Home সারাদেশ সাতক্ষীরার কলারোয়ায় একটি সেতুর অভাবে হাজারো মানুষের দুর্ভোগ

সাতক্ষীরার কলারোয়ায় একটি সেতুর অভাবে হাজারো মানুষের দুর্ভোগ

21

জুলফিকার আলী,কলারোয়া(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার কলারোয়ায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বেত্রাবতী নদীর পুরোনো সেতুর ওপর দিয়ে চলছে ভারী যানবাহন।
স্থানীয় জনসাধারণ বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছে। ইতোমধ্যে সেতুর রেলিং ভেঙে ফেলা হয়েছে। তবে এর ওপর দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন। নতুন সেতু নির্মাণের জন্য পুরোনো সেতুর রেলিং ভেঙে ফেলা হয়েছে। পাশে বেইলি সেতু নির্মাণ করা হলেও সেখান দিয়ে যানবাহন চলাচল করতে পারছে না। জানা যায়, কলারোয়া পৌর বাজার এলাকায় বেত্রাবতী নদীর ওপর সেতুটি অবস্থিত। কলারোয়া পৌরসভার ভেতর দিয়ে বয়ে গেছে এই বেত্রাবতী নদী। নদীর পূর্ব পাশে উপজেলার ৬টি ইউনিয়নসহ যশোর জেলার বৃহৎ একটি অংশ ও পৌরসভার ৭, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ড।
পশ্চিম পাশে ৬টি ইউনিয়ন, উপজেলা সদর ও পৌরসভার ৬টি ওয়ার্ড ও জেলা সদরে যাওয়ার রাস্তা। নদীর দুই পাশের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করেছে কলারোয়া পৌর বাজার এলাকার সেতুটি। সড়ক ও জনপথ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ায় এবং পৌর সদর এলাকায় ভয়াবহ যানজট সৃষ্টি হওয়ার কারনে কলারোয়া বাজার এলাকায় বেত্রাবতী নদীর ওপরের সেতুটি নতুন করে নির্মাণ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। ৪৮ মিটার দৈঘর্য ও ১০ দশমিক ২৫ মিটার প্রস্থের সেতুটির নির্মাণের জন্য ব্যয় ধরা হয় ৬কোটি ৪৮ লাখ টাকা। কাজটি পায় মোজাহার এন্টারপ্রাইজ নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ২০২১ সালের ১৪ এপ্রিল সেতু নির্মাণের কার্যাদেশ দেওয়া হয়। কাজটি শেষ হওয়ার কথা ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর। অথচ গত এপ্রিল মাসে সেতুর এক পাশের সম্পূর্ণ এবং অন্যপাশের
কিছুটা রেলিং ভেঙে ফেলা হয়েছে। ভাঙা রেলিং এর এ সেতু দিয়ে মানুষ ও গাড়ি যাতায়াত করছে ঝুঁকি নিয়ে। যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা করেছে এলাকাবাসী। বেত্রাবতী নদীর পশ্চিম পাশের ৬টি ইউনিয়ন ও পৌরসভার তিনটি ওয়ার্ডসহ কেশবপুর, মনিরামপুর ও তালা উপজেলার প্রতিদিন কয়েক হাজার
মানুষ কলারোয়া পৌর সদরের বাজার এলাকার ওই সেতুর ওপর দিয়ে যাতায়াত করে থাকেন। প্রতিদিন রোগী বহনকারী অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিসের অগ্নিনির্বাপক গাড়ি, পণ্যবাহী ট্রাক, প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস, মোটরসাইকেল ও অন্যান্য গাড়ি চলাচল করেন। ওই সেতুর এলাকার এক ব্যবসায়ী বলেন, প্রতিদিন ভোর থেকে হাজারো মানুষ ও শিক্ষার্থী সেতু পার হন। কয়েক মাস ধরে নদীর ওপর সেতুর রেলিং ভেঙে রাখা হয়েছে। ছোট ছোট শিক্ষার্থীরা বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে। স্থানীয় জনসাধারণ বলেন, বেইলি সেতুর দুই পাশে কিছু
মালিকানাধীন দোকান থাকায় সেতুটির কাজ শুরু কার সম্ভব হয়নি। সেতু নির্মাণের জন্য নতুন করে জমি অধিগ্রহণ করতে হবে। এ কারণে সেতুর কাজ এগোচ্ছে না। সওজের সাতক্ষীরা কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মীর নিজামউদ্দিন আহমেদ বলেন, ২০২১ সালের ৬ এপ্রিল নদীর দুই পাশের ১ একর ৭৬ শতক জমি অধিগ্রহণের জন্য জেলা প্রশাসকের দপ্তরে চিঠি দেওয়া হয়েছে। কাজ শুরু করার জন্য ঠিকাদারকে বলা হয়েছিল। ওই সেতুর পাশ দিয়ে সাময়িক ভাবে চলাচল করার জন্য বেইলি সেতু নির্মান করার কাজ ইতিমধ্যে শেষ করা হয়েছে। সেটি করার পর রেলিং এর কিছু অংশ ভেঙে ফেলা হয়। কিন্তু জমি অধিগ্রহণসহ নানা জটিলতার কারনে সেতু নির্মানের কাজ এখনও শুরু করা যায়নি।