Home জাতীয় বিজয়নগরে তেলবাহী ট্রেনের চাকা লাইনচ্যুত সিলেটের সাথে সারা দেশের ট্রেন যোগাযোগ বন্ধ

বিজয়নগরে তেলবাহী ট্রেনের চাকা লাইনচ্যুত সিলেটের সাথে সারা দেশের ট্রেন যোগাযোগ বন্ধ

37

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি॥ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে তেলবাহী ট্রেনের চাকা লাইনচ্যুত হয়েছে। এতে করে সিলেটের সাথে সারাদেশের ট্রেন যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। মঙ্গলবার সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে বিজয়নগর উপজেলার মুকুন্দপুর-হরষপুরের মাঝামাঝিস্থানে এই ঘটনা ঘটে।
আখাউড়া রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মাজহারুল করিম এবং লোকোশেড ইনচার্জ মোঃ মনির উদ্দিন বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
মুকুন্দপুর রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টার সাইফুল ইসলাম জানান, আখাউড়া থেকে ছেড়ে আসা আপ তেলবাহী ট্রেন-৯৫১টি মুকুন্দপুর ও হরষপুরের মাঝামাঝি স্থানে এসে এর ইঞ্জিন থেকে পিছনের ৬ নম্বর বগির সামনের ২টি চাকা লাইনচ্যুত হয়। এতে করে সিলেটের সাথে সারা দেশের ট্রেন যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। তিনি বলেন সিলেটগামী ৭১৯নং পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেনটি আখাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশনে এবং চট্টগ্রামগামী পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেনটি শায়েস্তগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনে আটকা পড়েছে।
এ ব্যাপারে আখাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশনের লোকোশেড ইনচার্জ মোঃ মনির উদ্দিন বলেন, দুপুর ১টার দিকে আখাউড়া থেকে একটি উদ্ধারকারী ট্রেন ঘটনাস্থলের দিকে রওয়ানা হয়েছে। তিনি বলেন, বেলা সাড়ে ৩টা পর্যন্ত সিলেটের সাথে সারা দেশের ট্রেন যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কোরবানীর পশু জবাই ও মাংস কাটতে গিয়ে শতাধিক আহত

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি॥
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কোরবানির পশু জবাই করা সহ পশুর মাংস কাটতে গিয়ে পৃথক স্থানে শতাধিক লোক আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে দুইজনকে ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে। ঈদ-উল আযহার দিন রোববার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের জরুরী বিভাগের রেজিষ্টার বই (রোগীর তথ্যবই) থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
আহদের মধ্যে বেশির ভাগই হাত-পায়ের আঙ্গুলসহ শরীরের বিভিন্ন অংশ কেটে ফেলেছেন। তাদের প্রত্যেককেই চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। আহতদের মধ্যে শহরের মেড্ডা এলাকার রাসেল ভূইয়া ও সদর উপজেলার বুধল ইউনিয়নের সুতিয়ারা গ্রামের আল আমিনকে উন্নত চিকিৎসার জন্যে ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে। বাকীদের অবস্থা গুরুতর নয় বলে চিকিৎসকেরা নিশ্চিত করেছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঈদের দিন শহরের বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় কোরবানির পশু জবাই করতে গিয়ে পশুর মাংস কাটতে গিয়ে (অভিজ্ঞতা না থাকায়) কেউ কেউ ধারালো ছুরি দিয়ে হাত ও পায়ের আঙ্গুলসহ শরীরের বিভিন্ন অংশ কেটে ফেলেন।
আহতদের মধ্যে শহরের কাজীপাড়ার ইমন মিয়া বলেন, মাংস কাটার সময় আমার হাতে ছুড়ির আঘাত লাগলে পরিবারের লোকজন আমাকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। আমার হাতে একটি সেলাই দেয়া হয়েছে।
শহরতলীর বিরাসার গ্রামের শাকিল মিয়া বলেন, সকালে গরুর মাংস কাটার সময় অসাবধানতা বসত আমার হাতে ছুড়ি লেগে রক্তক্ষরন হয়। পরে হাসপাতালে এসে হাতি ব্যান্ডিজ করাই।
২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক ডাঃ অনির্বাণ মোদক বলেন, রোববার সকাল থেকে প্রায় শতাধিক রোগী হাসপাতালের জরুরী বিভাগে চিকিৎসা নিয়েছেন। তারা সবাই কোরবানীর মাংস কাটতে গিয়ে আহত হয়েছেন। তাদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে দুইজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে এবং ৭জনকে হাসপাতালে ভর্তি দেয়া হয়েছে। আহতরা সবাই শঙ্কামুক্ত।