Home রাজনীতি বিএনপি’র ছেড়ে দেয়া ৬ আসনের উপনির্বাচনে আগামী সংসদ নির্বাচনের নমুনা প্রকাশিত

বিএনপি’র ছেড়ে দেয়া ৬ আসনের উপনির্বাচনে আগামী সংসদ নির্বাচনের নমুনা প্রকাশিত

20

ডেস্ক রিপোর্ট: বাম গণতান্ত্রিক জোট কেন্দ্রীয় পরিচালানা পরিষদের সমন্বয়ক ও বাসদের সাধারণ সম্পাদক কমরেড বজলুর রশীদ ফিরোজ, সিপিবির সভাপতি কমরেড শাহ আলম, সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল কবীর জাহিদ, বাসদ (মার্ক্সবাদী)’র সমন্বয়ক মাসুদ রানা, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু ও সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের সভাপতি হামিদুল হক আজ ৩ ফেব্রুয়ারী এক বিবৃতিতে বলেন, গত ১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত বিএনপির ছেড়ে দেয়া ৬ আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী সরকারের অধিনে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে কেমন হবে তার নমুনা প্রকাশিত হয়েছে।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, বর্তমান সরকারের দ্বারা একতরফাভাবে গঠিত নির্বাচন কমিশন যে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে ব্যর্থ তার সর্বশেষ প্রমাণ এই ৬ আসনের উপনিবাচন। তাদের সকল অঙ্গীকার, বাগারম্ভরে পরিণত হয়েছে এবং তথাকথিত স্বাধীন নির্বাচন কমিশনের ভ‚মিকা কেবল কর্তৃত্ববাদী ফ্যাসিবাদী সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় পর্যবসিত হয়েছে।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, ২০১৪ সালের ভোটারবিহীন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতার নির্বাচন, ২০১৮ সালের নিশি ভোটের নির্বাচন আর এবারের উপনিবাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া মডেল ইত্যাদি শাসক শ্রেণি কর্তৃক একটি আরেকটির চেয়ে অধিক খারাপ নির্বাচনের দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গোটা নির্বাচন ব্যবস্থার উপরই জনগণের আস্থা এবং বিশ্বাস নষ্ট করে দিয়েছে। যে কারণে নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি প্রায় শুন্যের কোটায়।
বিবৃতিতে বাম জোট নেতৃবৃন্দ বলেন, স্বাধীনতার ৫২ বছরে দেশে যে ১১টি সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে তার মধ্যে ৭টি দলীয় সরকারের অধিনে এবং ৪টি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধিনে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধিনে যে ৪টি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে সেগুলে আপেক্ষিক অর্থে সুষ্ঠু হয়েছে বলে জনগণ মনে করে এবং মেনে নিয়েছিলো। আর দলীয় সরকারের অধিনে অনুষ্ঠিত স্বাধীন দেশে ১ম নির্বাচন ১৯৭৩ সাল থেকে শুরু হয়ে সর্বশেষ ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের নির্বাচন কোনটিই সুষ্ঠু ও অবাধ হয়নি।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, অতীত অভিজ্ঞতা থেকেই দেশবাসী মনে করে বর্তমানে দলীয় সরকারের অধিনে কোন সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব নয়। নেতৃবৃন্দ জনগণের আকাঙ্খা ও বিরোধী সকল রাজনৈতিক দল, ব্যক্তি ও গোষ্ঠির দাবি অনুযায়ী অবিলম্বে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকারকে পদত্যাগ করে, ভোট ডাকাতির সংসদ বাতিল করে নির্দলীয় তদারকি সরকারের অধিনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জোর দাবি জানান।