Home রাজনীতি বিদ্যুৎ নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে বাম গণতান্ত্রিক জোটের বিক্ষোভ সমাবেশ

বিদ্যুৎ নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে বাম গণতান্ত্রিক জোটের বিক্ষোভ সমাবেশ

28

স্টাফ রিপোটার: পুনঃপুন বিদ্যুৎ-গ্যাস ও নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে এবং পাচারকৃত অর্থ ফিরিয়ে আনা ও দুর্নীতিবাজ-অর্থ পাচারকারীদের বিচারের দাবিতে বাম গণতান্ত্রিক জোট কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের উদ্যোগে দেশব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসাবে আজ ১৩ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৪টায় পুরানাপল্টন মোড়ে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
বাম জোটের সমন্বয়ক ও বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সহকারী সাধারণ সম্পাদক কমরেড রাজেকুজ্জামন রতনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সিপিবির কেন্দ্রীয় নেতা শাহিন রহমান, বাংলাদেশ বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের শামিম ইমাম, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু, বাসদ (মার্কসবাদী)-র সমন্বয়ক মাসুদ রানা। সমাবেশ পরিচালনা করেন বাসদ কেন্দ্রীয় বর্ধিত ফোরামের সদস্য খালেকুজ্জামান লিপন।
সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, সরকার এক মাসেই দুইবার বিদ্যুতের দাম বাড়িয়ে এবং সাত মাসের ব্যবধানে ৮০ শতাংশ গ্যাসের দাম বাড়িয়ে জনগণের ভোগান্তির মাত্রা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। দুর্নীতি-লুটপাট, অপচয়-ভুলনীতির কারণে লোকসানের দায় জনগণের ওপর চাপিয়ে দিয়েছে সরকার। দুর্নীতিবাজদের শাস্তি না দিয়ে প্রধানমন্ত্রী কুইক রেন্টালের বিরোধিতাকারীদের বিদ্যুৎ বন্ধ করে দেয়ার কথা বলেছেন। অথচ কেন্দ্রগুলোকে বসিয়ে বসিয়ে ক্যাপাসিটি চার্জের নামে ৯৬ হাজার কোটি টাকা যে গত ১২ বছরে কুইক রেন্টাল কোম্পানিগুলোকে দেয়া হলো, সেটার দায় জনগণ কেন নিবে, সে বিষয়ে কোন কথা প্রধানমন্ত্রী বললেন না। এমনিতে চাল-ডালসহ নিত্যপণ্যের বাজার ঊর্ধমুখী। বাজার সিন্ডিকেট ভাঙতে সরকার সম্পূর্ণ ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। শতকরা ৬৮ ভাগ মানুষ পুষ্টিকর খাবার কিনতে হিমশিস খাচ্ছে। টিসিবির ট্রাক সেলের সামনে লাইন দীর্ঘ হচ্ছে।
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, জনগণের স্বার্থ বিসর্জন দিয়ে আইএমএফ-এর কাছ থেকে সরকার ৪৫০ কোটি ডলার ঋণ নিয়েছে। প্রতিবছর ৭০০ কোটি ডলার পাচার হয়ে যাচ্ছেÑসেটা ঠেকানোর কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না। ১ লাখ ৩৪ হাজার কোটি টাকার খেলাপি ঋণ উদ্ধারে সরকারি পদক্ষেপ নেই বললেই চলে। অর্থনীতিবিদরা বলেছেন, যেগুলো ইতিমধ্যে অবলোপন করা হয়েছে ও আদালতে মামলা রয়েছে তা হিসাবে আনলে এটি প্রায় ৪ লাখ কোটি টাকা হবে। ব্যাংক লুটপাটকারী, দুর্নীতিবাজদের আইনের আওতায় আনতে সরকারের কোন পদক্ষেপ নেই, বরং সরকার এদের রক্ষাকর্তা হিসাবে ভূমিকা রাখছে। আইএমএফ-এর ঋণের ৩৮টি শর্ত মেনে শিক্ষা-চিকিৎসা, সঞ্চয়পত্রসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে জনগণের প্রতি সরকারের ভূমিকা সংকুচিত হচ্ছে। ফলে এই সব সেক্টরে ভর্তুকী কমিয়ে দেয়া হচ্ছে।
নেতৃবৃন্দ বর্তমান সরকারের ফ্যসিবাদী দুঃশাসনের বিরুদ্ধে আরও দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলার জন্য জনগণের প্রতি উদাত্ত আহবান জানান।