Home রাজনীতি রবীন্দ্রনাথ পরমত সহিঞ্চুতার বাণী যুগে যুগে মানুষকে প্রেরণা যুগিয়ে যাবে: মির্জা ফখরুল

রবীন্দ্রনাথ পরমত সহিঞ্চুতার বাণী যুগে যুগে মানুষকে প্রেরণা যুগিয়ে যাবে: মির্জা ফখরুল

32

ডেস্ক রিপোর্ট: কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নিম্নোক্ত বাণী দিয়েছেনঃ-
বাণী
”কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আমি তাঁর অমোচনীয় স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই। স্মরণ করি বাংলা সাহিত্যকে বিশ্ব সাহিত্যের মর্যাদায় উন্নীত করতে তাঁর অসামান্য অবদানের কথা। কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আমাদের বাংলা সাহিত্যের যুগোর্ত্তীর্ণ শ্রেষ্ঠ লেখক ও বিশ্বের শ্রেষ্ঠ মনীষীদের একজন। অবিনাশী সৃষ্টির দ্বারা তিনি কবি, ঔপন্যাসিক, ছোট গল্পকার, নাট্যকার, প্রাবন্ধিক, ভাষাবিজ্ঞানী, দার্শনিক, সংগীত রচয়িতা ও সুরকার হিসেবে এক উচ্চমাত্রায় নিজেকে অধিষ্ঠিত করেন। ভারতের ধ্রুপদি ও লৌকিক সংস্কৃতি এবং পাশ্চাত্য বিজ্ঞান চেতনা ও শিল্পদর্শণ তাঁর রচনায় গভীর প্রভাব বিস্তার করেছিল। কবি রবীন্দ্রনাথ শুধু কবিই ছিলেন না, ছিলেন সমাজ, রাজনীতি ও সামাজিক সম্প্রীতির অক্লান্ত ভাষ্যকার। তাঁর সঙ্গীত প্রাণে স্বর্গীয় প্রশান্তির আবহ তৈরী করে। তাঁর সাহিত্য কর্মে শান্তি, মানবতা, মহত্ত্ববোধ ও পরমত সহিঞ্চুতার বাণী যুগে যুগে মানুষকে প্রেরণা যুগিয়ে যাবে, তাই তাঁর সৃষ্টিকর্ম জাতীয়তার গন্ডি পেরিয়ে দেশ দেশান্তরে হয়ে উঠেছে কল্যাণের অকৃত্রিম আলেখ্য। মানব প্রেম, প্রকৃতি প্রেম ও দেশপ্রেম তাঁর লেখনির প্রধান অনুষঙ্গ হিসেবে কাজ করেছে। আজও আমরা সবাই তাঁর লেখনি দ্বারা উদ্বুদ্ধ। কথা সাহিত্য ও প্রবন্ধের মাধ্যমে তিনি সমাজ, রাজনীতি ও রাষ্ট্রনীতি সম্পর্কে নিজের মতামত প্রকাশ করেছেন।
তাঁর রচনায় একই সঙ্গে সমাজ চেতনা ও মানব প্রেমের শ্বাশত বাণী বিধৃত হয়েছে আবার অন্যায় অবিচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হওয়ার আহবান তাঁর সৃষ্টির অন্যতম বৈশিষ্ট্য।
শান্তি ও মানবতার কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের রচনা মানুষকে চিরকাল মানব প্রেম ও দেশ প্রেমে উদ্বুদ্ধ করবে বলে আমার বিশ্বাস।
আমি কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আত্মার শান্তি কামনা করি।”