Home রাজনীতি সরকার দুর্নীতি, লুটপাটের দায় জনগণের ওপর চাপিয়ে দিচ্ছে: মির্জা ফকরুল

সরকার দুর্নীতি, লুটপাটের দায় জনগণের ওপর চাপিয়ে দিচ্ছে: মির্জা ফকরুল

21

ডেস্ক রিপোর্ট: নির্বাহী আদেশে আবারও বিদ্যূতের ৫ শতাংশ মূল্য বৃদ্ধিতে তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ এবং গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, “আওয়ামী সরকার জনগণের চরম দুর্ভোগে, দুর্দিনে একের পর এক গণবিরোধী সিদ্ধান্ত নিয়ে জনগণকে হতাশা ও অন্ধকারে ধাবিত করছে। দুর্নীতি, লুটপাটের দায় জনগণের ওপর চাপিয়ে দিচ্ছে। সরকারের দুর্নীতি, লুটপাট, অপরিণামদর্শী সিদ্ধান্ত, ভ্রান্তনীতি, ব্যর্থতা এবং অযোগ্যতার কারণে জনগণের অর্থনৈতিক অবস্থা লন্ড-ভন্ড হয়ে গেছে। এর মধ্যে দফায় দফায় বিদ্যূৎ, গ্যাস, পানি ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি ‘মরার ওপর খাঁড়ার ঘা’ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ১৪ বছরে ১৩ বার বিদ্যূতের মূল্য বৃদ্ধির পর গত জানুয়ারী মাসে ১৯ দিনের ব্যবধানে ২ বার এবং সর্বশেষ আজ আবারও বিদ্যূতের মূল্য বৃদ্ধি করা হয়েছে। অবৈধ লুটেরা আওয়ামী সরকার আবারও শতকরা ৫ ভাগ বিদ্যূতের মূল্য বৃদ্ধির ঘোষনা দিয়ে রাষ্ট্রক্ষমতার শেষে এসে বেপরেয়া লুটপাটে মরিয়া হয়ে উঠেছে। জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয় বলেই বর্তমান সরকার জনগণের ভালমন্দ বিচার করতে চায় না। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে তাদের ব্যাপক পরাজয় হবে, সেজন্য তারা জনগণের ওপর প্রতিশোধ নিতেই দফায় দফায় বিদ্যুৎসহ প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি করছে। সরকারের উন্নয়ন বুলির আড়ালে লুটপাটের মহোৎসবের কাহিনী এখন মানুষের মুখে মুখে। বিদ্যূতের এই মূল্য বৃদ্ধি সরকারের লুটপাটেরই বহি:প্রকাশ। এই মূল্য বৃদ্ধিতে অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ার পাশাপাশি কলকারখানা ও কৃষিতে বিরুপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হবে। প্রতিটি পণ্যমূল্যের লাগামহীন উর্ধ্বগতির মধ্যে এসব পণ্যের দাম আরো বাড়বে, জনগণের জীবন যাত্রার ব্যয় আরও বৃদ্ধি পাবে।
তিনি বলেন, সরকারের প্রতিটি নীতি হচ্ছে হরিলুটের নীতি, জনগণ মরে যাক, তাতে সরকারের কিছুই আসে যায় না। গণবিরোধী সরকারের অংকটি খুবই সোজা। তারা চুরি করে ক্ষতির টাকা জনগণের পকেট কেটে তা পূরণ করছে।
ফকরুল বলেন, আবারও বিদ্যূতের মূল্য বৃদ্ধির ঘোষনার সাথে সাথে এর ‘ব্যাড ইম্প্যাক্ট’ খুবই স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। সারাদেশের মানুষ এই ঘোষনার বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছে। জনগণ বিদ্যূতের মূল্য বৃদ্ধির এই গণবিরোধী ও অযৌক্তিক সরকারী সিদ্ধান্ত প্রত্যাখান করেছে। দেশের মানুষের নিকট বর্তমান ভোটারবিহীন সরকারের কোন জবাবদিহিতা ও কর্তব্যবোধ নেই বলেই জনগণের ওপর জুলুম চালানো হচ্ছে, জনগণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষনা করেছে অবৈধ আওয়ামী সরকার। বর্তমান বিনা ভোটের সরকার জবাবদিহিতার তোয়াক্কা করে না বলেই একের পর এক গণবিরোধী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছে। দাম বৃদ্ধিতে জনগণের নাভিশ্বাস উঠলেও সরকার তা পরোয়া করে না। দূর্নীতি ও লুটপাটের ওপর নির্ভর করার জন্য জনগণের কষ্টের কথা বিবেচনায় না নিয়ে বিদ্যূতের দাম বৃদ্ধি করা হয়েছে। ইতোপূর্বে বেশ কয়েকবার বিদ্যূতের মূল্য বৃদ্ধির বিরুদ্ধে দেশের মানুষ যখন ক্ষুব্ধ তখন আবারও নতুন করে বিদ্যূতের মূল্য বৃদ্ধিতে জনগণ এখন দিশেহারা হয়ে পড়েছে।