Home জাতীয় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পানিবন্দী শতাধিক পরিবার, দুর্ভোগ ও দুর্দশায় দিন কাটাচ্ছে

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পানিবন্দী শতাধিক পরিবার, দুর্ভোগ ও দুর্দশায় দিন কাটাচ্ছে

43

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি: ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের পৌর এলাকার ভাদুঘরে সড়ক নিয়ে বিরোধের জের ধরে পানি চলাচলের পথ বন্ধ হওয়ায় ব্যাপক জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এতে ওই এলাকার ফাটা পুুকুরপাড় পশ্চিম পাড়ার শতাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়ে দুর্ভোগ ও দুর্দশায় দিন কাটাচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সিলেট-চট্টগ্রাম হাইওয়ের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ভাদুঘর ১নং মৌজায় বর্তমানে ম্যাপে ৭৫৭ দাগের মধ্যে রাস্তা ৪ফুট প্রস্থ লম্বালম্বি ভাবে ফাটা পুকুর পাড় হাইওয়ে রাস্তা থেকে পূর্ব পশ্চিমে রাস্তাটি অবস্থিত। ৮৮সালের প্রথমার্ধে জায়গাটি দিয়ে সবুজ প্রকল্প নামে ইরিগেশন পানির প্রকল্প কুরুলিয়া খাল থেকে পানি উত্তোলন করে ড্রেনেজের মাধ্যমে পানি নেয়া হত। তবে বর্তমানে সেখানে জনবসতি হওয়ায় এখানে মাটি ভরাট করে রাস্তা নির্মান করা হয়। এলাকার মোঃ বশির আহমদ খান, আইনাল মিয়া ও মুসলিম মিয়া জায়গাটির মালিক বলে দাবী করেছেন। এই সড়কটি দিয়েই চলাচল করতেন এলাকার লোকজন। তবে চলাচলের এই রাস্তাটি অধিকতর সরু থাকায় এলাকার বাসিন্দারা সড়টি প্রশস্থ করতে নানা উদ্যোগ গ্রহন করে ব্যর্থ হয়। মানুষের চলাচলের পথটি নিয়ে বহুবার সালিশ হলেও বিষয়টির কোন সমাধান হয়নি। ভূক্তভোগীরা জানান, সমস্যা সমাধান না হওয়ায় প্রায় দু’মাস ধরে তাদের পানিবন্দী অবস্থায় দিন কাটাতে হচ্ছে। জলাবদ্ধতার পানি বাসা বাড়িতেও উঠে গেছে। এতে করে ডেঙ্গুর প্রকোপকালীন সময়ে শঙ্কায় দিন কাটাতে হচ্ছে।
ভূক্তভোগী বশির আহমদ জানান, এটি এক সময় সেচ প্রকল্পের ড্রেন ছিল। দু’পাশের জমি মালিকদের কাছ থেকে এই জায়গার নেয়া হয়েছিল। প্রকল্পটি বর্তমানে নেই। তবে ড্রেন দিয়ে এলাকাবাসীর পানি নিস্কাশনসহ জমি চাষাবাদ করে থাকে। আমরা মানবিক দিক বিবেচনা করে পানি চলাচলের পাইপ দিয়ে পানি চলাচল স্বাভাবিক রেখে চলাচলের জন্য ব্যবাস্থ করে ছিলাম। বশির আহমদ আরো দাবী করেন, স্থানীয় বাসিন্দা মোঃ জহির মিয়া, মোঃ মুজিবুর ও মাহতাব মিয়া রাস্তার উপর বালি ফেলায় পানি নিষ্কাশনের পথটি বন্ধ হয়ে যায়। এতে কৃত্রিম জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। শুধু তাই নয় এলাকাবাসীর পানি নিষ্কাশনও হচ্ছে না। স্থানীয় বাসিন্দা মাহতাব মিয়া বলেন, ভূমির ৪০জন মালিক দলিল করে রাস্তা দিয়েছে। আমরা কোন রাস্তা বন্ধ করি নাই এবং পানি চলাচল বন্ধ করি নাই। বিষয়টি মীমাংসা করার জন্য বহুবার উদ্যোগ নেয়া হলেও তারা রাস্তার জন্য টাকা দাবী করছে। ভূমি মালিকরা যার যার জায়গার সামনে ভরাট করায় চলতি পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। আদালতে মামলা চলমান। স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর মো. আনোয়ার হোসাইন বলেন, জলাবদ্ধতার বিষয়টি মৌখিকভাবে শুনলেও কেউ লিখিত অভিযোগ দেননি। তারপরও বিষয়টি খতিয়ে দেখব।