Home জাতীয় যাত্রাবাড়ীতে দল নয়, আত্মপ্রচারের সম্মেলন

যাত্রাবাড়ীতে দল নয়, আত্মপ্রচারের সম্মেলন

85

স্টাফ রিপোটার: দলীয় রীতি পাশ কাটিয়ে অনেকটা আত্মপ্রচারে যাত্রাবাড়ী থানা আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়ে গেল। সাধারণত সম্মেলনগুলোতে দলের ইতিহাস ঐতিহ্য, সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরা হয়, কিন্তু যাত্রাবাড়ী থানা ও আওতাধীন ওয়ার্ড সম্মেলনে এর বালাই নেই। গোটা সম্মেলন জুড়েই ছিল পদপ্রত্যাশী নেতা আর নগরের দায়িত্বশীল নেতাদের বড় বড় ছবির মহড়া। যদিও গত ২ মাস ধরে চলা ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের থানা সম্মেলনে কোথাও এমনটা দেখা যায়নি।

দীর্ঘদিন পর বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হয়েছে যাত্রাবাড়ী থানা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে ঘটে ব্যতিক্রম। থানা আওতাধীন ঢাকা-৫ আসনে গত উপ নির্বাচনে মাত্র ৫ শতাংশ ভোট পড়লেও সম্মেলনে নেতা হবার প্রত্যাশীদের ছবির মহড়া ছিলো চোখের পড়ার মতো। যা নিয়ে সম্মেলন জুড়েই ছিল কানাঘুষা। সম্মেলনস্থল ঘুরে এমনটাই দেখা গেছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, সম্মেলনস্থল ও আশপাশে ছিল ব্যানার-ফেস্টুনের ছড়াছড়ি। সেখানে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা এবং বঙ্গবন্ধুর ছবি ছিলো আকারে খুবই ছোট। সম্মেলণের মূল প্যান্ডেলেও ছিল আত্মপ্রচারের মহড়া। মঞ্চের ব্যানার ছাড়া কোথাও বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার ছবি সম্বলিত ব্যাপনার দেখা যায়।

সম্মেলনের মঞ্চের সামনে পুরো প্যান্ডেল জুড়ে সাড়িবদ্ধ ভাবে সাজানো হয়েছিল মঞ্চে উপস্থিত অথিতিদের ছবি সমবলিত বড় বড় ব্যানার-ফেস্টুন। পদপ্রত্যাশীদের ছবিও ছিল প্যান্ডেলের ভিতরে। ঐসব ব্যানার ফেস্টুনে দলীয় প্রধান কিংবা বঙ্গবন্ধুর ছবি দেয়া হয়নি। মূলত আয়োজকরা নিজেদের আত্মপ্রচার এবং উপস্থিত নেতাদের মন জয় করতেই বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গবন্ধুকন্যার ছবি বাদ দিয়ে ব্যানার-ফেস্টুন টাঙিয়ে ছিলেন। যদিও মঞ্চে উপস্থিত আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কোনো নেতার দৃষ্টিগোচর হয়নি। তাই প্রশ্ন উঠেছে- নীতি আদর্শের পরিহার করে, আত্মপ্রচারের রাজনীতিতে ব্যস্ত মহানগর আওয়ামী লীগের নেতারা।
এ বিষয়ে কথা বলতে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মান্নাফী মোবাইলে যোগাযোগ করে পাওয়া যায়নি।
সংশ্লিস্ট থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম সরওয়ার কবির বলেন, মূল মঞ্চে বঙ্গবন্ধু এবং নেত্রীর ছবি বড় করে দেয়া ছিলো। মঞ্চের সামনের খুটিতে আমাদের মতো ছোট নেতাদের ছবি ছিলো।
এদিকে যাত্রাবাড়ি থানা আওয়ামী লীগের সদ্য বিদায়ী সভাপতি কাজী মনিরুল ইসলাম মনু এমপি ও সাধারণ সম্পাদক হারুনর রশীদ মুন্না সকল ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের কাছ থেকে কৌশলে সাক্ষর নিয়ে সন্ধ্যায় সম্মেলনের মঞ্চে নিজেদের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে প্রস্তাব ঘোষণা করতে গেলে উপস্থিত নেতাকর্মীরা ভূয়া ভুয়া বলে স্লোগান দিলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে বিদুৎ লাইনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে নগরের দায়িত্ব প্রাপ্ত নেতাদের নিয়ে সটকে পড়ে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।