Home শিক্ষা ও ক্যাম্পাস ঢাবি’র বিশেষ সমাবর্তন ২৯ অক্টোবর

ঢাবি’র বিশেষ সমাবর্তন ২৯ অক্টোবর

61

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষ সমাবর্তন অনুষ্ঠান আগামী ২৯ অক্টোবর রবিবার সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে অনুষ্ঠিত হবে। সমাবর্তনে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-কে Doctor of Laws (Honoris Causa) ডিগ্রি প্রদান করা হবে। বঙ্গবন্ধুকন্যা, উন্নয়নের রোল-মডেলখ্যাত ও আধুনিক বাংলাদেশের রূপকার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সমাবর্তন বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। বিশেষ সমাবতর্নে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অ্যালামনাই, রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েটবৃন্দ এবং অতিথিবৃন্দসহ প্রায় ১৮ হাজার গণ্যমান্য ব্যক্তি অংশগ্রহণ করবেন। এদের মধ্যে শিক্ষার্থী সংখ্যা ১২,৪৯৬ জন, শিক্ষক প্রায় ৭৫০ জন, রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েট ১০০০ জন, অ্যালামনাই ৫০০ জন, বিদেশী শিক্ষক-শিক্ষার্থী প্রায় ১৫০ জন এবং অতিথি প্রায় ৩০০০ জন। অতিথিদের মধ্যে থাকবেন বঙ্গবন্ধু পরিবারের সম্মানিত সদস্যবৃন্দ, মাননীয় মন্ত্রীবর্গ ও সংসদ সদস্যবৃন্দ, ঢাকাস্থ বিদেশী দূতাবাস/ হাইকমিশনের রাষ্ট্রদূত/ হাইকমিশনার/ চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যগণ, সিনেট, সিন্ডিকেট ও একাডেমিক কাউন্সিলের সদস্যবৃন্দ, সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তাবৃন্দ এবং সুধীজন। ২৬ অক্টোবর ২০২৩ বৃহস্পতিবার অধ্যাপক আব্দুল মতিন চৌধুরী ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে অনুষ্ঠিত এক প্রেস ব্রিফিং-এ উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান এসব তথ্য জানান।
প্রো-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, প্রো-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল এবং কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ প্রেস ব্রিফিং-এ উপস্থিত ছিলেন।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আদেশ ১৯৭৩ আর্টিকেল ১০(১) অনুযায়ী এবং মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় চ্যান্সেলর-এর সদয় অনুমতিক্রমে সমাবর্তনে সভাপতিত্ব করবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য।
তিনি বলেন, সিনেট, সিন্ডিকেট ও একাডেমিক কাউন্সিলের সদস্যবৃন্দ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ সকাল ১০টায় সমাবর্তন শোভাযাত্রার আরম্ভস্থল কার্জন হল প্রাঙ্গণে উপস্থিত থাকবেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েটবৃন্দ জিমনেসিয়াম সংলগ্ন গেইট দিয়ে সমাবর্তনস্থলে প্রবেশ করবেন। তাদের জন্য সকাল ৮টায় গেইট খোলা হবে এবং তারা সকাল ১০টার মধ্যে অবশ্যই সমাবর্তনস্থলে আসন গ্রহণ করবেন। অনুষ্ঠানস্থলে নিজ নিজ আসন গ্রহণ করার পর নিরাপত্তার স্বার্থে কোনক্রমেই মঞ্চের আশেপাশে ও অন্যান্য স্থানে ঘুরাফেরা করা যাবে না। অ্যালামনাইগণ, রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েটবৃন্দ এবং আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ সুইমিং পুল সংলগ্ন গেইট দিয়ে সমাবর্তনস্থলে প্রবেশ করবেন। তাঁদের জন্য সকাল ৯টায় গেইট খোলা হবে এবং তাঁরা সকাল ১০টার মধ্যে অবশ্যই সমাবর্তনস্থলে আসন গ্রহণ করবেন।
উপাচার্য আরও বলেন, সমাবর্তনের দিন ভিআইপি অতিথিবৃন্দের গাড়ী কাজী মোতাহার হোসেন বিজ্ঞান ভবন (কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার সংলগ্ন সায়েন্স এনেক্স ভবন) মাঠে ও মোকারকম ভবন চত্বরে (কেন্দ্রীয় খেলার মাঠের উত্তর পাশে) পার্কিংয়ের ব্যবস্থা থাকবে। এছাড়া, অন্যান্য আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দের গাড়ী সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও হাজী মুহম্মদ মুহসীন হল খেলার মাঠে পার্কিং করতে হবে। সমাবর্তনে অংশগ্রহণকারীদের চলাচলের সুবিধার্থে ক্যাম্পাসের অন্যকোনো রাস্তায় গাড়ী পার্কিং না করার অনুরোধ করা হলো।

তিনি বলেন, সমাবর্তনের দিন সকাল ৭টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত শাহবাগ ক্রসিং থেকে দোয়েল চত্বর, হাইকোর্ট থেকে দোয়েল চত্বর, ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে দোয়েল চত্বর, পলাশী থেকে দোয়েল চত্বর এবং নীলক্ষেত থেকে দোয়েল চত্বর পর্যন্ত রাস্তায় গণপরিবহন চলাচল বন্ধ রাখতে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদয় সহযোগিতা প্রত্যাশা করি। সর্বসাধারণের চলাচলের জন্য ঐদিন বিকল্প রাস্তা ব্যবহারের জন্য অনুরোধ করা হলো। সাময়িক অসুবিধার জন্য আমরা দুঃখিত। সমাবর্তনের দিন নিরাপত্তার স্বার্থে শাহবাগ থেকে টিএসসি-দোয়েল চত্বর হয়ে হাইকোর্ট মোড় পর্যন্ত মেট্রোরেলের নির্মাণ কার্যক্রম বন্ধ রাখার অনুরোধ করা হলো।
তিনি সমাবর্তন অনুষ্ঠান সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে সম্পন্ন করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী, বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সকল সদস্য, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, সিটি কর্পোরেশন, রাজনৈতিক দল, সংগঠন, গণমাধ্যমকর্মী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ বিভিন্ন সংস্থা ও সর্বসাধারণের সহযোগিতা কামনা করেন।
সমাবর্তন শান্তিপূর্নভাবে আয়োজনে ক্যাম্পাসের স্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিবেশ বজায় রাখার জন্য ক্রীয়াশীল ছাত্র সংগঠন, সকল রাজনৈতিক দল ও ভিন্নমতের সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি উপাচার্য আহবান জানান।
উল্লেখ্য, সমাবর্তনে অংশগ্রহণের জন্য আমন্ত্রণপত্র এবং জাতীয় পরিচয়পত্র/প্রতিষ্ঠান কর্তৃক আইডি/পাসপোর্ট সাথে আনতে হবে। আমন্ত্রণপত্র হস্তান্তরযোগ্য নয়। সমাবর্তনস্থলে মোবাইল ফোন, হাতব্যাগ, ব্রিফকেস, ক্যামেরা, ইলেকট্রনিক ডিভাইস, ছাতা ও পানির বোতল নিয়ে প্রবেশ করা যাবে না।