Home জাতীয় লবণাক্ততার কারণে উপকূলের নারীদের নানামূখী সংকট বাড়ছে : রশীদুজ্জামান

লবণাক্ততার কারণে উপকূলের নারীদের নানামূখী সংকট বাড়ছে : রশীদুজ্জামান

32

স্টাফ রিপোটার: উপকূলের নদ-নদী ও পরিবেশ সুরক্ষায় ব্যাপক গণআন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন খুলনা-৬ আসনের সংসদ সদস্য মো. রশীদুজ্জামান। তিনি বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশ বিপর্যয়ের কারণে এসব এলাকায় লবণাক্ততা বাড়ছে। ফলে খুলনাসহ দক্ষিণাঞ্চলের লবণ পানি আক্রান্ত এলাকায় গৃহস্থলী পরিবেশ বলে কিছু নেই। লবণাক্ততার কারণে এলাকায় গাছপালা, পশুপাখিসহ সবকিছু ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে।
বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে পরিবেশ ও জলবায়ু বিষয়ক নাগরিক সংগঠন ‘ধরিত্রী রক্ষায় আমরা’ (ধরা)’র আত্মপ্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ সব কথা বলেন তিনি। তিনি ‘ধরা’র কার্যক্রম দেশের পরিবেশ আন্দোলনে নতুন মাত্রা যোগ করবে বলে আশা প্রকাশ করেন। নতুন এই সংগঠনে গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরীকে আহ্বায়ক ও ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশের সমন্বয়ক শরীফ জামিলকে সদস্য সচিব করা হয়েছে। সংগঠনের উপদেষ্টা কমিটির সভাপতি হিসেবে আছেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ও বিশিষ্ট মানবাধিকার কর্মী অ্যাডভোকেট সুলতালা কামাল।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে শরীফ জামিল বলেন, পরিবেশ বিপর্যয় ও জলবায়ু পরিবর্তন বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় বর্তমানে মানবিক বিপর্যয় ডেকে এনেছে। জনগণের জীবন-জীবিকার ক্ষতি, ব-দ্বীপ বাস্তুসংস্থানের ধ্বংস সাধন, তীব্র পানি ও বায়ুদূষণ, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির ফলে উপকূলীয় এলাকার মানুষদের বাস্তুচ্যুতি, লবণাক্ততা, সুপেয় পানির সংকট, শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ও বন্যাসহ বিভিন্ন প্রতিকূলতা দিনদিন বেড়েই চলেছে। এসব সমস্যা মোকাবিলায় মানুষ ও সংগঠনগুলোর সন্মিলিতভাবে কাজ করা প্রয়োজন। এই লক্ষ্যেই আমাদের সংগঠন ‘ধরা’র আত্মপ্রকাশ হচ্ছে।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা সুলতানা কামাল বলেন, আমরা কেউই পরিবেশ নিয়ে একা কিছু করতে পারি না। সেই জায়গা থেকেই আমরা সংগঠন করেছি। আমি অনেক শক্ত কথা বলে থাকি। কারণ, আমার পেছনে অনেক মুখ আছে যারা কথা বলে, আমাকে সাহস দেয়। এই জন্য আমরা সবাই মিলিত হয়েই কথা বলি। আমাদের এই সংগঠন সেভাবে এগিয়ে যাবে।
সংবাদ সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে যুক্তরাষ্ট্রের টেম্পল ইউনিভার্সিটি প্রফেসর জিয়াউদ্দিন আহমেদ বলেন, এই ধরিত্রী রক্ষার দায়িত্ব আমাদেরকেই নিতে হবে। সবাই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নিজেদের জায়গা হতে নিজেদের দায়িত্ব ঠিকমতো পালন করলেই আমরা বাংলাদেশ ও এই ধরিত্রী রক্ষা করতে পারবো।
সভাপতির বক্তব্যে রাশেদা কে চৌধূরী সংগঠনটি তৈরির প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন এবং দেশের নদী ও জলাশয়সমূহ দখল ও দূষণের হাত থেকে রক্ষায় সকলকে আরো বেশি সোচ্চার হবার আহবান জানান।
সংবাদ সম্মেলনে আরো বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক আদিল মোহাম্মদ খান, জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মুজিবুর রহমান হাওলাদার, রোমান ক্যাথলিক চার্চ আর্চবিশপ বিজয় নিসফরাস ডি’ ক্রুজ, ব্রতী’র প্রধান নির্বাহী শারমীন মুরশিদ, বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব দ্রং, বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের বেসরকারি উপদেষ্টা এম এস সিদ্দিকী, নাগরিক আন্দোলনের নেতা আব্দুল করিম চৌধুরী কিম, পশুররিভার ওয়াটারকিপার মো. নূর আলম শেখ, আদিবাসী পরিবেশ রক্ষা আন্দোলনের সিলেট বিভাগীয় সমন্বয়ক ফাদার জোসেফ গোমেজ, ঢাকা ৭৫নং ওয়ার্ডের কমিশনার মো. আকবর হোসেন প্রমূখ।