Home সারাদেশ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আসামী ছিনিয়ে নেয়ার সময় পুলিশের গুলি, নিহত ১

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আসামী ছিনিয়ে নেয়ার সময় পুলিশের গুলি, নিহত ১

37

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে পুলিশের ছোড়া গুলিতে আইয়ুব নূর (৫০) নামে এক মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার ভোরে উপজেলার পত্তন ইউনিয়নের আদমপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। নিহত আইয়ুব নূর ওই এলাকার মস্তু মিয়ার ছেলে। তার বিরুদ্ধে ৫টি মাদক মামলা রয়েছে। এসময় পুলিশের কাছ থেকে হ্যান্ডকাফ সহ ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় আরেক মাদক ব্যবসায়ী আইয়ুব নূরের ছেলে আরিফ নূরকে। এই ঘটনায় ১০জন পুলিশ সদস্যসহ ১৩ জন আহত হয়েছে।
বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাজু আহমেদ জানান, উপজেলার আদমপুর গ্রামের আইয়ুব নূরের পরিবারের প্রায় সবাই মাদক ব্যবসায়ী। এরমধ্যে আইয়ুব নূরের নামে ৫টি, তার দুই ছেলে আরিফ নূরের নামে ৫টি ও তোফাজ্জলের নামে ১০টি পুলিশের উপর হামলা ও মাদক মামলা রয়েছে। আরিফ নূরের বিরুদ্ধে আদালতের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছিল। বৃহস্পতিবার ভোরে বিজয়নগর থানা পুলিশের একটি দল অভিযান চালিয়ে বাড়ি থেকে আরিফকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারের পর থানায় নিয়ে আসার সময় তার পরিবারের সদস্যরা ডাকাত ডাকাত বলে চিৎকার শুরু করে পুলিশকে চারদিক দিয়ে ঘিরে ফেলে। এ সময় তারা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে হ্যান্ডকাফসহ মাদক ব্যবসায়ী আরিফকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। পুলিশ আত্মরক্ষায় ৮ রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করলে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয় আইয়ুব নূর, সালমা বেগম ও ইমন নামের এক কিশোর। গুলিবিদ্ধ হয়ে আহতরা জেলা সদর হাসপাতালে আসলে তাদের ঢাকায় প্রেরণ করা হয়। ঢাকায় নেওয়া হলে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান আইয়ুব নূর। অপর দিকে মাদক ব্যবসায়ীদের হামলায় ১০জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। এরা হলেন এএসআই আব্দুল আল মামুন, এএসআই সেলিম, এসআই সাইদুল হক, কনস্টেবল তুষারসহ ১০ পুলিশ সদস্য আহত হয়। এরমধ্যে এএসআই আব্দুল আল মামুন ও কনস্টেবল তুষার চম্পকনগর ইউনিয়নের একটি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তিনি আরো জানান, এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়া আসামীকে উদ্ধারে সাঁড়াশি অভিযান চলছে।
তবে নিহতের স্বজনরা দাবী করেন, ভোর রাত সাড়ে ৩টার দিকে বাড়িতে ফাঁকা গুলি করে আরিফকে নিতে আসে কিছু মানুষ। পুলিশ কিনা বুঝতে না পেরে ডাকাত সন্দেহে তারা এগিয়ে আসে। এ সময় পুলিশের ছোঁড়া গুলিতে আরিফের বাবা আইয়ূব নূরসহ আরো কয়েকজন আহত হয়। ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।