Home সাহিত্য ও বিনোদন “শহিদ কবি ও সাংবাদিক সেলিনা পারভীন এর জীবন ও মৃত্যু” শীর্ষক গ্রন্থের...

“শহিদ কবি ও সাংবাদিক সেলিনা পারভীন এর জীবন ও মৃত্যু” শীর্ষক গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন

24

ডেস্ক রিপোর্ট: আজ বিকাল ৪টায় বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের ইস্ফেন্দিয়ার জাহেদ হাসান মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয় ‘শহীদ কবি ও সাংবাদিক সেলিনা পারভীনের জীবন ও মৃত্যু’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন।

অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ‘শহীদ কবি ও সাংবাদিক সেলিনা পারভীনের গ্রন্থটির লেখক শেলী শাহাবুদ্দিন, কথাসাহিত্যিক ও সাহিত্যসমালোচক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, লেখক ও মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি মফিদুল হক।

অনুষ্ঠানের শুরুতেই ভার্চুয়ালি ভিডিওর মাধ্যমে স্বাগত বক্তব্য দেন গ্রন্থটির প্রকাশক ও স্বদেশ শৈলীর কর্ণধার আমেরিকা প্রবাসী এন্টনী পিউস গোমেজ। এর পর ‘শহীদ কবি ও সাংবাদিক সেলিনা পারভীনের উপর স্মৃতিচারণ করেন মেহেরুন ইসলাম কঙ্কা।

‘শহীদ কবি ও সাংবাদিক সেলিনা পারভীনের গ্রন্থটির লেখক শেলী শাহাবুদ্দিন তাঁর অগ্রজের কথা বলতে গিয়ে স্মৃতি কাতর হয়ে পড়েন। তিনি তাঁর বক্তব্যে সেলিনা পারভীনের সাথে বিভিন্ন স্মৃতি ও অভিজ্ঞতার কথা শোনান। সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে তার বক্তব্য শেষ করেন।

অনুষ্ঠানে কথাসাহিত্যিক ও সাহিত্যসমালোচক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম বলেন, পান্ডুলিপিটি পড়তে পড়তে আমার মনে হয়েছে কত অপূর্ণতার বাধা উপেÿা করেও সেলিনা পারভীন তাঁর অভিষ্টে পৌঁছাবার লÿ্যে স্থির ছিলেন। অনেক প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও দেশের প্রতি তাঁর ত্যাগ আমাদেরকে গর্বিত করে। তাঁর সম্পর্কে বিশদভাবে জানানোর জন্য তাঁর অনুজ গ্রন্থটির লেখক শেলী শাহাবুদ্দিনের প্রতি কৃতজ্ঞতা। সেই সাথে বইটি প্রকাশের জন্য স্বদেশ শৈলীকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি তাঁর বক্তব্য শেষ করেন। আরো উপস্থিত ছিলেন লেখক ও মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি মফিদুল হক । অনুষ্ঠানে সৈয়দ মনজুরুল ইসলামসহ বক্তারা সবাই জানান, সেলিনা পারভীনের জীবন পাঠ্য বইয়ে অন্তর্ভুক্ত থাকা উচিত।

বক্তব্য ও স্মৃতিচারণ শেষে আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করা হয় । মোড়ক উন্মোচন শেষে উদীচি শিল্পীগোষ্ঠির পরিবেশনায় পরিবেশন করা হয় মনোজ্ঞ সঙ্গীতানুষ্ঠান ।

উল্লেখ্য, ‘শহীদ কবি, সাংবাদিক ও বুদ্ধিজীবী সেলিনা পারভীন’ ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা আন্দোলনে সময় পরিকল্পিতভাবে বুদ্ধিজীবীদের হত্যাকান্ডের অংশ হিসেবে ১৪ ডিসেম্বর আল বদর বাহিনী কর্তৃক অপহৃত হওয়ার পর তাকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয় এবং বায়ের বাজার বধ্যভুমিতে তার মৃতদেহ পাওয়া যায় এবং ১৮ ডিসেম্বর ১৯৭১ আজিমপুর কবরস্থানে শহীদদের জন্য সংরক্ষিত স্থানে সমাহিত করা হয়। বইটিতে ‘শহীদ কবি, সাংবাদিক ও বুদ্ধিজীবী সেলিনা পারভীন’ এর জীবনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হয়েছে। বইটি প্রকাশ করেছে স্বদেশ শৈলী।