতা শারমিন কবীর প্রমূখ।
সভাপতির বক্তব্যে জাকির হোসেন বলেন, দেশে কিশোর-কিশোরীদের সংখ্যা ৩ কোটি ৬০ লাখের বেশি। যা মোট জনসংখ্যার প্রায় ২১ শতাংশ। কিন্তু তাদের সঠিকভাবে বেড়ে উঠতে অপরিহার্য স্বাস্থ্যসেবা ও তথ্যপ্রাপ্তির ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরণের সামাজিক বাধা আছে। ফলে দেশের বিপুল সংখ্যক জনগোষ্ঠি একটি সংকটের মুখোমুখী। সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে এই সংকট মোকাবেলা সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তারা।
অনুষ্ঠানে বক্তারা তরুণ সমাজের যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য এবং অধিকার বিষয়ক শিক্ষা সম্প্রসারণের জন্য সরকারি ও বেসরকারি ভাবে উদ্যোগ গ্রহণের পাশাপাশি পরিস্থিতির উন্নতির লক্ষ্যে সম্ভাব্য ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে তরুণ সমাজের যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য এবং অধিকার বিষয়কে সামনে রেখে নাগরিক উদ্যোগের নবদূত সদস্যগণ বয়ঃসন্ধি কালীন সময়ে তরুণ সমাজের শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তন নিয়ে সচেতনতামূলক পথ নাটক ‘অভিমান’ পরিবেশন করেন। এছাড়া আলোর মেলার (ড্রপ-ইন সেন্টার) তরুণ ও শিশু শিল্পীদের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।