Home কৃষি রাণীশংকৈলে সমলয়ের শস্য কর্তন, কৃষি যন্ত্র ও বীজ বিতরণ।

রাণীশংকৈলে সমলয়ের শস্য কর্তন, কৃষি যন্ত্র ও বীজ বিতরণ।

91

মহশীন আলী, রংপুর অফিস: ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে কৃষক পর্যায়ে ২০২২-২৩ অর্থবছরে প্রণোদনা এবং ভর্তুকি কর্মসূচির আওতায় “সমলয়ে বোরো ধানের শস্য কর্তন, কৃষি যন্ত্র ও বীজ বিতরণ” শীর্ষক এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

রাণীশংকৈল উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা সঞ্জয় দেবনাথ এর নির্দেশনায় এবং উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ মহিদুল ইসলাম এর তত্ত্বাবধানে ২৫ মে ২০২৩ ইং রোজ বৃহস্পতিবার উক্ত অনুষ্ঠান উপজেলার নেকমরদ ইউনিয়নের ভবানীপুর চামারদিঘির পাড় মাঠে উক্ত অনুষ্ঠিত হয়।

উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ঠাকুরগাঁও জেলার জেলা প্রশাসক মোঃ মাহাবুবুর রহমান। ঠাকুরগাঁও জেলাতে ভিন্ন দুটি ইউনিয়নের উপনির্বাচন ও বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার আশ্রয়ণ প্রকল্পে পুষ্টি বাগান পরিদর্শন শেষে উক্ত অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বিলম্ব হওয়ায় তিনি উপস্থিত সবার নিকট প্রথমেই ক্ষমা চেয়ে নেন। পরে তিনি বলেন, বর্তমান সরকার কৃষি বান্ধব সরকার। বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরাসরি তত্ত্বাবধানে কৃষি মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী কৃষিবিদ ডঃ আব্দুর রাজ্জাক কৃষি ও কৃষকের উন্নয়নের জন্য নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে কাজ করছে বলেই বাংলাদেশ এখনো বিভিন্ন রকমের মহামারি ও বৈশ্বিক ঝামেলার মধ্যেও বাংলাদেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণভাবে টিকিয়ে রেখেছেন বলে তিনি ব্যক্ত করেন । সরকারের পরিকল্পনা ও চেষ্টাকে বাস্তবে সাফল্য এনে দেওয়ার জন্য তিনি সরকার ও ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপস্থিত সকল কৃষককে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খামারবাড়ি, ঠাকুরগাঁও এর উপপরিচালক মোঃ সিরাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন রাণীশংকৈল উপজেলা পরিষদের সম্মানিত চেয়ারম্যান শাহরিয়ার আজম মুন্না, রাণীশংকৈল উপজেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা সোহেল সুলতান জুলকার নাইন কবির, ২ নং নেকমরদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ আবুল হোসেন।

এছাড়াও উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, রাণীশংকৈলের সকল উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা গন উপস্থিত ছিলেন। উক্ত অনুষ্ঠান সকাল ১১:০০ টায় আরম্ভ হওয়ার কথা থাকলেও দুপুর ০১:০০ টায় শুরু হয়। সেই কারনে রাণীশংকৈল উপজেলার বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকগণ উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে তা পরে তাঁরা নিউজ প্রকাশের ক্ষেত্রে উক্ত অনুষ্ঠান হতে ওয়াক আউট করেন।

এদিকে এ রকম একটা জেলা পর্যায়ের শীর্ষ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ না পাওয়ার কারনে জেলা-উপজেলার নেতৃবৃন্দ অনুষ্ঠান আয়োজকের প্রতি মনোক্ষুন্ন হয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, তাঁরা নেতা নির্বাচিত হয়ে সরকারের উন্নয়নের কাজে সাধারণ মানুষের সাথে সেই উন্নয়নের শরীক হবেন। কিন্তু কেন তাঁরা তা করতে পারছেন না এ ব্যাপারে তাঁরা বোধগম্য নয়। ভবিষতে তাঁরা এ বিষয়ে দলীয় ফোরামে আলোচনা করবেন বলে মত প্রকাশ করেন।