Home সারাদেশ শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ, লাশ রেখে শ্বশুর বাড়ির লোকজনের পলায়ন

শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ, লাশ রেখে শ্বশুর বাড়ির লোকজনের পলায়ন

19

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পরকীয়ার জেরে শাহীনুর বেগম (২৩) নামে এক গৃহবধূকে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। গত শুক্রবার রাতে সদর উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়নের ফাঁটাপুকুর পাড় এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর পরই নিহত শাহীনুর বেগমের লাশ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে ফেলে রেখে পালিয়ে গেছে স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকেরা।
নিহত গৃহবধূ শাহীনুর বেগম সদর উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়নের ফাঁটাপুকুরপাড় এলাকার প্রবাসী ফারুক মিয়ার স্ত্রী ও সদর উপজেলার বুধল ইউনিয়নের বুধল পশ্চিমপাড়ার তাজুল ইসলামের কন্যা।
নিহত গৃহবধুর বাবা তাজুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, আট বছর আগে সুলতানপুর ইউনিয়নের ফাটাপুকুরপাড় তালুকদার বাড়ির শাহজাহান মিয়ার ছেলে দুবাই প্রবাসী ফারুক মিয়ার সাথে শাহীনুরের বিয়ে হয়। বিয়ের পরপরই ফারুক মিয়া প্রবাসে চলে যায়। তাদের ফারিয়া আক্তার (০৬) ও জয়মনি (০৪) নামে দুই কন্যা সন্তান রয়েছে। তাজুল ইসলাম জানান, আড়াই বছর পূর্বে মেজো ভাই মারা গেলে তার স্ত্রীর সাথে ফারুক মিয়ার পরকীয়ার সম্পর্ক গড়ে উঠে। তাদের মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পরকীয়া চলতে থাকে।
তিনি বলেন, গত ২ নভেম্বর ফারুক মিয়া প্রবাস থেকে দেশে আসেন। পুনরায় ভাবীর সাথে যোগাযোগ রাখতে থাকে। এনিয়ে শাহীনুরের সাথে ফারুকের সম্পর্কের অবনতি হয়। গত ৪ ডিসেম্বর ফারুক মিয়া তার স্ত্রী ও দুই কন্যাকে নিয়ে শ্বশুর বাড়িতে বেড়াতে যায়। গত শুক্রবার বিকেলে ফারুক মিয়া শাহীনুরকে নিয়ে নিজ বাড়িতে চলে আসে। শুক্রবার রাত ১২টার দিকে ফারুকের ভাই আক্তার হোসেন মোবাইলে তাকে তার বাসায় আসতে বলেন। তাজুল ইসলাম আসার পর শুনতে পান শাহীনুর কেরির বড়ি খেয়ে আত্মহত্যা করেছে। ভোর রাতে হাসপাতালে এসে তার কন্যার লাশ দেখতে পান। তাজুল ইসলাম বলেন, ফারুক মিয়া তার মেয়েকে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে। লাশ হাসপাতালে রেখে পালিয়ে গেছে। সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আসলাম হোসেন বলেন, ওই গৃহবধূর লাশ হাসপাতালে রেখে তার স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজন পালিয়ে গেছে। আমরা তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছি। এ ঘটনায় এখনো কোন মামলা হয়নি। এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা তা এখনই নিশ্চিত করে বলা যাবেনা। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে বিস্তারিত বলা যাবে।