Home শিক্ষা ও ক্যাম্পাস সামসুল হক খান স্কুল অ্যান্ড কলেজে তিন দিনব্যাপী অন্তঃস্কুল বিজ্ঞান মেলা উদযাপন

সামসুল হক খান স্কুল অ্যান্ড কলেজে তিন দিনব্যাপী অন্তঃস্কুল বিজ্ঞান মেলা উদযাপন

519

স্টাফ রিপোটার: তিনদিন ব্যাপী অন্তঃস্কুল বিজ্ঞান মেলা উদযাপন করেছে সামসুল হক খান স্কুল অ্যান্ড কলেজ।
বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) জননেত্রী শেখ হাসিনার ৭৭ তম জন্মদিনে আনন্দগণ পরিবেশে এই মেলা শেষ হয়েছে।
তিনদিন ব্যাপী অন্তঃস্কুল বিজ্ঞান মেলা ও কুইজলীগ এর আজ ছিলো প্রথম দিন। সকাল ১১ টায় শান্তির প্রতীক পায়রা উড়িয়ে ও বেলুন উত্তোলনের মাধ্যমে অন্তঃস্কুল বিজ্ঞান মেলার শুভ সূচনা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির আসন অলংকৃত করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানিত অধ্যাপক ড. মো. আব্দুস ছামাদ, ডিন- বিজ্ঞান অনুষদ। বিজ্ঞান ক্লাবের মডারেটর ও প্রতিষ্ঠানের সিনিয়র শিক্ষক মোহাম্মদ আজিজুর রহমানের শুভেচ্ছা বক্তব্যের মধ্য দিয়ে আলোচনা অনুষ্ঠানের শুরু হয়।
আজকের আলোচনা সভায় মূল্যবান বক্তব্য রাখেন প্রিন্সিপাল মো. মাহবুবুর রহমান মোল্লা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টি ও খাদ্য বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের সম্মানিত সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. আব্দুজ জাহের, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টি ও খাদ্য বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের সম্মানিত সহযোগী অধ্যাপক ড. সুমাইয়া মামুন, জনাব মো. বাহালুল হক চৌধুরী, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রতিষ্ঠানের সভাপতি জনাব আলহাজ্ব মো. সামসুদ্দিন ভূইয়া সেন্টু।
আলোচকবৃন্দ সকলেই বক্তব্যের শুরুতে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবীর পবিত্র দিনকে স্মরণ করে গভীর শ্রদ্ধা ও ভাবগাম্ভীর্য প্রদর্শন করেন এবং দেশনেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ৭৭তম জন্মদিনে আন্তরিক শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেন। বিজ্ঞান মেলাকে প্রসঙ্গ করে বক্তাগণ শিক্ষার্থীদের বাস্তবসম্মত বিজ্ঞান চর্চার প্রতি গুরুত্ব আরোপ করেন এবং খুদে শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞান অনুশীলনে দেশসেরা সামসুল হক খান স্কুল অ্যান্ড কলেজের অনন্য ভূমিকার কথা আন্তরিকতার সাথে উল্লেখ করেন। সম্মানিত প্রধান অতিথি বলেন, বিজ্ঞান পৃথিবীকে এগিয়ে নিয়ে চলেছে। মানুষের জীবন হয়ে উঠেছে বিজ্ঞান নির্ভর। অতএব, স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে বিজ্ঞান চর্চায় আরও বেশি এগিয়ে আসতে হবে। দেশ আরও গতিশীল, আরও স্মার্ট হয়ে ওঠবে যদি দেশে বিজ্ঞানচর্চা সর্বোচ্চ গুরুত্ব পায়। প্রতিষ্ঠানের প্রিন্সিপাল মো. মাহবুবুর রহমান মোল্লা বলেন, বিজ্ঞান চর্চায় পিছিয়ে থাকলে আমরাও পিছিয়ে থাকবো। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশ আন্দোলনের আশীর্বাদে আশাকরি অচিরেই দেশে সন্তোষজনকভাবে বিজ্ঞান চর্চার প্রসার ঘটবে এবং তারই ইতিবাচক প্রভাব পড়বে দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর উপর।
বক্তারা শিশু-কিশোরদের বিজ্ঞানের প্রতি আকৃষ্ট করতে দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে আরও তৎপর হতে বলেন। তারা প্রসঙ্গক্রমে বিজ্ঞানসহ নানাবিধ চর্চায় শিক্ষার্থীদের অনুপ্রাণিত করায় সামসুল হক খান স্কুল অ্যান্ড কলেজকে আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। আলোচনা সভার শেষে সম্মানিত অতিথিবৃন্দ শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞান প্রজেক্টগুলো পরিদর্শন করেন এবং শিক্ষার্থীদের উদ্ভাবনী উদ্যোগ দেখে তাদের অভিনন্দিত করেন।