Home জাতীয় মুক্তিযুদ্ধে ভারতের অবদান নতুন প্রজন্মকে জানাতে হবে

মুক্তিযুদ্ধে ভারতের অবদান নতুন প্রজন্মকে জানাতে হবে

22

স্টাফ রিপোটার: ভারত আমাদের বন্ধু। মুক্তিযুদ্ধে ভারতের অবদান কোনোভাবেই অস্বীকার করা যাবে না।মুক্তিযুদ্ধে ভারতের অবদান নতুন প্রজন্মকে জানাতে হব।

শনিবার (৩০ মার্চ) রাজধানীর কাকরাইলস্থ হোটেল রাজমনি ঈশা খাঁয় আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বক্তারা একথা বলেন।
মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ‘বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে ভারতের অবদান’ শীর্ষক এই আলোচনা ও ইফতার অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ইন্ডিয়া বাংলাদেশ গ্লোবাল ফ্রেন্ডশিপ ফোরাম।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়াল বক্তব্য দেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আ ক ম মোজাম্মেল হক।

আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী আব্দুল ওয়াদুদ দারা বলেন, স্বাধীনতার ঘোষণা কে দিল, সেটা নিয়ে স্বাধীনতা বিরোধীরা বিভ্রান্তির চেষ্টা করে। স্বাধীনতা সম্পর্কে এখন আর কারও জানতে বাকী নেই যে, বঙ্গবন্ধুই ছিলেন স্বাধীনতার মহানায়ক।

তবে এখন সাংস্কৃতিক জাগরণ ঘটাতে হবে। এ জন্য সাংস্কৃতিক লড়াই চালিয়ে যেতে হবে।
স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা বলেন, ভারত আমাদের বন্ধু। মুক্তিযুদ্ধে ভারতের অবদান কোনোভাবেই অস্বীকার করা যাবে না। তারা মুক্তিযুদ্ধে আমাদের প্রশিক্ষণ দিয়েছে। প্রবাসী সরকার গঠনে সহায়তা করেছে। সীমান্ত উন্মুক্ত করেছে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সহায়তা করেছে। এসব আগামী প্রজন্মকে বোঝাতে চেষ্টা করবেন যে, তারা (ভারত) আমাদের কত বড় বন্ধু। ভারত এখন আমাদের বাণিজ্যিক, সাংস্কৃতিক, অর্থনৈতিক সহযোগিতা করে থাকে। ভারত বিদ্বেষী যেন কেউ না হয়, সে বিষয়ে নতুন প্রজন্মকে বোঝাতে হবে।

সাবেক সেনাপ্রধান লে. জেনারেল (অব.) হারুন-অর-রশীদ বীর প্রতীক বলেন, স্বাধীনতার মাসে কথা বলতে গেলে স্বীকার করতেই হবে বঙ্গবন্ধুর কথা। তিনি না থাকলে হয়তো আমরা স্বাধীনতা পেতাম না। মুক্তিযুদ্ধ অনেক বড় বিষয়। যেটা আলোচনা করে শেষ করা যাবে না। তবে সেই সময়ে ভারতে যদি আমাদের এক কোটি মানুষ আশ্রয় না পেত, সহায়তা না পেত। তাহলে স্বাধীনতা কিভাবে সম্ভব হতো?

স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শব্দসৈনিক একুশে পদক প্রাপ্ত শিল্পী ডা. অরুপ রতন চৌধুরী বলেন, মুক্তিযুদ্ধে ভারতের অবদান আমরা চিরদিন মনে রাখব। মুক্তিযুদ্ধের সময় আমি স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে যুক্ত ছিলাম। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র ভারতের সহায়তা কোনোভাবেই সম্ভব ছিল না। এই কেন্দ্রের মধ্যে দিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের অনুপ্রাণিত করেছে। আশার আলো দেখিয়েছে। স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখিয়েছে।

আলোচনা অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা আহসান উল্লাহ মনি, সাবেক তথ্য ও সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী ইন্ডিয়া বাংলাদেশ গ্লোবাল ফ্রেন্ডশিপ ফোরামের নির্বাহী সদস্য সৈয়দ দিদার বখত, ইন্ডিয়া বাংলাদেশ গ্লোবাল ফ্রেন্ডশিপ ফোরামের সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানা, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সহ সভাপতি মানিক লাল ঘোষ, ও মাতৃভূমি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইন্জিনিয়ার মাইনুদ্দিন মিয়া বক্তব্য রাখেন।

ইন্ডিয়া বাংলাদেশ গ্লোবাল ফ্রেন্ডশিপ ফোরামের সভাপতি সাংবাদিক রেদুয়ান খন্দকারের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সহ সভাপতি সাংবাদিক সালাম মাহমুদ।