Home সারাদেশ শিক্ষক আব্দুর রহিমকে অপসারণের অভিযোগ  

শিক্ষক আব্দুর রহিমকে অপসারণের অভিযোগ  

44

স্টাফ রিপোর্টার:মহামান্য হাইকোর্টের আদেশ অমান্য করে সহকারী শিক্ষক মো:আব্দুর রহিমকে অপসারণের পায়তারা করছে একটি কুচক্রি মহল। এমন অভিযোগ করেছেন ওই শিক্ষকনিজেই। ঘটনাটি সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা ইউনিয়নের চাঁদনীমুখা পরিজ্ঞানআলিম মাদ্রাসায়। এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড রেজিস্টার, চেয়ারম্যান ওশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিবের নিকট আবেদন করেছেন তিনি। ভুক্তভুগি সহকারী শিক্ষক মো: আব্দুররহিম অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, চাঁদনীমুখা পরিজান আলিম মাদ্রাসার সমাজ বিজ্ঞান বিষয়ের সহকারীশিক্ষক মো: আব্দুর রহিম ২০০৩ সালে নিয়োগ প্রাপ্ত হয়ে সুনামের সহিত শিক্ষকতা করে আসছেন।বিএনপি সমর্থিত গাবুরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিএম মাসুদুল আলমের সাথে ভুল বুঝাবুঝিরখেসারত হিসাবে গত ২২ জুন ২০২২ তারিখ হতে মাদ্রাসার গভর্নিং বডির সহকারী শিক্ষক আব্দুররহিমকে সাময়িক বরখাস্ত করেন। উক্ত মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা জিএম মাসুদুল আলমের চাচাত ভাই।আবেদনে জানা যায়, সহকারী শিক্ষক আব্দুর রহিম নিয়ম অনুযায়ীনিয়মিত মাদ্রাসায় হাজির হন এবং হাজিরা রেজিস্টারে স্বাক্ষর করেন। প্রায় এক বছর তার সাময়িকবরখাস্ত প্রত্যাহার না করায় উক্ত শিক্ষক তার বরখাস্ত আদেশ প্রত্যাহার চেয়ে মহামান্যহাইকোর্টে রিট পিটিশন করেন যার নং ৩৩৩৫/২৩। গত ২৮ মার্চ ২০২৩ তারিখ হাইকোর্ট শুনানিরদিন ধার্য করেন। শুনানি অন্তে মহামান্য হাইকোর্ট উক্ত মাদ্রাসার গভনিং বডি কর্তৃক সাময়িকবরখাস্ত আদেশটি স্থগিত করেন। মহামান্য হাইকোর্টের আদেশের কপি গর্ভনিং বডির নিকটপ্রদান করার পর থেকে উক্ত সহকারী শিক্ষক মো: আব্দুর রহিমকে মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো:সাইফুল ইসলাম হাজিরা রেজিস্টারে স্বাক্ষর করতে দেন না কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেনগর্ভনিং বডির নির্দেশ আছে আপনাকে হাজিরা রেজিস্টারে স্বাক্ষর করতে দিবে না। শুধু তাই নয়,ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হাজিরা রেজিস্টার তার হাত থেকে জোর পূর্বক কেড়ে নেয়। এ বিষয়ে উক্ত সহকারীশিক্ষক মো: আব্দুর রহিম শ্যামনগর থানায় সাধারণ ডায়রী করেন যার নং ১১৮৬ তারিখ ২১জুলাই। ২০২৩ । মহামান্য হাইকোর্টের আদেশের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে জানান বিএনপিরদোষর ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোঃ সাইফুল ইসলাম ও ইউপি চেয়ারম্যান জিএম মাহমুদুল আলম সাময়িকবরখাস্ত স্থগিত না করে তাকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের পাঁয়তারা করছে।