Home শিক্ষা ও ক্যাম্পাস বেহাল দশায় চলছে প্রভোস্টবিহীন বশেমুরবিপ্রবি বিজয় দিবস হল

বেহাল দশায় চলছে প্রভোস্টবিহীন বশেমুরবিপ্রবি বিজয় দিবস হল

41

বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধি: দু’মাসের বেশি সময় ধরে হলে নেই প্রভোস্ট। আবাসন আগ্রহী শিক্ষার্থীদের নেই আবাসিকতা প্রাপ্তির সুযোগ। হলের অভ্যন্তরীণ কর্মরত কর্মচারী কিংবা উন্নয়নের জন্য উত্তোলন করা যাচ্ছে না কোন অর্থ। চারপাশের স্তূপকৃত আবর্জনার গন্ধে আবাসন কক্ষগুলো বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পরেছে। টয়লেটগুলো একের পর এক হয়ে উঠেছে ব্যবহারের অযোগ্য। এমনি চিত্র ফুটে উঠেছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরবিপ্রবি) বিজয় দিবস হলে।
মঙ্গলবার সরেজমিনে ঘুরে এমন চিত্র দেখা মেলে ওই হলের বিভিন্ন কক্ষে। এরআগে গত দু’মাস হলে প্রভোস্টের কোনো কার্যক্রম না থাকায় সহস্রাধিক শিক্ষার্থীদের প্রতিনিয়ত এমন দুর্ভোগের সম্মুখীন হতে হচ্ছে। দীর্ঘ সময় পার হবার পরেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অবহেলায় অতিষ্ঠ হয়ে পরেছে তাদের হল জীবন।এছাড়াও প্রভোস্ট না থাকায় মাসের পর মাস হলের ডাইনিংয়ের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে আবর্জনায় ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে।
জানা যায়, গত ২৫ জুলাই বিজয় দিবস হলের সাবেক প্রভোস্ট মো. সোলায়মান হোসেনকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দক্ষিণ কোরিয়ায় পিএইচডি করার জন্য শিক্ষা ছুটি দেওয়া হয়। পরবর্তী তিনি গত ১৭ আগস্ট থেকে লিখিতভাবে হলের প্রভোস্টের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নেন। দীর্ঘদিন পার হলেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে নতুন প্রভোস্ট হিসেবে কিংবা ভারপ্রাপ্ত প্রভোস্ট হিসেবে দেওয়া হয়নি কাউকে দায়িত্ব। এতে করে হল আনুষাঙ্গিক সকল কাজ ব্যহত হচ্ছে। ফলে ওই হলের আবাসিক – অনাবাসিক শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে। অন্যদিকে হলে কর্মরত কর্মচারীদের প্রভোস্ট না থাকায় মাসিক বেতন তুলতে ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। তাছাড়া হলের সকল পরিচ্ছন্নতা ও উন্নয়নমূলক কাজ আটকে পরেছে।
এ নিয়ে জানতে চাইলে, বলে বিজয় দিবস হলের সহকারী প্রভোস্ট মো. জাহিদ হাসান বলেন, আসলে হলে প্রভোস্ট না থাকলে অন্য কেউ সিদ্ধান্ত নিতে পারে না৷ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে কাউকে প্রভোস্ট কিংবা ভারপ্রাপ্ত প্রভোস্ট বানিয়ে দিলে এসব সমস্যা দ্রুত সময়ের মধ্যে সমাধান হতো।
এ বিষয়ে রেজিস্ট্রার মো. দলিলুর রহমান বলেন, আসলে বিষয়টি দুঃখজনক। আমাদের উপাচার্য সামনের রবিবার আসলে তার সাথে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. একিউএম মাহবুবকে মুঠোফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়।