Home রাজনীতি যুব আন্দোলন দিয়েই দেশের বর্তমান পরিস্থিতির পরিবর্তন ঘটাতে হবে: শ্রমিক নেতা সহিদুল্লাহ

যুব আন্দোলন দিয়েই দেশের বর্তমান পরিস্থিতির পরিবর্তন ঘটাতে হবে: শ্রমিক নেতা সহিদুল্লাহ

42

স্টাফ রিপোটার: শ্রমিক নেতা ও বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সাবেক সভাপতি সহিদুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, দেশ মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে বলে সরকার যতই আত্মতৃপ্তি লাভ করুক বাস্তবতার সাথে এর কোনো মিল নেই। ‘দুর্নীতি-অর্থপাচার-দুঃশাসন রুখো, কর্মসংস্থান ও ভোটাধিকারের সংগ্রামে ঐক্যবদ্ধ হও’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) শাহবাগের প্রজন্ম চত্বরে বাংলাদেশ যুব ইউনিয়নের দ্বাদশ জাতীয় সম্মেলন উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে সহিদুল্লাহ চৌধুরী যুব ইউনিয়নের দুইদিনব্যাপী দশম জাতীয় সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, যুব আন্দোলনের মাধ্যমেই শ্রেণি-আয় বৈষম্যের জবাব দিতে হবে। আন্দোলন ছাড়া এখন আর কোনো বিকল্প নেই। যুব ইউনিয়নকে এ আন্দোলনে সংগঠকের ভূমিকা পালন করতে হবে। রাজনৈতিক-সাংস্কৃতিক আন্দোলনের মাধ্যমেই কেবল বৈষম্যহীন, অসাম্প্রদায়িক, ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র গড়ে তোলা সম্ভব।
সংগঠনের সভাপতি যুবনেতা হাফিজ আদনান রিয়াদের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অধিবেশনে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও গণনীতি বিশ্লেষক ড দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য, যুব ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি বিএম শহীদুল হক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. কাবেরী গায়েন।
এসময় সাধারণ সম্পাদক খান আসাদুজ্জামান মাসুমের সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আশিকুল ইসলাম জুয়েল, সম্মেলন প্রস্তুতি পরিষদের চেয়ারম্যান ডা. সাজেদুল হক রুবেল, আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলম নান্নু, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি গোলাম রাব্বী খান ও ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি চৌধুরী জোসেন।
সম্মেলনের বক্তারা বলেন, সরকার যুবকদের কর্মসংস্থান ও মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছে। তথাকথিত উন্নয়নের আওয়াজ দিয়ে সরকার তার ব্যর্থতাকে আড়াল করতে চাইছে। কর্মসংস্থানের অভাবে হাজারো যুবক জীবন বাজি রেখে সমুদ্র পথে বিদেশে পাড়ি জমাচ্ছে। সরকারি দলের পরিচয়, সুপারিশ ও নগদ টাকা ছাড়া এখনও চাকরি হয় না। দলীয়করণ লুটপাট মাত্রা ছাড়িয়েছে।
বক্তারা আরও বলেন, গণতন্ত্র আজ ব্যক্তি এবং দলের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে। সাম্রাজ্যবাদ ও বহুজাতিক কোম্পানির কাছে মুচলেকা দিয়ে অযৌক্তিকভাবে গ্যাস-বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি করা হয়েছে। অন্যদিকে চলছে সরকারি ছাত্র ও যুব সংগঠনের বেপরোয়া সন্ত্রাস। এভাবে চলতে পারে না। এ পরিস্থিতিতে ঘরে বসে থাকার সুযোগ নেই।
সারাদেশ থেকে তিন সহস্রাধিক নেতাকর্মী যোগ দিয়েছেন সম্মেলনে।
আগামীকাল ১৪ জানুয়ারি (শনিবার) অনুষ্ঠিত হবে দ্বাদশ জাতীয় সম্মেলনের কাউন্সিল অধিবেশন।
উদ্বোধনের আগে উদীচী শিল্পী গোষ্ঠীর শিল্পীরা গণসংগীত পরিবেশন করে।
সম্মেলনের দ্বিতীয় দিন ঢাকাস্থ বিএমএ ভবন মিলনায়তনে কাউন্সিল অধিবেশনে দেশের ৬৯টি সাংগঠনিক জেলার চার শতাধিক প্রতিনিধি অংশ নেবেন। কাউন্সিল অধিবেশনে আগামী দুই বছরের জন্য কেন্দ্রীয় কমিটি নির্বাচিত হবে।