Home জাতীয় সাংবাদিক হত্যা, গ্রেপ্তার ও নিপীড়নে ২১ নাগরিকের উদ্বেগ

সাংবাদিক হত্যা, গ্রেপ্তার ও নিপীড়নে ২১ নাগরিকের উদ্বেগ

27

ডেস্ক রিপোর্ট: রাজধানীতে সংবাদকর্মী হত্যা, রাঙ্গামাটিতে এক সাংবাদিক গ্রেপ্তার ও জাতীয় প্রেসক্লাব চত্বরে এক সাংবাদিক নেতার ওপর হামলাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সাংবাদিক নিপীড়নের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিভিন্ন পেশার প্রতিনিধিরা। আজ বুধবার এক যৌথ বিবৃতিতে বিভিন্ন বেসরকারি সংগঠনের ২১ জন প্রতিনিধি এই উদ্বেগ প্রকাশ করে এসব ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।

আজ রাজধানীর হাতিরঝিলে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল ডিবিসি নিউজের প্রযোজক আব্দুল বারীর ক্ষত-বিক্ষত মরদেহ উদ্ধার, রাঙ্গামাটিতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা মামলায় গতকাল মঙ্গলবার বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল এনটিভির প্রতিনিধি ও স্থানীয় দৈনিক পার্বত্য চট্টগ্রামের সম্পাদক ফজলে এলাহীকে গ্রেপ্তার এবং গত রোববার জাতীয় প্রেসক্লাব চত্বরে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সভাপতি ও বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার উপ-প্রধান বার্তা সম্পাদক ওমর ফারুকের ওপর একটি রাজনৈতিক দলের ছাত্র ও যুব সংগঠনের কর্মীদের হামলার পরিপ্রেক্ষিতে এই বিবৃতি দেয়া হয়।

মানবাধিকার রক্ষা, আইনের শাসন নিশ্চিত ও গণতন্ত্রের স্বার্থে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা এবং সংবাদকর্মীদের নিরাপত্তা অপরিহার্য উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, সরকার গণমাধ্যমকর্মীদের হয়রানি রোধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপপ্রয়োগ বন্ধের আশ্বাস দিলেও ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রশ্নবিদ্ধ এই আইনের আওতায় সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের ও তাঁদেরকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। দীর্ঘ প্রায় একযুগেও সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত শেষ না হওয়ার ঘটনাকে গণমাধ্যমকর্মী সুরক্ষার ক্ষেত্রে সরকারের বড় দুর্বলতা বলে উল্লেখ করা হয় বিবৃতিতে। সাংবাদিক ফজলে এলাহীর বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহার, সংবাদকর্মী আব্দুল বারী হত্যা ও সাংবাদিক নেতা ওমর ফারুকের ওপর হামলার ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে দুর্বৃত্তদের গ্রেপ্তারের জোর দাবি জানান নাগরিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা। একইসঙ্গে ঢাকাসহ সারা দেশে গণমাধ্যমকর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবিও জানান তাঁরা।

বিবৃতিদাতারা হলেন- কনজ্যুমার এ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সহসভাপতি এস এম নাজের হোসাইন, বিশিষ্ট শিশুসংগঠক বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুর রহমান সেলিম, নাগরিক উদ্যোগের প্রধান নির্বাহী জাকির হোসেন, উদীচী শিল্পী গোষ্ঠীর সাধারণ সম্পাদক অমিতরঞ্জন দে, গ্রিন ক্লাব অব বাংলাদেশের (জিসিবি) কার্যকরী সভাপতি হাজী মোহাম্মদ শহীদ মিয়া, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদ, নৌ-সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক আশীষ কুমার দে, সুন্দরবন ও উপকূল সুরক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়ক নিখিল চন্দ্র ভদ্র, নৌপ্রকৌশলী মো. আবদুল হামিদ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সহসভাপতি মানিকলাল ঘোষ, প্রভারটি ইমুলিনেশন এ্যাস্ট্যিান্স সেন্টার ফর এভরিহোয়্যারের (পিস) নির্বাহী পরিচালক ইফমা হুসেইন, উন্নয়ন ধারা ট্রাস্টের সদস্যসচিব আমিনুর রসুল বাবুল, আলোকিত গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি বাপ্পিদেব বর্মণ, দ্বীপ উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল আলম, মিডিয়া ফোরাম ফর হিউম্যান রাইটস এ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ডেভেলপমেন্টের (মেড) নির্বাহী পরিচালক রফিকুল ইসলাম সবুজ, বাংলাদেশ হকার্স ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সেকেন্দার হায়াৎ, সাংবাদিক ও শিশুসংগঠক রাজন ভট্টাচার্য, জনলোকের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী রফিকুল ইসলাম সুজন, ঢাকা উত্তর নাগরিক ফোরামের যুগ্ম সম্পাদক মোস্তফা কামাল আকন্দ, পুরনো ঢাকা নাগরিক উদ্যোগের সভাপতি নাজিম উদ্দিন এবং মুক্তি শিখার আহ্বায়ক ও সিনিয়র ক্যামেরাপার্সন জিহাদ আরিফ।