ডেস্ক রিপোর্ট: পূর্ব-মধ্যে বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত অতিপ্রবল ঘূণিঝড় ‘মোখা’ উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হয়ে উত্তর পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করেছ। এটি আজ সকাল ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৮৫ কি.মি. দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে , কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৩০৫ কি.মি. দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ৪৫০ কি.মি.দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্বে এবং পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ৩৭০ কি.মি.দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্বে অবস্থান করছিল।এটি কক্সবাজার-উত্তর মায়ানমার উপকূল অতিক্রম করেছে। এটি আরো উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে আজ (১৪ এপ্রিল) বিকেল নাগাদ মায়ানমারের নিকট দিয়ে কক্সবাজার উত্তর মায়ানমার উপকূল এলাকায় অতিক্রম সম্পন্ন করতে পারে।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছেন, অতি প্রবল ঘূর্ণীঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কি.মি. এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘন্টটায় ১৯৫ কি.মি., যা দমকা অথবা ঝেড়া হাওয়ার আকারে ২১৫ কি.মি. পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে । অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ রয়েছে।

কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরসমূহকে আট নম্বর মহা বিপদ সংকেত নামিয়ে তা ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
চট্টগ্রাম ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে আট নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
মোংলা সমুদ্রবন্দরকে চার হুশিয়ারি সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার এবং তাদের অদূবর্তী দ্বীপ ও চর সমূহ দশ নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।
উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম , ফেনী, নোয়াখালি,লক্ষীপুর, চাঁদপুর,বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালি, ঝালকাঠী,পিরোজপুর, বরগুনা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চর সমূহ আট নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।
কক্সবাজার ,চট্টগ্রাম, ফেনী, নোয়াখালি,লক্ষীপুর, চাঁদপুর,বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালি, ঝালকাঠী,পিরোজপুর, বরগুনা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চর সমূহ চার নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।
অতি প্রবল ঘূর্ণঝড়টির অগ্রবর্তী অংশ ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চর সমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ০৮-১২ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ু তাড়িত জলোচ্ছাস প্লাবিত হতে পারে।
অতি প্রবল ঘূর্ণঝড়টির অগ্রবর্তী অংশ ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে উপখুলীয় জলা ফেনী, নোয়াখালি,লক্ষীপুর, চাঁদপুর,বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালি, ঝালকাঠী,পিরোজপুর, বরগুনা তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চর সমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৫-৭ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ু তাড়িতজলোচ্ছাস প্লাবিত হতে পারে।
অতি প্রবল ঘূর্ণঝড়টির প্রভাবে চট্টগ্রাম, সিলেট ও বরিশাল বিভাগে ভরী (৪৪-৮৮ মিমি) থেকে অতি ভারী(>৮৯ মিমি) বর্ষণ হতে পারে। অতি ভরী বর্ষণের প্রভাবে কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রামের পাহাড়ী অঞ্চলের কোথাও কোথাও ভূমি ধ্বস হতে পারে।

উত্তর বঙ্গবসাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নিদের্শ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়থাকতে বলা হয়েছে।