Home শিক্ষা ও ক্যাম্পাস যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপের বিশ্ববিদ্যালয় প্যালেস্টান আন্দোলনের সংহতি জানিয়ে চবি অবস্থান কর্মসূচী পালিত

যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপের বিশ্ববিদ্যালয় প্যালেস্টান আন্দোলনের সংহতি জানিয়ে চবি অবস্থান কর্মসূচী পালিত

39

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি,: যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশের বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে প্রো-প্যালেস্টাইন আন্দোলনের সাথে সংহতি জানিয়ে চবিতে নিপীড়ন বিরোধী শিক্ষার্থীবৃন্দের প্রতীকী তাঁবু খাটিয়ে অবস্থান কর্মসূচী
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশে দেশে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনে দখলদার ইজরায়েল রাষ্ট্র কর্তৃক সংঘটিত গণহত্যার প্রতিবাদ জানিয়ে আন্দোলন সংগঠিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ক্লাস পরীক্ষা বর্জন করে দলে দলে সেই আন্দোলনে অংশ নিচ্ছেন। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে ‘এন্টি-সেমিটিক’ ট্যাগ দিয়ে সেসব দেশের রাষ্ট্রীয় বাহিনী হামলা চালায় ও গণগ্রেপ্তার শুরু করে। এ পর্যন্ত অসংখ্য শিক্ষার্থী ও অধ্যাপককে তারা গ্রেপ্তার করেছে। এছাড়া সেখানকার জায়নবাদী গোষ্ঠীরাও হামলা করেছে আন্দোলনকারীদের উপর। এর মধ্য দিয়ে সাম্রাজ্যবাদী যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের দেশগুলোর গণতন্ত্রের মুখোশ আবারও উন্মোচিত হলো।
আজ ৬ মে ২০২৪ ইং রোজ সোমবার দুপুর ১২টায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের জারুলতলায় নিপীড়ন বিরোধী শিক্ষার্থীবৃন্দ ফিলিস্তিনের জনগণের সংগ্রাম ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানিয়ে প্রতীকী তাঁবু খাটিয়ে অবস্থান কর্মসূচী পালন করে। কর্মসূচীতে তারা ইজরায়েলের আগ্রাসন ও এতে সাম্রাজ্যবাদী মদদের প্রতিবাদ জানান। এছাড়া বিভিন্ন যুদ্ধবিরোধী চিত্রকর্ম ও আন্দোলনের স্থিরচিত্র এবং পার্বত্য চট্টগ্রামের নিপীড়নের চিত্র প্রদর্শন করা হয়।
কর্মসূচীতে বক্তারা বলেন, “বিশ্বব্যাপী সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসনের নির্মম শিকার আজকের ফিলিস্তিনের সাধারণ জনগণ। মার্কিন ও ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের সুস্পষ্ট মদদে তারা সেখানে গণহত্যার শিকার হচ্ছে। আমরা ফিলিস্তিনে সেটেলার ইজরায়েল রাষ্ট্র কর্তৃক সংঘটিত গণহত্যার তীব্র নিন্দা জানাই। অবিলম্বে ফিলিস্তিনের জনগণকে তাদের দেশ ফিরিয়ে দিতে হবে ও সেখান থেকে ইজরায়েলি সেনা প্রত্যাহার করতে হবে। ফিলিস্তিনের জনগণের খাদ্য, চিকিৎসা, বাসস্থান ও নিজ ভূমিতে বেঁচে থাকার অধিকার পুঃপ্রতিষ্ঠার সংগ্রামের প্রতি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নিপীড়ন বিরোধী শিক্ষার্থীবৃন্দ সংহতি জানায়।
আমরা দেশে দেশে সাম্রাজ্যবাদ ও সকল ধরনের দেশীয় নিপীড়নবিরোধী অবস্থান নেওয়ার জন্য শিক্ষার্থীদের আহ্বান জানাই। দেশের ভিতরে পার্বত্য চট্টগ্রামকে ফিলিস্তিন করে রাখা হয়েছে। সেখানে বম জাতিসত্তার জনগণের উপর গণগ্রেফতার ও গণহত্যা চালানো হচ্ছে। অবিলম্বে এসব নিপীড়ন-গণহত্যার অবসান চাই।
বক্তারা আরো বলেন, ‘এই সংকট মুহুর্তে যে আর অরাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে থাকার সুযোগ নেই, তা যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আঙুল তুলে দেখিয়ে দিচ্ছেন। তাদের টাকা যখন নারী ও শিশুদের হত্যার উদ্দেশ্যে অস্ত্র তৈরী ও সরবরাহে ব্যবহৃত হচ্ছে, তখন তারা এর বিরুদ্ধে সোচ্চার অবস্থান গ্রহণ করেছেন। তাদের এই অবস্থানের প্রতি আমরা সংহতি জানাই। তাদের আদর্শ আমাদের দেশের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সঞ্চারিত হবে এটাই কাম্য।
অবস্থান কর্মসূচি থেকে শিল্পী পিট সিগারের যুদ্ধ বিরোধী ‘We Shall Overcome ‘ গান গেয়ে সমাপ্ত করা হয়। নিপীড়ন বিরোধী শিক্ষার্থীবৃন্দের সংগঠক ধ্রুব বড়ুয়ার সঞ্চালনায় অবস্থান কর্মসূচিতে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন বিপ্লবী ছাত্র-যুব আন্দোলনের চবি শাখার সংগঠক ঈশা দে, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সংগঠক মাহিদুল ইসলাম ইবাদ। সভাপতিত্ব করেন বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সভাপতি রোনাল চাকমা।