Home জাতীয় রাজশাহী ও সিলেট সিটিতে আজ ভোট

রাজশাহী ও সিলেট সিটিতে আজ ভোট

31

বিশেষ প্রতিনিধি: রাজশাহী ও সিলেট সিটি করপোরেশনে আজ ভোট গ্রহণ করা হবে। সকাল ৮টা থেকে দুই সিটিতে একযোগে ইভিএমএ ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে বিরতিহীনভাবে চলবে বেলা ৪টা পর্যন্ত। ভোট গ্রহণের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে নির্বাচন কমিশন।

এবার রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ১৫৫টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ করা হবে। সব কেন্দ্রেই ইভিএমএ ভোট গ্রহণ হবে। এ উপলক্ষে রাসিকের ৩০টি ওয়ার্ডের কেন্দ্রেগুলোতে পাঠানো হচ্ছে নির্বাচনী সরঞ্জাম।

গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১১টা থেকে নগরীর নিউ ডিগ্রী কলেজ থেকে নির্বাচনী সরঞ্জামাদি পাঠানো কার্যক্রম শুরু হয় । প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ও ভোট কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা পুলিশ কর্মকর্তা এসব সরঞ্জাম কেন্দ্রে নিয়ে যাচ্ছেন। ইভিএম মেশিন থাকছে প্রায় ১ হাজার ৮ শ’টি ।পর্যবেক্ষক থাকবেন নির্বাচন কমিশনের ১০ জন।

রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন জানান, নির্বাচনে ৭ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। অবাধ,সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।

নির্বাচনের দিন নগরীতে টহল থাকবে ২৫০ জন র‌্যাব ও বিজিবির ১০ প্লাটুন সদস্য। নির্বাচনের নিরাপত্তায় দায়িত্ব পালন করবেন ৩ হাজার ৫১৪ জন পুলিশ, ১ হাজার ৯৩৫ আনসার সদস্য। থাকবেন ৩০জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ১০জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট।

ভোটগ্রহণের দায়িত্বে থাকবেন ৩ হাজার ৬’শ ১৪ জন কর্মকর্তা। ভোট কেন্দ্রগুলোতে স্থাপন করা হয়েছে ১হাজার ৫৬০টি ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা।

এদিকে ১৫৫টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ১৪৮টি।
আগামীকাল বুধবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলবে ভোটগ্রহণ। নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হবে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে।

মেয়র পদে প্রার্থী ৪ জন। সাধারণ ৩০টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থী ১১১জন ও সংরক্ষিত ১০টি ওয়ার্ডে নারী কাউন্সিলর প্রার্থী ৪৬ জন।মোট ভোটার ৩ লাখ ৫১ হাজার ৯৮২ জন।

এদিকে সিলেট নগরীরও ৪২ টি ওয়ার্ডের ১৯০ টি ভোট কেন্দ্রে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ভোটের জন্য বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন ভবন থেকে সিসি টিভির মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন।

মেয়র পদে আটজন, সাধারণ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ২৭২ জন এবং সংরক্ষিত ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ৮৭ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের সূত্র অনুযায়ী, নগরে মোট ভোটার ৪ লাখ ৮৬ হাজার ৬০৫ জন। মেয়র পদে ৮ জন, সাধারণ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ২৭৩ জন এবং সংরক্ষিত ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ৮৭ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ১৯০টি কেন্দ্রে মোট ভোটকক্ষ রয়েছে ১ হাজার ৩৬৪টি।

গত সোমবার থেকে মাঠে নেমেছেন ১৪ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট। মাঠে নিয়োজিত থাকবেন ৪২ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটও। এমনকি সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) নির্বাচনকে ঘিরে পুরো নগরীকে গড়ে তোলা হচ্ছে চার স্তরের নিরাপত্তা বলয়।

সিসিক নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার ও সিলেটের আঞ্চলিক নির্বাচন অফিসার ফয়সাল কাদের বলেন, নির্বাচনকে ঘিরে যাতে অনাকাঙ্খিত কোনো ঘটনা ঘটতে না পারে-এজন্যে নগরকে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হচ্ছে। ভোটাররা যাতে নির্বিঘ্নে , পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারেন এই লক্ষ্যে আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা সার্বক্ষণিক নিয়োজিত থাকবে।

এছাড়াও র‌্যাব ও পুলিশের নিজস্ব মোবাইল টিম ও স্ট্রাইকিং ফোর্স থাকবে। ভোট কেন্দ্রের ভেতরে ও বাইরে কঠোর নিরাপত্তা গ্রহণ করা হয়েছে। যদি কোনো কেন্দ্রে বা কেন্দ্রের বাইরে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়-তাহলে তাৎক্ষণিকভাবে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে আইনশৃংখলা বাহিনী শান্তি-শৃঙ্খলা নিশ্চিত করবে। নির্বাচনী অপরাধ কেউ করলে তাৎক্ষণিক বিচারের জন্যে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটরা মাঠে থাকবেন।

জানা যায়, সিসিকের ৪২টি সাধারণ ওয়ার্ডে ৪২টি মোবাইল টিম নিয়োজিত থাকবে। প্রতি তিনটি সাধারণ ওয়ার্ডের জন্যে থাকবে পুলিশের ১৪টি স্পেশাল স্ট্রাইকিং ফোর্স। ৪২টি ওয়ার্ডের জন্যে থাকবে র‌্যাবের ২২টি মোবাইল টিম।

এছাড়াও র‌্যাব-পুলিশের সাদা পোষাকের পৃথক পৃথক বিশেষ টিম সার্বক্ষণিক মাঠে মোতায়েন থাকবে। একটি সাধারণ ভোট কেন্দ্রে ৫ জন সশস্ত্র পুলিশ ও ১২ জন আনসারসহ মোট ১৭ জন দায়িত্ব পালন করবেন। গুরুত্বপূর্ণ ও সাধারণ ভোট কেন্দ্র বিবেচনায় পুলিশ আলাদাভাবে নিরাপত্তা গ্রহণ করবে বলে রিটার্নিং অফিসার জানিয়েছেন।