Home সারাদেশ ভয়াল ১২ নভেম্বর।। উপকূল দিবস ঘোষনার দাবিতে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন

ভয়াল ১২ নভেম্বর।। উপকূল দিবস ঘোষনার দাবিতে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন

33

কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি: ভয়াল ১২ নভেম্বর। ১৯৭০ সালের এই দিন রাতে উপকূলে আঘাত হানে প্রলয়ঙ্করী ঘুর্ণিঝড় । ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত বুঝতে না পারার খেসারত দিতে হয়েছে উপকূলের ১০ লক্ষাধিক নিরক্ষর মানুষের প্রাণ বিসর্জনের মধ্য দিয়ে। ভেসে যায় গবাদি পশু, হাঁস-মুরগী আর ক্ষতিগ্রস্থ হয় মাঠ ফসল এবং অসংখ্য গাছপালা,পশু-পাখি। মুহূর্তেই পুরো উপকূল এ জনপদ পরিনত হয় জনশূন্য বিরাণ ভূমিতে। লাশের গন্ধ আর স্বজনদের আহাজারিতে ভারী হয়ে ওঠে আকাশ বাতাস। সত্তর পরবর্তী প্রজন্মের কাছে এটি ইতিহাস। ভয়াল এই দিনের কথা স্মরন করতে গেলে আজো আৎকে ওঠে উপক‚লের মানুষ।
ভয়াল এই দিনটিকে উপকূল দিবস হিসেবে ঘোষণার দাবিতে পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় শহীদ মিনারে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করা হয়েছে। শনিবার রাত সাড়ে ৮ টার দিকে আমরা কলাপাড়াবাসী নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এর আয়োজন করে। সংগঠনের সভাপতি নজরুল ইসলাম’র সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন কলাপাড়া প্রেসক্লাবের সভাপতি হুমায়ুন কবির, সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক নেছার উদ্দিন আহমেদ টিপু, কলাপাড়া সম্মিলিত নাগরিক ঐক্য জোটের সভাপতি সৈয়দ রেজা প্রমূখ।
এ সময় কলাপাড়া প্রেস ক্লাব, রিপোর্টার্স ক্লাব, রিপোর্টার্স ইউনিটি ও কলাপাড়াবাসী স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্য সহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
কলাপাড়া প্রেসক্লাবের সভাপতি হুমায়ুন কবির বলেন, এই দিনে তার পরিবারের ১৭ জনকে হারিয়েছেন। তখন খুব ছোট ছিলেন। আল্লাহ তাকে বাঁচিয়ে রেখেছেন। চোখের সামনে অনেক মানুষ এবং গবাদি পশুর মৃতদেহ ভেসে গেছে। এই দিনটির কথা মনে উঠলে আজও তিনি আঁতকে উঠেন।
কলাপাড়াবাসী স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সভাপতি নজরুল ইসলাম বলেন, আমরা নতুন প্রজন্ম ভয়াল ১২ নভেম্বরের ইতিহাস অনেকেই জানিনা। প্রয়াতদের স্মরণে এবং নতুনদের এই ইতিহাস জানাতে আমরা এই আয়োজন করেছি। তবে এই দিনটি উপকূল দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হোক এমটাই তিনি দাবি করেছেন।