মো.পাভেল ইসলামরাজশাহী: রাজশাহীতে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নে জেলা টাস্কফোর্স কমিটির সদস্য ও কর্তৃত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার(১৯ জুন) সকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এই প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) কল্যাণ চৌধুরীর সঞ্চালনায় প্রশিক্ষণ কর্মশালায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, জেলা প্রশাসনের উপপরিচালক (স্থানীয় সরকার) শাহানা আখতার জাহান, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (বোয়ালিয়া) মো. তৌহিদুল আরিফ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) আবু সালেহ মো. আশরাফুল আলম,
উপ-পুলিশ কমিশনার (এস্টেট ও উন্নয়ন) মুহম্মদ আব্দুর রকিব, সিনিয়র জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা, যুব উন্নয়ন অধিদফতরের উপ-পরিচালক এটিএম গোলাম মাহবুব, সমাজসেবা অধিদফতরের উপ-পরিচালক মোছা. হাসিনা মমতাজ, রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সচিব মো. মশিউর রহমান, জেলা শিক্ষা অফিসার মো. নাসির উদ্দিন,
জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা মো. মনজুর কাদের, জেলা তথ্য অফিসের উপ-পরিচালক নাফেয়ালা নাসরিন, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শবনম শিরিন, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর রাজশাহী জেলার সহকারী পরিচালক মো. মাসুদ আলী, সোনালী সংবাদ পত্রিকার সম্পাদক লিয়াকত আলী, রাজশাহী প্রেসক্লাবের সভাপতি সাইদুর রহমান।
এছাড়াও রাজশাহী জেলার বিভিন্ন দপ্তরের সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তাসহ টাস্কফোর্স কমিটির সদস্য ও তামাক প্রতিরোধী সংগঠনের ব্যক্তিবর্গ, সাংবাদিক ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এসময় উপস্থিত বক্তারা বলেন, তামাকজাত দ্রব্যের ব্যবহারের ভয়াবহ পরিণতি সম্পর্কে সবাইকে সচেতন করতে হবে। শিশুদের কাছে যেন কেউ বিড়ি-সিগারেট বিক্রি করতে না পারে বা খায় সে ব্যাপারে প্রশাসনকে নজর রাখার আহবান জানানো হয়।
এছাড়াও পাবলিক প্লেস ও পাবালিক পরিবহনে ধূমপান নিষিদ্ধকরণ। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রের একশ’ মিটার দূরত্বের মধ্যে কোন ধরনের তামাকজাত দ্রব্য ক্রয়-বিক্রয় সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। জেলা প্রশাসক ধূমপান নিয়ন্ত্রণ ও তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপন বন্ধে মোবাইল কোর্ট চলমান রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
উল্লেখ্য, কর্মশালায় ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০০৫, সংশোধিত ২০১৩ বিষয়ে আলোচনা করা হয়। কর্মশালায় তামাক নিয়ন্ত্রনে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা, জনসমাবেশে ও গণপরিবহনে ধূমপান মুক্তকরণ, তামাকবিরোধী প্রচার, প্রচারণা জোরদারকরণ,
তামাক কোম্পানির বিজ্ঞাপন অপসারণ করা, তরুণদের ধূমপানে নিরুৎসাহিত করতে সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করা, সরকারি, বেসরকারি সংস্থাসমুহের উদ্বুদ্ধমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করাসহ প্রণিত আইন ব্যাপকভাবে প্রচার এবং আইনের প্রয়োগ করার জন্য জোর সুপারিশ করা হয়।