Home কুটনৈতিক ও প্রবাস ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনায় রোমস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস কর্তৃক ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উদযাপন

ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনায় রোমস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস কর্তৃক ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উদযাপন

36

ইতালি প্রতিনিধিঃ ইতালিতে বাংলাদেশ দূতাবাস যথাযোগ্য মর্যাদা ও ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে আজ ‘ঐতিহাসিক ০৭ মার্চ’ উদযাপন করেছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর ০৭ মার্চ ১৯৭১-এ প্রদত্ত ঐতিহাসিক ভাষণ স্মরণে আয়োজিত দিনব্যাপি এই অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে ছিল সকাল ৯.০১ মিনিটে দূতাবাস প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা আনুষ্ঠানিকভাবে উত্তোলন, জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, জাতির পিতা ও মুক্তিযুদ্ধের বীর শহিদদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন। পরবর্তী সময়ে বিকাল ৫.১০ ঘটিকায় অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে বাণী পাঠ, বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ প্রদর্শন এবং দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারির অংশগ্রহণে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সকালে চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স মোঃ জসীম উদ্দিনের নেতৃত্বে এবং দূতাবাসের কর্মকর্তা কর্মচারিগণের উপস্থিতিতে জাতীয় সঙ্গীতের সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দিনের কর্মসূচী শুরু হয়। এর পরে দূতাবাসে রক্ষিত জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয় এবং জাতির পিতা ও তাঁর পরিবার এবং মুক্তিযুদ্ধের বীর শহিদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। দিনটি ছুটির দিন না হওয়ায় কনস্যুলার সেবা প্রত্যাশীদের স্বার্থে দূতাবাসের নিয়মিত কার্যক্রম চলমান রাখা হয় এবং দূতাবাস প্রাঙ্গণে স্থাপিত টেলিভিশন স্ক্রিনে বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ প্রচার করা হয় যা বহুসংখ্যক সেবা-প্রত্যাশী প্রবাসী বাংলাদেশি অবলোকন করেন।

চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্সের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত দিবসের অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে বিকাল ৫.১০ ঘটিকায় দূতাবাসের সভাকক্ষে দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রী প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয়। এর পরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর ০৭ মার্চ ১৯৭১ দেয়া ঐতিহাসিক ভাষণটি প্রদর্শন করা হয়। ঐতিহাসিক এই দিনের প্রেক্ষাপট ও তাৎপর্য শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন দূতাবাসের প্রথম সচিব (পাসপোর্ট ও ভিসা) মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম। এরপর দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে উপস্থিত সকলে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন।

চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স তাঁর বক্তব্যের শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের সকল বীর শহিদদের গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন। বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ০৭ মার্চ এর ভাষণ সম্পর্কে তিনি বলেন, এই ভাষণ শুধুমাত্র বাঙালি জাতিকেই স্বাধীনতা অর্জনে অনুপ্রাণিত করেনি, সারা বিশ্বের নিপীড়িত-নির্যাতিত স্বাধীনতাকামী মানুষকে অনুপ্রেরণা যুগিয়েছে এবং ভবিষ্যতেও মানুষকে প্রেরণা যোগাবে। ভাষণটির অন্তর্নিহিত তাৎপর্য অনুধাবন করেই ইউনেস্কো ২০১৭ সালে এ ভাষণকে ‘বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহাসিক’ (World Documentary Heritage) হিসেবে ‘মেমোরি অব দ্যা ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনাল রেজিস্টার’(International Memory of the World Register)-এ অন্তর্ভুক্ত করেছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।