Home সাহিত্য ও বিনোদন রায়ের অপেক্ষায় মডেল তিন্নি হত্যা মামলা

রায়ের অপেক্ষায় মডেল তিন্নি হত্যা মামলা

40

ডেস্ক রিপোর্ট: মডেল সৈয়দা তানিয়া মাহবুব তিন্নি হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করা হবে আজ। সোমবার (১৫ নভেম্বর) ঢাকার সপ্তম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ কেশব রায় চৌধুরী রায় ঘোষণা করবেন।

গত মঙ্গলবার ঢাকার সপ্তম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে এ মামলার রায় হওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু রাষ্ট্রপক্ষ নতুন করে যুক্তিতর্ক শুনানির আবেদন করায় বিচারক ১৫ নভেম্বর রায়ের নতুন তারিখ ধার্য করেন।

এ তথ্য নিশ্চিত করে সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘গত মঙ্গলবার তিন্নি হত্যা মামলার রায় ঘোষণার দিন ধার্য ছিলো। কিন্তু রাষ্ট্রপক্ষ থেকে মামলাটির রায় স্থগিত করে পুনরায় যুক্তিতর্কের আবেদন করা হয়। আদালত সেই আবেদন মঞ্জুর করে। সোমবার রায় ঘোষণার দিন ধার্য করা হয়েছে। এদিন রাষ্ট্রপক্ষকে যুক্তিতর্ক শেষ করতে বলা হয়েছে।’

এর আগে কয়েক দফায় পেছায় তিন্নি হত্যা মামলার রায়ের তারিখ।

২০০২ সালের ১০ নভেম্বর রাতে কেরানীগঞ্জে বুড়িগঙ্গা নদীর উপর ১ নম্বর চীন মৈত্রী সেতুর ১১ নম্বর পিলারের পাশে মডেল তিন্নির লাশ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় পরদিন অজ্ঞাত আসামির বিরুদ্ধে মামলা করেন কেরানীগঞ্জ থানার তৎকালীন সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো. সফি উদ্দিন। এ মামলার প্রথম তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন ওই থানার তৎকালীন উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. কাইয়ুম আলী সরদার। এর পর তিন্নির লাশের ছবি পত্রিকায় ছাপা হলে সুজন নামে নিহতের এক আত্মীয় লাশটি শনাক্ত করেন। ২০০২ সালের ২৪ নভেম্বর মামলার তদন্তভার সিআইডিতে ন্যস্ত করা হয়। তদন্তের দায়িত্ব পান তৎকালীন সিআইডির পরিদর্শক ফজলুর রহমান।

এরপর বিভিন্ন সময়ে মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব পান সিআইডির পরিদর্শক সুজাউল হক, সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) গোলাম মোস্তফা, এএসপি আরমান আলী, এএসপি কমল কৃষ্ণ ভরদ্বাজ এবং এএসপি মোজাম্মেল হক। সর্বশেষ তদন্ত কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক ২০০৮ সালের ৮ নভেম্বর সাবেক ছাত্রনেতা ও সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক অভিকে একমাত্র আসামি করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

২০১০ সালের ১৪ জুলাই অভির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন আদালত। চার্জশিটভূক্ত ৪১ সাক্ষীর মধ্যে ১৮ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়।-ইত্তেফাক