Home শিক্ষা ও ক্যাম্পাস সমাবর্তনে শিক্ষার্থীদের মানতে হবে বিশেষ নিদের্শনা

সমাবর্তনে শিক্ষার্থীদের মানতে হবে বিশেষ নিদের্শনা

183

জাবি প্রতিনিধি : জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ সমাবর্তন। এ উপলক্ষে সমাবর্তনের বিভিন্ন উপকমিটির শিক্ষক শিক্ষিকার উপস্থিতিতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বিল্ডিং (নতুন) এর কাউন্সিল কক্ষে এই সংবাদ সম্মেলন ও মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় উপাচার্য অধ্যাপক ড. নূরুল আলম বলেন মাননীয় রাষ্ট্রপতি যেহেতু আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে আসবেন তাই নিরাপত্তার বিষয়টি আমাদের মাথায় রাখতে হবে। তাই শিক্ষার্থীদের জন্য এই নির্দেশনাগুলো। সবাইকে আন্তরিকভাবে নির্দেশনাগুলো মানতে হবে। এছাড়াও তিনি বলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ সমাবর্তন গ্রাজুয়েটদের কাছে এক আনন্দপূর্ণ অনুষ্ঠানে পরিণত হোক। আমরা সমাবর্তনের দিনটির জন্য আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করে আছি। আমরা সকলে এ বিশ্ববিদ্যালয়কে হৃদয়ে ধারণ করি। আমরা পারস্পরিক সম্মান-সহযোগিতা এবং সৌহার্দ্যমূলক সম্পর্কের ভিত্তিতে এ বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নেব-এই প্রত্যাশা করি। আমি মনে করি, আজকের সংবাদ সম্মেলনটি শুধু তথ্য জানা এবং জানানোর মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে না, গণমাধ্যম প্রতিনিধিদের সঙ্গে আমাদের যে সংযোগ, তাকে আরও সুদৃঢ় করবে এবং পারস্পারিক বোঝাপড়া শক্তিশালী হবে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ সমাবর্তনে যাঁরা অংশগ্রহণ করছেন, আমি তাদের সকলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই।

এসময়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে ১৫ উপকমিটির সদস্যরা উত্তর প্রদান করেন। সমাবর্তনের দিন ৪ টি ভিন্ন স্থানে গাড়ি পার্কিং এর কথা উল্লেখ করা হয়।

স্থানগুলো হলো- কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে, উপাচার্যের বাসভবনের পাশে, স্কুল কলেজ মাঠের উত্তরে ও স্কুল কলেজ মাঠের বিপরীতে। এছাড়া সমাবর্তনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা জন্য বেলা ১১টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত প্রান্তিক গেইট দিয়ে প্রবেশ করতে পারবেন। নির্দিষ্ট সময় পরে কেউ প্রবেশ করতে পারবে না বলে কঠোর ভাবে জানিয়ে দেয়া হয়েছে।

এছাড়া, সমাবর্তনের দিন প্যান্ডেলে প্রবেশের ক্ষেত্রে বলা হয়েছে একবার কেউ ভেতরে গেলে আর বের হতে পারবে না। প্রবেশের সময় কোন ইলেকট্রনিক বস্তুু নেওয়া যাবে না। এমনকি পানির বোতলও সাথে করে নেওয়া যাবে না। এনআইডি কার্ড ও রেজিষ্ট্রেশন ফর্মটা সাথে নিতে হবে। তাই সবাইকে সেদিক বিবেচনা আনুষাঙ্গিকভাবে প্রস্তুতি নেয়ার জন্য বলা হয়েছে।
আলাদাভাবে ব্রেস্ট ফিডিং কর্মার রাখা হয়েছে। ফিজিক্যালি ডিজেবল গ্যাজুয়েটদের জন্য থাকবে বিশেষ ব্যবস্থা। খাবার সংগ্রহের জন্য আলাদা আলাদা বুথ এর ব্যবস্থা থাকবে।

চলাচলের সুবিধার জন্য পার্কিং স্লট (উপাচার্যের বাসভবনের সামনে) থেকে ১৫ মিনিট অন্তর একটি শাটল বাসের ব্যাবস্থা করা হয়েছে। যেহেতু ওইদিন ক্যাম্পাসে কোন ধরনের, মোটরসাইকেল, রিকশা, অটোরিকশা চলাচল করবে না, তাই এই সুব্যবস্থা করা হবে বলে প্রশাসন আশ্বস্ত করেছেন।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক রাশেদা আক্তার, রেজিস্ট্রার রাহিমা কানিজ, প্রক্টর আ স ম ফিরোজ উল হাসান, সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক বশির আহমেদ, ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের পরিচালক আলমগীর কবির, ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক এ টি এম আতিকুর রহমান, ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক আহমেদ রেজা, আই আই টির পরিচালক এম শামীম কায়সার, ইতিহাস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক হোসনে আরা সহ অন্যান্য শিক্ষক ও সাংবাদিকবৃন্দ।