Home রাজনীতি সংঘাতের আশঙ্কায় সাধারণ মানুষ

সংঘাতের আশঙ্কায় সাধারণ মানুষ

23

আজ ইউনিয়ন পর্যায়ে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির কর্মসূচী

ডেস্ক রিপোর্ট: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামন রেখে সরকার পতনের আন্দোলন শুরু করেছে বিএনপি। আর গ্রামে গ্রামে সরকারের উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরতে চাইছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। এর অংশ হিসেবে দুটি দলই শনিবার ইউনিয়ন পর্যায়ে নামছে কর্মসূচী নিয়ে। দুই বড় রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিতে সাধারণ মানুষের মনে নানা আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. আনু মুহম্মদ গণমাধ্যমকে বলেছেন, রাজনৈতিক দলগুলোর কর্মসূচিতে এক ধরনের অজানা সংঘাত সহিংসতার সম্ভাবনা থাকে।

পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিতে সংঘাত হতে পারে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলছেন, বিরোধী দলের সভা-সমাবেশে বাধা না দিতে নির্দেশ দিয়েছেন শেখ হাসিনা। জাতীয় নির্বাচন পর্যন্ত দলের ধারাবাহিক কর্মসূচির মাধ্যমে গ্রামে-গঞ্জে তুলে ধরা হবে সরকারের উন্নয়ন চিত্র। তবে আমরা বিএনপিকে বিশ্বাস করি না। তারা অঘটন ঘটাতে চাইলে দেশ ও জনগণের জান-মালের নিরাপত্তা দিতে প্রস্তুত রয়েছে আওয়ামী লীগ।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, বিএনপিকে শক্ত পতিপক্ষ মনে করছে না জোট সরকার। দেশের কোন জায়গাতেই তারা সহিংসতা ঘটাতে পারবে না। তারপরও বিএনপিকে বিশ্বাস করা যায় না, সুযোগ পেলেই জনগণের ওপর হামলা এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদের ক্ষতি করে। গ্রামে-গঞ্জে ওয়ার্ডে-ওয়ার্ডে জনগণকে নিয়ে তাদের প্রতিহত করা হবে। জনগণ ও রাষ্ট্রের পাহারায় শান্তি সমাবেশ করবে আওয়ামী লীগ।
তিনি বলেন, গণতন্ত্রের কথা বললে অবশ্যই সংবিধানকে মানতে হবে। নির্বাচনে না এসে অসাংবিধানিকভাবে বিএনপি ও তাদের দোসররা কোন ভাবেই দেশের মানুষের কাছে যেতে পারবে না।
আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা গেছে, ইউনিয়ন পর্যায়ের কর্মসূচিতে কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিত থাকতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। রাজধানীতে সমাবেশ করবে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ। সমাবেশে দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ দলের কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত থাকবেন। এ ছাড়া বাকি ৭৬টি সাংগঠনিক জেলার মধ্যে ৪০টিতে দলটির কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত থাকবেন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে নেতাদের নিজ জেলায় দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

অন্যদিকে বিএনপিও সরকার পতনের তাদের আন্দোলন থেকে পিছপা না হওয়ার কথা বলছে। দলটির কেন্দ্রীয় নেতারা বলছেন, আওয়ামী লীগের কাছে তারা রাজনৈতিক আচরণ আশা করছেন। আর সরকারী দলের উস্কানিতে পা দিবেন না তারা। তবে সরকারি দলের পক্ষ থেকে কোনো বাধা আসলে তার জবাব দেওয়া হবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলছেন, আন্দোলনের মহড়া চলছে। এতেই সরকারের ভীত নড়বড়ে হয়ে গেছে। এখন আমরা সারা দেশের ইউনিয়ন পর্যায়ে পদযাত্রা কর্মসূচি দিয়েছি। এই কর্মসূচিতে তৃণমূল পর্যায়ের মানুষের সঙ্গে মিশে যাওয়া হবে। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সৃষ্ট আন্দোলনেই এই সরকারের পতন ঘটনো হবে।

ইউনিয়ন পর্যায়ে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচির বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, সম্প্রতি ঢাকাসহ দেশের বিভাগীয় শহরগুলোতে আমরা শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ করেছি। আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক আচরণ করলে কোন সংঘাত সৃষ্টি হবে না।

বিএনপির আরেক স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আওয়ামী লীগের ভূমিকা দেখলে মনে হয়, তারা আজকে বিরোধী দল হয়ে গেছে। বিএনপি কর্মসূচি দিচ্ছে, প্রতিবাদে তারাও পাল্টা শান্তি কর্মসূচি দিচ্ছে। বিএনপির কর্মসূচিকে বাধাগ্রস্ত করা যাবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
আমাদের সময়.কম