Home রাজনীতি মেট্রোরেলের ভাড়ায় ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপের সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি

মেট্রোরেলের ভাড়ায় ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপের সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি

17

ডেস্ক রিপোর্ট: বাসদ(মার্কসবাদী) ঢাকা মহানগর শাখার সমন্বয়ক কমরেড জয়দীপ ভট্টাচার্য আজ ৫ এপ্রিল সংবাদপত্রে পাঠানো এক বিবৃতিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কতৃর্ক মেট্রোরেলের ভাড়ায় ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, “ মেট্রোরেল একটি গণপরিবহন। ঢাকার যানজট নিরসনের কথা বলে সরকার বিপুল ব্যয়ে মেট্রোরেল প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে। জনগণের করের টাকায় এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলেও বিপুল খরচের অজুহাতে সরকার শুরু থেকেই মেট্রোরেলে অতিরিক্ত ভাড়া নিধার্রণ করেছে। সমস্ত স্তরের জনগণের পক্ষে এ ভাড়ায় চলাচল করা কষ্টসাধ্য শুধু তাই নয়, শ্রমজীবী ও নিম্নআয়ের জনগোষ্ঠীর পক্ষে রীতিমত অসম্ভব। মেট্রোরেলকে ‘ধনী—গরীব’ সবার পরিবহন বললেও কার্যক্ষেত্রে বাড়তি ভাড়া নিধার্রণ করে বৈষম্য তৈরি করা হয়েছে। ফলে শ্রমজীবী ও সীমিত আয়ের মানুষ তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এ অবস্থায় বাড়তি রাজস্ব আয়ের জন্য এনবিআর মেট্রোরেলে ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যার ফলে বাড়বে ভাড়া, জনগণের কাঁধে চাপবে বাড়তি ব্যয়ের বোঝা। দ্রব্যমূল্যের কষাঘাতে জর্জরিত মানুষের উপর এটা হবে মরার উপর খাঁড়ার ঘা। ”

বিবৃতিতে তিনি আরো বলেন, গত ১৫ বছর ধরে আওয়ামী লীগ শাসনামলে মেগাপ্রকল্প বাস্তবায়নের নামে হয়েছে সীমাহীন দুনীর্তি ও লুটপাট। ব্যাংক, বিদ্যুৎ জ্বালানি, স্বাস্থ্য—শিক্ষাসহ সমস্ত খাতে সীমাহীন লুটপাট, দেশের টাকা বিদেশে পাচার ইত্যাদির মধ্য দিয়ে দেশের অর্থনীতিকে খাদের কিনারে ঠেলে দেয়া হয়েছে। সরকার এখন বাজেট সংকটে পড়ছে। সংকট জর্জরিত অর্থনীতিতে নগদ টাকা আহরণের উদ্দে্যশ্যে সরকার দিশেহারা হয়ে পড়েছে। বিদ্যুৎ গ্যাসের মূলবৃদ্ধি করছে, বিভিন্ন খাতে কর বৃদ্ধি করছে। ফলে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম হু হু করে বাড়ছে। এর মধ্যেই মেট্রোরেলেও ভ্যাট আরোপে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এভাবে নিজেদের লুটপাটের দায় জনগণের উপর চাপিয়ে দিতে চাইছে সরকার। আমরা বলতে চাই, অবিলম্বে এ সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হবে। অন্যথায় জনগণকে সাথে নিয়ে গণআন্দোলনের মাধ্যমে এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারে বাধ্য করা হবে।”