ডেস্ক রিপোর্ট: এডভোকেট আব্দুল হামিদ বর্তমান রাষ্ট্রপতি হিসেবে ২৩ এপ্রিল ২য় মেয়াদ শেষ করবেন। সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা থাকায় আগামী ফেব্রুয়ারীর মধ্যে রাষ্ট্রপতির নির্বাচন সম্পন্ন করতে হবে। এই প্রেক্ষাপটেই সরকার, বিরোধী দল ও প্রশাসনসহ সারাদেশের বিভিন্ন মহলে কথা হচ্ছে পরবর্তী রাষ্ট্রপতি নিয়ে। পত্রপত্রিকার রিপোর্টে সরকার এবং সরকারী দলের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ও নেতার নাম এসেছে সম্ভাব্য রাষ্ট্রপতি হিসেবে।

কে হচ্ছেন পরবর্তী রাষ্ট্রপতি, এই শিরোনামে গত ৫ জানুয়ারি জনকণ্ঠ লিখেছে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সাবেক বিচারপতি খায়রুল হক, প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, তিনবারের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এবং জাতীয় সংসদের বর্তমান স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী নাম আলোচনায় রয়েছে।

একই দিন প্রকাশিত আজকের প্রত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আলোচনায় রয়েছেন, দলটির বর্তমান সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু, সাবেক তথ্য ও সংস্কৃতিমন্ত্রী আবুল কালাম আজাদ, প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান, এবং সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী। পাশাপাশি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছোট মেয়ে ও প্রধানমন্ত্রীর ছোট বোন শেখ রেহানার নামও রাষ্ট্রপতি পদে মনোনয়নের আলোচনায় আছে বলে উল্লেখ করেছে।
সবকিছু ছাপিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওবায়দুল কাদেরকে আগামী রাষ্ট্রপতি পদের জন্য একরকম চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত করেছেন বলে জানিয়েছে আওয়ামী লীগ এবং সেতুমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ একাধিক সূত্র।
ওবায়দুল কাদের দলের তিন তিন বারের নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক। কর্মঠ, উদ্যমী, আস্থাভাজন ও রাজনৈতিকভাবে দলের জন্য পরীক্ষিত নেতা। দেশের রাজনৈতিক যে কোন সংকট বা দুর্যোগে নিশ্চিন্তে আস্থা ও ভরসা রাখতে পারেন দলীয় প্রধান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একারণেই আগামী ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে তাকেই পছন্দ করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতি, এমনটাই দাবি সংশ্লিষ্ট মহলের।

রাষ্ট্রপতি হিসেবে ওবায়দুল কাদের নিশ্চিত হলেই দলের সাধারণ সম্পাদক পদে স্বাভাবিকভাবেই আসছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকে দায়িত্ব দেওয়ার লক্ষ্যেই এবারের সম্মেলনে ড. হাছানকে ১ নাম্বার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক করা হয়, ধারণা করছেন অভিজ্ঞ মহল।
আমাদের সময়.কম