ডেস্ক রিপোর্ট: গত কয়েকদিন ধরেই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছেন ৩৭ বছর বয়সী ফেসবুকের এক সাবেক প্রোডাক্ট ম্যানেজার ফ্রান্সেস হাউজেন। তিনি ক্যাপিটল হিলের শুনানিতে ফেসবুকের বিরুদ্ধে তীব্র সমালোচনা করেন।

ফেসবুক গণতন্ত্রকে দুর্বল ও বিভাজিত এবং শিশুদের ক্ষতি করছে বলে যুক্তরাষ্ট্রের আইনপ্রণেতাদের কাছে অভিযোগ করেছেন ফেসবুকেরই সাবেক এই কর্মী।

তিনি বলেন, ভারতের মতো একটি গণতান্ত্রিক দেশের ভাষা সহজে ডিটেক্ট করতে পারে না ফেসবুকের তাদের যান্ত্রিক দূর্বলতার কারণে। যার ফলে সহজেই দেশটিতে গুজব ছড়িয়ে পরছে।

তিনি আরো বলেন, বর্তমান সময়ে শিশুরা ফেসবুক ইনস্টাগ্রামে মাদকের মতো ঝুঁকে পড়ছে তবে তাতে বরাবরের মতোই বিকার নেই ফেসবুক কর্তৃপক্ষের। বরং এসব সোস্যাল মিডিয়া সাইট শিশুদের আরো বেশি আকর্ষণীয় করতে নিত্য নতুন ফিচার যুক্ত করে চলেছে।

তারা কখনোই ফেসবুকের ক্ষতিকর বিষয়গুলো সামনে আনতে চায়না, তারা তাদের ব্যবসায়ীক স্বার্থ হাসিলে সবসময়ই সামনের কাতারে থাকেন বলে অভিযোগ তোলেন হাউজেন।

এদিকে ফেসবুক অবশ্য জানিয়েছে, মিসেস হাউজেন যে বিষয়ে কথা বলেছেন, সে বিষয়ে তার কোনো ধারণা নেই। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম জায়ান্টটির নিয়ন্ত্রণ ও যাচাইয়ের বিষয়ে ক্রমবর্ধমান দাবির মুখে এই অভিযোগটি এসেছে।

প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তাদের মাসিক সক্রিয় ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ২ দশমিক সাত বিলিয়ন। এ ছাড়া, আরও কয়েক লাখ মানুষ তাদের অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম যেমন হোয়াটসঅ্যাপ ও ইনস্টাগ্রাম ব্যবহার করে।

তবে, শুরু থেকেই গ্রাহকদের গোপনীয়তা রক্ষায় ব্যর্থ হওয়া এবং গুজব ও ভুল তথ্যের বিস্তার রোধে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না নেওয়ায় সমালোচিত হয়ে আসছে ফেসবুক।

মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটে রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাটিক পার্টি উভয়েই ফেসবুকের পরিবর্তনের বিষয়ে একমত প্রকাশ করেন। যেটি দেশটির রাজনৈতিক দল দুটির জন্য বিরল ঘটনাও।-আমাদের সময়.কম