Home জাতীয় শোষিত বঞ্চিত নিপীড়িত মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর বঙ্গবন্ধু–স্পীকার

শোষিত বঞ্চিত নিপীড়িত মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর বঙ্গবন্ধু–স্পীকার

53

ডেস্ক রিপোর্ট: বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এমপি বলেছেন, শোষিত বঞ্চিত নিপীড়িত মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর বঙ্গবন্ধু। তাঁর অদম্য সাহস, দেশপ্রেম, মানুষের জন্য ভালোবাসা, অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী সত্তা সকলের জন্য অনুসরণীয়। পাশাপাশি জনগণকে কিভাবে অধিকার আদায়ের সংগ্রামে সম্পৃক্ত করতে হয় তা তিনি শিখিয়ে গেছেন। তিনি স্বৈরতন্ত্রে নয়, গণতন্ত্রে বিশ্বাস করতেন। জনগণকে সম্পৃক্ত করে রাজনৈতিক প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নেয়ার শিক্ষা তিনি দিয়ে গেছেন। তাঁর সুদীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের সফল পরিণতি স্বাধীন বাংলাদেশ। এরপর তিনি জাতিকে উপহার দিয়ে গেছেন বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ সংবিধান।

হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে জাতীয় শোক দিবস ২০২১ উপলক্ষে আয়োজিত ‘জ্যোতির্ময় স্মৃতিতে বঙ্গবন্ধু ও বর্তমান বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় আজ প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে স্পীকার এসব কথা বলেন।

স্পীকার বলেন, ১৫ আগস্ট ১৯৭৫ জাতির জীবনে এক কলঙ্কজনক অধ্যায়। বঙ্গবন্ধু চির অম্লান-চিরভাস্বর-মৃত্যুঞ্জয়ী, বাঙালি হৃদয় থেকে তিনি কখনো মুছে যাবেন না। বাঙালির অধিকার প্রতিষ্ঠার প্রতিটি ক্ষেত্রে তিনি আজীবন কাজ করে গেছেন। জমিদারি প্রথা বিরোধী আন্দোলনের সাথেও বঙ্গবন্ধু জড়িত ছিলেন। দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর যে দর্শন তা বঙ্গবন্ধুর শৈশবকাল থেকেই আমরা দেখতে পাই। ছোট্টবেলার খোকা অন্যায়ের সাথে কখনো আপপোষ করতে শেখেন নি। কোন প্রলোভন তাঁকে কোনদিন লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত করতে পারেনি।

স্পীকার বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ দেশকে পিতার আদর্শে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। স্বাধীনতার বিরোধীতাকারী শক্তিকে রুখে দিয়ে বাঙালি ঘুরে দাঁড়িয়েছে। আজকের বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উন্নীত হয়েছে। খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা, নিজ অর্থায়নে পদ্মাসেতু, শতভাগ বিদ্যুতায়ন, গৃহহীনদের জন্য ঘর নির্মাণ, মাথাপিছু আয় দুই হাজার দুইশ সাতাশে উন্নীত হওয়াসহ সকল সূচকে দেশ আজ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে চলেছে। জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা আজ বাস্তবায়নের পথে।

হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এম কামরুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. এ কে আজাদ চৌধুরী মুখ্য আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. মোঃ আফজাল হোসেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার ড. বিধান চন্দ্র হালদার অনুষ্ঠানে সম্মানিত আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন। ড. ইমরান পারভেজ অনুষ্ঠানে সূচনা বক্তব্য প্রদান করেন। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন।