Home প্রচ্ছদ ‘যুদ্ধ থামাও, ন্যাটো বিলুপ্ত করো’

‘যুদ্ধ থামাও, ন্যাটো বিলুপ্ত করো’

29

সমাজ গবেষণা কেন্দ্রের আলোচনায় রাজনীতিবিদ, অর্থনীতিবিদ, অ্যাক্টিভিস্টরা

স্টাফ রিপোটার: রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে যে যুদ্ধ চলছে তা মামুলি আঞ্চলিক যুদ্ধ নয়; যুদ্ধ ইউরোপে হলেও এর ঘাত-প্রতিঘাত পুরো বিশ্বজুড়েই পড়েছে। ইউক্রেনের নামে আদতে যুদ্ধ করছে পশ্চিমারা। নিজেদের আধিপত্য টিকিয়ে রাখতে পশ্চিমারা শেষ পর্যন্ত লড়ার ঘোষণা দিয়েছে। যুদ্ধে হারলে রাশিয়ার অস্তিত্বও বিপন্ন হয়ে পড়বে। সুতরাং কেউই ছাড় দেবে না। তাই যুদ্ধ প্রলম্বিত হবে। এবং এর খেসারত দিতে হবে সারাবিশ্বের বিশেষত দরিদ্র, প্রান্তিক ও শ্রমজীবী মানুষকে। বাংলাদেশে যেন ওই প্রলম্বিত যুদ্ধের প্রভাব কমিয়ে রাখা যায় সেজন্য দেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট নানান কৌশলের দিকে ব্রতী হতে হবে। আর সেটা করার জন্য দরকার রাজনৈতিক আন্দোলন জারি রাখা।
২৮ অক্টোবর, শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া কনফারেন্স কক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তারা এমনটাই বলেছেন।
সমাজ গবেষণা কেন্দ্রের উদ্যোগে বিকাল সাড়ে ৪টা থেকে শুরু হওয়া এ আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের সম্মানীয় ফেলো অর্থনীতিবিদ ড. মুস্তাফিজুর রহমান।
‘রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ; পথের শেষ কোথায়’ শিরোনামের এই আলোচনায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজের (বিআইডিএস) মহাপরিচালক ড. বিনায়ক সেন। তিনি তার বক্তব্যে ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া ইউক্রেনে সেনা পাঠানোর পর থেকে বিশ্বজুড়ে সামরিক, অর্থনৈতিক এবং সামাজিক যে নানা পটপরিবর্তন হয়েছে, যুদ্ধে কাদের মোটিভ কী, বাংলাদেশ কীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, আশু কী কী করা যেতে পারে সে সম্বন্ধে তার অভিমত ব্যক্ত করেন।
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাবেক সভাপতি মুজাাহিদুল ইসলাম সেলিম, বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. দিলীপ নাথ, বাসদের সহ-সম্পাদক রাজেকুজ্জামান রতন, সমাজ গবেষণা কেন্দ্রের সদস্য সচিব অধ্যাপক এম এম আকাশ, বাংলাদেশ শান্তি পরিষদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী আবুল কাশেম, সিপিবির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হাসান তারিক চৌধুরী সোহেল।
মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম তার বক্তব্যে বলেন, চলমান ঘটনা নিয়ে চূড়ান্ত কিছু বলা না গেলেও এই যুদ্ধ অনেক কিছুই উন্মোচন করে দিয়েছে। দেশে পশ্চিমাদের তল্পিবাহকের মতো দেশীয় মিডিয়াও একপাক্ষিক খবর প্রকাশ করছে, মনে হচ্ছে ইনফরমেশন মনোপলি চলছে।

সভার শেষদিকে মুক্ত আলোচনায় বেশ কয়েকজন এ প্রসঙ্গে মতামত ও তাদের দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেন।