Home জাতীয় শিক্ষাক্রম নিয়ে আলোচনা সভার ভেন্যু বাতিলের সিদ্ধান্তের নিন্দা

শিক্ষাক্রম নিয়ে আলোচনা সভার ভেন্যু বাতিলের সিদ্ধান্তের নিন্দা

22

ডেস্ক রিপোর্ট: সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সালমান সিদ্দিকী ও সাধারণ সম্পাদক রাফিকুজ্জামান ফরিদ এক যুক্ত বিবৃতিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ‘বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক’ এর শিক্ষাক্রম নিয়ে আলোচনা সভার ভেন্যু বাতিলের সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।

উল্লেখ্য যে, আজ ১৩ ডিসেম্বর বিকালের সেশনে ‘বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক’ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আর সি মজুমদার অডিটোরিয়ামে ‘জাতীয় শিক্ষাক্রম—২০২১: আমরা কেন উদ্বিগ্ন?’ শীর্ষক একটি উম্মুক্ত আলোচনা সভার আয়োজন করেছিল । প্রোগ্রাম শুরুর ত্রিশ মিনিট আগে কলা অনুষদের ডিন ফোন দিয়ে প্রোগ্রামের ভেন্যু বাতিল করার কথা জানান।

নেতৃবৃন্দ বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আলোচনা সভার আয়োজকদের সাথে অন্যায় এবং অগণতান্ত্রিক আচরণ করেছেন। নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে বিভিন্ন শ্রেণি—পেশার মানুষ কথা বলবে, আলোচনা করবে এটাইতো স্বাভাবিক। বিশ্ববিদ্যালয়ের মত গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানে এটা আরো স্বাভাবিক এবং প্রয়োজনীয়। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন রাষ্ট্রীয় স্বৈরতন্ত্রের অংশ হিসেবে এই আয়োজনকে বাধা দিল যা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বায়ত্বশাসন ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের পরিপন্থী। সরকার রাষ্ট্রের সমস্ত প্রতিষ্ঠানকে দলীয়করণ করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মত স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানও এর হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না— এটা অত্যন্ত বিপদজনক।”

নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, “সরকার শিক্ষার বেসরকারিকরণ—বাণিজ্যিকীকরণ বৃদ্ধি এবং ফ্যাসিবাদী মননকাঠামো গড়ে তোলার অংশ হিসেবে, ‘জাতীয় শিক্ষাক্রম—২০২১’ প্রণয়ন করেছে। সাধারণ মানুষ, শিক্ষার্থী, অভিভাবক, শিক্ষক, বুদ্ধিজীবীসহ সমাজের শিক্ষানুরাগী মানুষ এই শিক্ষাক্রম বাতিলের দাবিতে সোচ্চার হচ্ছেন। আন্দোলন ক্রমেই ছড়িয়ে পড়ছে। এ প্রেক্ষিতে সরকারের প্রতি আমাদের আহ্বান, অবিলম্বে জ্ঞান—বিজ্ঞান—মনুষ্যত্ব ধ্বংসকারী ‘জাতীয় শিক্ষাক্রম—২০২১’ বাতিলের ঘোষণা দিন। একইসাথে দেশের প্রথিতযশা শিক্ষাবিদ, বুদ্ধিজীবী, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক, ছাত্র সংগঠনসহ সমাজের বিভিন্ন অংশের মানুষের অংশগ্রহণে সর্বজনীন, বিজ্ঞানভিত্তিক, সেক্যুলার, গণতান্ত্রিক এবং একই ধারার শিক্ষার পরিপূরক শিক্ষাক্রম প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করুন।”